সুপ্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা। আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন । আমি আজ আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। এর আগে আমি আরো অনেক পোস্ট করেছি। তাই আজকে আবার একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পোস্টটি হচ্ছে একটি ওয়েব পেজে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার সেই সম্পর্কে। আপনার হয়তো জানেন ওয়েব পেজ কি। সহজ ভাবে বললে কতগুলো ওয়েব পেজ নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়। তাহলে চলুন আমরা আজকের টপিকে ফিরে আসি।
ওয়েব পেজের বৈশিষ্ট্য আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি । আপনারা তাই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন। এবং আপনাদের কাছে খুব সহজ হয়ে যাবে বিষয়টি।
একটি ওয়েব পেজের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে। সবাই চায় একটি ভাল সুন্দর ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে। একটি সুন্দর ওয়েব পেজ যেমন সবাইকে আকর্ষণ করে তেমনি কাংখিত তথ্য পাওয়া যায়। ভিজিটররা সেই ওয়েবপেজকে পছন্দ করে। সেখানে সুন্দর আকর্ষণীয়ভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। একটি ভালো এ পেজ তৈরির সময় যে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত তা হল।
১. দ্রুত প্রদর্শনী ডাউনলোড: একটি ওয়েব পেজ যাতে দ্রুত ব্রাউজার প্রদর্শিত হতে পারে এবং ডাউনলোড করতে সময় কম লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।এক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছবি এনিমেশন জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে লোড হতে প্রচুর সময় ব্যয় করে।
২. ব্রাউজার এর মানানসই রেজুলেশন: ভিজিটররা যে ব্রাউজার ব্যবহার করে ওয়েব পেজটি কে দেখবে সেই ব্রাউজার মানানসই হতে হবে।এছাড়া কিছু ভিজিটর আছেন যারা মোবাইল ফোনের সাহায্যে ব্রাউজ করে থাকেন।
৩. মনোযোগ আকর্ষণ: ওয়েবপেজ এভাবে ডিজাইন করা উচিত যাতে ভিজিটরদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত ভিজিটররা বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পেশার হয়ে থাকে।
৪. ইমেজ ও গ্রাফিক্স: প্রয়োজনমতো আকর্ষণী ইমেজ ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত বর্ণনা ভিত্তিক টেক্সট অনেকের কাছে বিরক্তিকর লাগতে পারে। সেজন্য টেক্সট এর পাশাপাশি ছবি ব্যবহার করা উচিত।
৫. ওয়েব পেইজ লেন্থ: ওয়েব পেজের একটি পেইজ এর দৈর্ঘ্য বেশি না হয় ভালো। এতে ভিজিটররা ওই পেইজ করতে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অনেক ভিজিটররা ওই পেজটি ডাউনলোড করতে চান না।
৬. ডিজাইন ও কালার এর ব্যবহার: ডিজাইন কালার এর সঠিক ব্যবহার একটি পেজকে সত্যিকারের আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। ডিজাইনের ক্ষেত্রে দুই বা তিনটি প্রধান রং ব্যবহার করা যেতে পারে। ফন্ট এর স্টাইল অতিরিক্ত পরিবর্তন না করাই ভালো। লিংকিং পেজগুলো সংযোগ লেখা অন্য রঙের দেওয়া উচিত। যাতে ভিজিটরের সহজে বুঝতে পারে যে ঐ লেখাতে ক্লিক করলে অন্য একটি পেইজ আসবে।
৭. কন্টেন্ট টেক্সট: একটি ওয়েব পেজের অভ্যন্তরস্থ লেখা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অংশের টেক্সট খোলার লক্ষ্য রাখতে হবে যে টেক্সটি যথেষ্ট পরিমাণে তথ্যবহুল হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতি লাইনে 15 থেকে ২০ টি শব্দ থাকলে পড়তে সুবিধা হয়।