যদি ম্যাচ জেতার পর বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে রাস্তায় মিছিল দেখা হয়েছে কখনো আপনার, তাহলে ধরে নিতে হবে অবশ্যই আপনি দেখেছেন হাজার হাজার ভক্তকে রাস্তায় নেমে আসতে ,এক খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের শত শত সমস্যার মাঝে , একটা ম্যাচ জেতার আনন্দ যে কতটা তা রাস্তায় ছোট্ট ছোট্ট ছেলে থেকে বুড়ো রিকশা ওয়ালার হাসিমুখ ই বোঝার জন্য যথেষ্ট। হ্যা বলছি, ক্রিকেট নামক এক খেলার কথা ,যা দেশীয় খেলা না হওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিটি বাঙালির যেনো এক অন্যরকম আবেগের জায়গা এই ভিনদেশী খেলা।
যদিও মাঠে দেশের হয়ে এগারো জন খেলে কিন্তু প্রতিটি বাঙালি প্রার্থনারত থাকে কখন আমাদের দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে আনবে বিজয়।
অজো পাড়গায়ের কৃষক এর ছেলেটার এখন হতে চায় সাকিব আল হাসান এর মতো বড় ক্রিকেটার। মেয়েরাও পিছিয়ে থাকে না এখন, সালমার মতো উদ্দ্যেমী প্রাণচঞ্চল ক্রিকেটার হয়ে দেশের জন্য জয় ছিনিয়ে আনতে চায়। স্বপ্ন দেখার এক নতুন দরজা খুলে গিয়েছে যেনো নতুন প্রজন্মের কাছে। যে ছোট ছেলে আগে শচীন টেন্ডুলকারের মতো হতে চাইতো এখন সে তামিম ইকবালকে অনুপ্রেরণা নেয় , কারণ এখন যে আমাদের ছেলেরা ভালো ক্রিকেট খেলে। একটা সময় ছিলো আমরা কাল ভদ্রে ম্যাচ জিততাম। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে জিতে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি , হ্যা আমরাও পারি।
আইসিসির জনপ্রিয় তিনটি ক্রিকেট ফরম্যাটেই আমাদের পদচারণা রয়েছে।যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই , প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ ছিলো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১ মার্চ ১৯৮৬ সালে, তারপর ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দশম টেস্ট ক্রিকেট খেলা দেশ হিসেবে পথচলা। ক্রিকেটের আরেক জনপ্রিয় ফরম্যাট টি-২০ ক্রিকেট এ অভিষেক হয় ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট এ পদযাত্রা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ এ পাকিস্তান বধের সেই তাজা স্মৃতি এখনো মনে করে এদেশের ক্রিকেট ভক্তরা।
সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনেক উথান পতন এর সাক্ষী হয়েছে এদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা তবে তাদের আশার পারদ পুরোপুরি পূর্ণ করতে পারি নি সোনার ছেলেরা। টেস্ট ক্রিকেট এ এখনো বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। হালের জনপ্রিয় টি-২০ ফরম্যাটেও খুব ভালো অবস্থান নেই আমাদের।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ভয় তুলনামূলক কাটিয়ে উঠেছে আমাদের দল তাই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা হয়েছে এখানেই। বিশ্বকাপ নিয়েও বরাবরই আমরা বেশি আশা করেছি যার ফলাফল দেখেছি ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শুরু করেছিলেন যেসব পুরাতন ক্রিকেটাররা তাদের দেখানো পথে এগিয়ে এসেছে আর পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট এ এখন। সেরা অলরাউন্ডার হয়ে সাকিব আল হাসান বিশ্বের বুকে বরাবরই আমাদের দেশকে চিনিয়েছেন। মাশরাফি,তামিম, মুশফিক,রিয়াদ সবাই দলে নতুন ভাবে নিজেকে মেলে ধরার কারণেই কালভদ্রে আগে যে জয় আসতো এখন সেখানে আমরা প্রায়শই জয় রথ দেখি। কয়েকবার ফাইনালে গিয়েও রানার্সআপ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে, যেমন নিজ ঘরের মাঠে ২০১২ সালের হৃদয় বিদারক ফাইনাল যেখানে বাংলাদেশ ২ রানে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায়।
কিন্তু হতাশ করেনি আমাদের তরুণ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের দামাল ছেলেরা।এইতো সেদিন আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হয়ে পৃথিবীর বুকে লিখেছে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস।
একসময় ছিলো বাংলাদেশ এ ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা বেশি , বিশেষ করে ৯০ দশকে কিন্তু এখন ক্রিকেট বাংলাদেশের আমজনতার কাছে এক ভালোবাসার জায়গা। একদিন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ জিতবে আর প্রতিটি ক্রিকেট প্রেমীদের ঘরে হবে উৎসব কমবেশী আমার মতো ,সব ক্রিকেট প্রেমী এই স্বপ্ন দেখে।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে দেখা গেল ওয়ার্নার-স্মিথকে
অবশেষে ফিরলেন তারা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এসেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও অস্ট্রেলিয়া দলের প্রসঙ্গ এলেই ব্যবহার...