আপনিই হবেন ক্লাসের প্রথম।আপনি যদি শিক্ষার্থী হন এবং ক্লাসের প্রথম হতে চান তাহলে আপনাকে সচেতন হতে হবে এই পাঁচটি ভুল সম্পর্কে।
১.নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা: নিজেকে নিয়ে প্রায়ই আমরা নেতিবাচক কথা বলি না ভাবি।আমি ভালো ছাত্র না পড়া মুখস্থ করতে পারিনা।আমি অংকে কাচা বা আমার সরণসক্তি ভালনা।আর ক্রমাগত শুনতে শুনতেই আপনার ব্রেন প্রোগ্রামড হইয়ে যায়।এবং সত্যি না হওয়া সত্বেও ওই বাস্তবতায় সৃষ্টি করে।এর খুব সহজ একটি উদাহরণ হলো,বৃষ্টিতে ভেজা।বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে জর আসবে এ ধারণা অনেকেরই আছে।দেখা যায় এক দু ফোঁটা বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ।অথচ ঝুম বৃষ্টিতে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবীরা দিনের পর দিন বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে যাচ্ছেন। বৃষ্টির সাথে যদি জ্বরের সম্পর্ক থাকতেন তাহলে তারা কি সেটা পারতেন?পারতেন না। আসলে আপনি যদি মনে করেন ক্লাসে প্রথম হওয়ার মত মেধা আপনার নেই তাহলে আপনি মস্ত বড়ো ভুল করছেন। নিজেকে নিয়ে সব ধরনের হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে। সবসময় নিজেকে বলুন,
আমি বিশ্বাসী,
আমি সাহসী।
আমি পারি,
আমি করবো।
আমার জীবন,
আমি গড়বো।
২.ভুল বন্ধুত্ব: শেখ সাদীর একটা উক্তি আছে কবুতর কবুতরের সাথে মিশে ঈগল ঈগলের সাথে মিশে।আপনার বন্ধুরা যদি দুর্বল চিত্ত হয় বা অন্যায় অত্যাচারে লিপ্ত থাকে বা মাস্তান সন্ত্রাসীদের সাথে জড়িত থাকে তাহলে এ ধরনের বন্ধুরা আপনাকে আপনার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে।তাদের সাথে থেকে আপনিও বদ অভ্যাস অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারেন।তাই সবসময় সঠিক মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত।সুসম্পর্ক থাকবে সবার সাথে কিন্তু বন্ধুত্ব হবে তাদের সাথেই যাদের জীবন চেতনা ও লক্ষ্যের সাথে আপনার মিল রয়েছে।
৩. লক্ষ্য ঠিক না করা: পরীক্ষা নিয়ে ,পড়ালেখা নিয়ে এবং জীবন নিয়েও অনেকের কোনো লক্ষ্য থাকে না।ফলে পরীক্ষা থেকে পড়ালেখা থেকে জীবন থেকে তারা কিছু পাইনা। সফলতার জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। তাই সবার আগে লক্ষ ঠিক করতে হবে।
৪.নিয়মিত না পড়া: অনেক শিক্ষার্থী সারাবসর না পড়ে শুধু পরীক্ষা এলে পড়বে বলে রেখে দেই।ফলে পরীক্ষার সময় অল্প সময়ে না হয় ভালোভাবে পড়া না হয় ভালো রেজাল্ট। উল্টো টেনশনে দেহমনের বারোটা।এজন্য পড়াশোনা সহ সব কাজের রুটিন করা উচিত এবং নিয়মিত মনোযোগ সহকারে পড়া উচিৎ।
৫.পরীক্ষা নিয়ে টেনশন: মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর একটি বড় সমস্যা।কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে আপনি যত টেনশন করবেন আপনার পরীক্ষা তত খারাপ হবে। নার্ভাসনেস সহ নানা উপসর্গ দেখা দিবে। পরীক্ষার হলে গিয়ে জানা জিনিস ও ভুলে যাবেন। পরীক্ষার আগের রাতে পড়া শেষ করে শোয়ার আগে নিয়ন মাফিক মনের বাড়িতে প্রত্যয়ন করতে পারেন। আগামীকাল পরীক্ষা চলাকালীন আমি অত্যন্ত প্রশান্ত ও সজাগ থাকবো। প্রশান্ত মনে আত্ব প্রত্যয়ের সাথে প্রতিটি প্রশ্নের দ্রুত সঠির উত্তর লিখবো।
সবাই এই পাঁচটি বিষয় সচেতন হলে ভালো কিছু করতে পারবে।