এক্স-রের জানা অজানা তথ্য!

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ।বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ।পৃথিবীতে কোন স্থান নেই যেখানে বিজ্ঞানের ছোয়া পৌছায় নি। বিজ্ঞান জীবনযাত্রাকে করেছে বেগবান।
বিজ্ঞানের ছোয়ায় মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে সাগরের অতল গহ্বরে,মহাকাশে,চাঁদে,মঙ্গল গ্রহে।

বিজ্ঞানের অবদানে পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলেএসেছে।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করছে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আজ পুরো পৃথিবী আজ আশীর্বাদপ্রাপ্ত। কম্পিউটার,ল্যাপটপ,স্মার্টফোনের সহযোগিতায় আমরা অজানাকে জানতে পারছি অচেনাকে চিনতে পারছি।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার পৌছে গেছে প্রতিটি মানুষের দ্বার প্রান্তে।

বিজ্ঞান আমাদের জ্ঞানের মহাসমুদ্রে বসবসা করতে সাহায্য করে।
নিত্য নতুন জ্ঞান আহরনে আমরা বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হই।
বিজ্ঞান চিকিৎসা ক্ষেত্রে এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন।বিজ্ঞানের অবদানে মানুষ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসছে।
তেমনই এক যন্ত্র এক্স রে। আজ আমরা এটা সম্পর্কেই জানবো।

এক্স-রে কি?

1885 সালে উইলিয়াম রন্টজেন উচ্চশক্তিসম্পন্ন এক ধরনের রশ্নি আবিষ্কার করেন,যেটি শরীরের মাংসপেশি ভেদ করে গিয়ে ফটোগ্রাফিক প্লেটে ছবি তুলতে পারতো।এই রশ্নির প্রকৃতি তখন জানা ছিল না বলে তার নাম দেওয়া হয়েছিল এক্স রে।
এখন আমরা জানি এক্স রে হচ্ছে আলোর মতোই বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ তবে তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য আমাদের পরিচিত দৃশ্যমান আলো থেকে কয়েক হাজার গুন ছোট।তাই তার শক্তিও সাধারন আলো থেকে কয়েক হাজার গুন বেশী।
যেহেতু তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক ছোট তাই আমরা খালি চোখে এক্স -রে দেখতে পাই না।

কিভাবে এক্স- রে তৈরী হয়?

একটা কাচের গোলকের দুই পাশে দুটি ইলেকট্রোড থাকে- একটি ক্যাথোড আর অন্যটি অ্যানোড।
টাংস্টেনের তৈরী ক্যাথোডের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে সেটে উত্তপ্ত করা হয়।তাপের কারনে ফিলামেন্ট থেকে ইলেক্রন মুক্ত হয়।এবং অ্যানোডের ধনাত্বক ভোল্টেজের কারনে সেটি তার দিকে ছুটে যায়।
ক্যাথোড এবং অ্যানোডের ভেতর ভোল্টেজ যত বেশি হবে ইলেক্ট্রন তত বেশি গতিশক্তিতে অ্যানোডের দিকে ছুটে যাবে।

এক্সরে টিউবে এই ভোল্টেজ 100 হাজার ভোল্টের কাছাকাছি হতে পারে।ক্যাথোড থেকে প্রচন্ড শক্তিতে ছুটে আসা ইলেকট্রনগুলো অ্যানোডকে আঘাত করে।
এই শক্তিশালী ইলেকট্রনের আঘাতে অ্যানোডের পরমানুর ভেতর দিকের কক্ষপথে থাকা ইলেকট্রন কক্ষপথচ্যুত হয়।তখন বাইরের দিকের কক্ষপথের কোন একটি ইলেকট্রন সেই জায়গাটা পূরন করে।এর কারনে যে শক্তিটুকু উদ্বৃত্ত হয়ে যায় সেটি শক্তিশালী এক্স রে হিসেবে বের হয়ে আসে।

ঠিক কত তরঙ্গ দৈঘ্যের এক্স রে বের হবে সেটি নির্ভর করে অ্যানোড হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর।সাধারনত তামাকে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এক্স-রের অপ্রয়োজনীয় বিকিরন যেন শরীরে কোন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয়তা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।এজন্য কোন রোগীর এক্সরে নেওয়ার সময় এক্স রে করা অংশটুকু ছাড়া বাকি শরীর সিসার তৈরী অ্যাপ্রোন দিয়ে ঢেকে নিতে হবে।

অত্যন্ত প্রয়োজন না হলে এক্সরে করা হয় না।

Related Posts

14 Comments

মন্তব্য করুন