ইন্টারনেট থেকে কিভাবে আপনার মোবাইলের কল লিস্ট চেক করবেন তা জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠকগণ।কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলেই যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ছেয়ে গেছে সর্বএ।বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে আজ দূর হয়েছে কাছে।এখন মানুষ দূরে থেকেই তার আপন প্রিয়জন সকলের সাথে কথা বলতে পারছে বার্তা বিনিময় করতে পারছে। এখন আর দেশ বিদেশের তেমন পার্থক্য বুঝা যাচ্ছে না শুধুমাত্র প্রযুক্তির কল্যাণে৷ তাই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেক সহজ করে দিয়েছে।

অনেক সময় আমরা আমাদের মোবাইল এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার সেইভ করিনা। পরিচিতি নাম্বার থেকে মোবাইলে কল আসলে অনেক সময় আমরা সেইভ করতে ভুলে যাই।কিন্তু যদি আমাদের মোবাইল থেকে সেই সকল নাম্বার হারিয়ে যায় কিংবা আমাদের কল লগ দেখা যায় না তখন আমাদের খানিকটা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।চলুন তাহলে জেনে আসি ঠিক কি কি কারণে মোবাইলের কল লিস্ট হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেঃ

১.সীম পরিবর্তন করলে।
২.অনেক সময় ক্লিয়ার ক্যাশ দিলে
৩.নিজের অজান্তে ডিলেট করে দিলে।

এমন অনেক হাজারো সমস্যা থাকতে পারে মোবাইলে কল লিস্ট ডিলেট হবার পিছনে। অনেক সময় আমরা আমাদের কাজের জিনিসই খুজে পাইনা এই সমস্যার কারণে।

তবে সমস্যা যেখানে রয়েছে সমাধানও ঠিক সেইখানেই রয়েছে।আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি চান কোন কারণেই আপনার মোবাইল এর কল লিস্ট না মুছে যাক সেইজন্য আপনার সমস্যার একটি দারুন সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি আপনার উপকার হবে।

আজকাল সকল সমস্যার সমাধান সাধন করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। তাহলে এই সমস্যাও নিশ্চয় ব্যতিক্রম নয়। আপনি যদি আপনার কল লিস্ট এর নাম্বারসমূহ হারাতে না চান তাহলে আপনাকে সবার আগে আপনার ব্যবহৃত সীম অনুযায়ী ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে।একাউন্ট খোলা থাকলে আপনি অনেক কাজ একসাথে করতে পারবেন। যেমনঃ

১.আপনি আপনার ইনকামিং কিংবা আউটগোয়িং কল চেক করতে পারবেন।
২.আপনি কল ডিউরেশন চেক করতে পারবেন।
৩.কল লিস্ট ডিলেট হয়ে গেলে শুধুমাত্র এই একাউন্ট এর মাধ্যমে কল লিস্ট আবার চেক করতে পারবেন।
৪.সর্বশেষ রিচার্জ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এখন আসি একাউন্ট কিভাবে করবেন তা নিয়ে। নিচে একাউন্ট সম্পর্কিত নিয়মাবলি তুলে ধরা হলোঃ

১.আপনাকে একাউন্ট করতে হলে আপনার ব্যবহৃত যেকোনো সীম এর অপারেটর এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২. ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ব্যবহার করে মেয়াদ সম্পন্ন সীম কার্ড নাম্বার ব্যবহার করে একাউন্ট খুলতে হবে।এ
৩.একাউন্ট খোলা আপনার শুধুমাত্র সীম কার্ড লাগবে। একাউন্ট খোলার সময় সীম কার্ডে একটি কোড আসবে।সেই কোড বসিয়ে দিলে আপনার একাউন্ট সচল হয়ে যাবে।
৪.তবে সীমটি অবশ্যই আপনার নিজের ব্যবহার করা সচল সীম হতে হবে।

আশাকরি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনাদের খানিকটা উপকার হবে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন