আমি সৎ ছিলাম, তারপরও তুই আমাকে ছোট করেছিলি..??

সময়টা ছিল  ২০০০ সালের প্রথম দিকে। আজ থেকে প্রায় একুশ বছর আগের কথা। আমি আর সোহেল বন্ধুর মত ছিলাম। বলাচলে বন্ধুই। ২০০০ সালে আমাদের বন্ধুত্বের বয়স ছিল ৭/৮ বছর। তখন আমি বড় ভাইয়ের মোবাইলের দোকানে সময় দিতাম। পারিবারিক চাপ না থাকার কারণে ১০/২০ টাকা হাত খরচাই দিন কেটে যেত। বিনোদন আর মজাই সময় কাটত। আস্তে আস্তে সময়ের পরিবর্তনে পারিবারিক অবস্থার দরুণ আমাকে পরিবারে খরচ যোগান দেওয়ার জন্য বাইরে কাজ খুজতে চাপ দেওয়া হয়। এদিক ওদিক কাজের সন্ধান করতে থাকি। কিন্তু কাজ কোথাও পাওয়া যায়না। অনেক অনেক জায়গায় সুযোগ হলেও পরিবেশ পরিস্থিতি পছন্দ না হওয়ার কারণে ছেড়ে দিয়ে চলে আসি। এভাবেই হেলেদুলে কেটে যাচ্ছিল ছিল কিছু সময়।

ওদিকে সোহেল বেকার ঘুরতে ঘুরতে চট্টগ্রাম শহরের রৌফবাদ এলাকায় একটা হোটেলে কাজ নেয়। হোটেলে তার কাজ হচ্ছে হোটেল বয়দের ম্যানেজমেন্ট ও হোটেলে বাজার করে দেওয়া এবং বায়েজীদ এলাকায় দু একটি গার্মেন্টসে ঝাল নাস্তা ডেলিভারি দেওয়া। আমি গ্রামে ও তখন শহরে। একদিন সে ছুটিতে আসলে আমার সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। আমার অবস্থা জিজ্ঞেস করে। আমি বলি তোর ঐদিকে আমার জন্য একটা কাজ দেখিস। বাড়ীতে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

তখন সে আমাকে বলে দোস্ত আমি বেকার থাকা অবস্থায় তুই আমার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করতিস, আমাকে আমার বাড়ী থেকে  আসা যাওয়ার গাড়ী ভাড়ার টাকা দিতিস, আমাকে অনেক খাতির যত্ন করতিস। তোর চিন্তা করতে হবেনা আমি তোকে জানাবো সুযোগ পেলেই তোকে ফোন দিব। ওকে আজ উঠি কাল চলে যাব বাড়ীতে কিছু কাজ আছে কাজগুলো করতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে যা ফোন করিস। ও চলে গেল আমি আমার বড়ভাইয়ের দোকানে চলে আসলাম।

কিছুদিন পর একটা পত্রিকায় নিউজ দেখলাম নগরীর মুরাদপুর জেপি গার্মেন্টসে (কিউ,সি) পদে লোক নিয়োগ দিছে। আমি বাড়ী থেকে হাজার খানেক টাকা নিয়ে চাকুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দিই। চাকুরীটা হলো কিন্তু থাকব কোথায় বেকায়দায় পড়ে গেলাম। এদিকে বাড়ী থেকে যে টাকা এনেছি ওটা দিয়ে দিনে দিনে বাসা দেখে বাসা নেওয়া সম্ভব না। তাই সোহেলকে ফোন করি। দু একবার কল রিসিভ হয়নি আরেকবার চেষ্টা করতেই ফোন রিসিভ করে সোহেল।

আমতো আমতো করে সে আমাকে অনেক্ক্ষণ পর রৌফবাদ যেতে বলল। আমি বুঝতে পারলাম তার ওখানে আমার যাওয়াটা তার জন্য অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু এদিকে আমি অপারগ আমাকে যেতেই হচ্ছে। আমি আর কোনকিছু না ভেবে রৌফবাদ চলে যায়। গিয়ে দেখি   সে একটা হোটেলের কিছু কাজের দায়িত্বে আছে।

আমার সমস্যার কথা শুনে আমাকে অন্য কোথাও থাকার পরামর্শ দেয়। কিন্তু এত অল্প সময়ে বাসা কোথায় পাই। তাকে অনুরোধ করি তার সাথে দু একদিন থেকে একটা বাসা খোজ করার। সে মনে মনে রাজি না হলেও মুখ থেকে রাজি হয়।  ………………………………

<

বাকীটা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করছি।….চলবে……………………!!!

Related Posts

14 Comments

মন্তব্য করুন