জুয়া খেলার তাবিজ | অনলাইনে জুয়া খেলার উপায় | সতর্কবার্তা

আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব বাংলাদেশে জুয়া খেলা ও ঝুঁকি, জুয়া খেলায় লাভ করার উপায়, জুয়া খেলার তাবিজ, অনলাইনে জুয়া খেলার উপায় সম্পর্কে সতর্কতামূলক কথা। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

অনলাইন জুয়া নিয়ে সতর্কতা

অনলাইন জুয়া নিয়ে সতর্কতা

আমরা অনেকেই জুয়া বা বেটিংয়ের সাথে জড়িত। কিন্তু এই জুয়া বা বেটিং বাংলাদেশে তৈরি করা ও ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সেই জুয়া কোন দামি ক্লাবভিত্তিক ক্যাসিনোতে হোক কিংবা অনলাইন হোক তা অবৈধ। অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্লাবে এই জুয়া খেলা হতো যার উপর গত দুই একবছরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন জুয়া খেলার জন্য মানুষজন নানা অনলাইন ক্যাসিনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। অনলাইন ক্যাসিনো সাইট ব্যবহার করাও বেআইনি।

প্রায় দুই শোরও বেশি এসব বেটিং সাইট ব্যান করা হয়েছে। বেটিং যে শুধু অবৈধ তা কিন্তু নয়। জুয়া বা বাজি এমন একটি কাজ যা যতবার করবেন তত আরও করতে মন চাইবে। তো এতে একসময় আপনি একদম দেউলিয়া কিংবা হতদরিদ্র হয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও ধর্মেও জুয়া বা বাজিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসলামিক বিধান মতে জুয়া বা বেটিং মহাপাপ। এছাড়াও কিছু কিছু ফেইক ক্যাসিনো ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে যারা আপনাকে অনেক বড় বড় অফার বা লোভ দেখাবে। নতুন তৈরি হওয়া কোনো বেটিং বা ক্যাসিনো ওয়েবসাইট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

অনলাইনে জুয়া খেলার উপায় / কিভাবে খেলবেন?

আমি আগেও বলেছি যে বাংলাদেশে প্রায় দুই থেকে তিন শত জুয়ার ওয়েবসাইট ব্যান হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে তাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা আর সম্ভব নয়। কিন্তু এখন আপনি চাইলে একটি ভিপিএন ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং সেখানে একটি কান্ট্রে সিলেক্ট করে নিবেন। তাহলে হয়তো আপনি ওই সাইট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আবার অনেক ক্যাসিনো ভিপিএন সাপোর্ট করে না অর্থাৎ ভিপিএন ব্যবহার করলে আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে।

অনলাইন জুয়া খেলার কয়েকটি সাইট লিংক

অনলাইন জুয়া খেলার কয়েকটি সাইট লিংক

বাংলাদেশে যেসকল বেটিং ওয়েবসাইট বা অনলাইন ক্যাসিনো রয়েছে তার বেশিরভাগই ব্যান হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক ভালো দেশি ও বিদেশি অনলাইন ক্যাসিনো ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছেঃ বাজি লাইভ (লিংক), আইসিসি উইন (লিংক), মেগা কেসিনো (লিংক), ইউনি বেট, ওয়ান এক্স বেট, বেট ৩৬৫, ৮৮৮ স্পোর্টস, বেটওয়ে, পারি ম্যাচ, মোস্ট বেট, ওয়ান উইন, জিজিবেট, বেট উইনার ইত্যাদি।

উল্লেখযোগ্য যে, এসকল ওয়েবসাইটের অনেকগুলো হয়তো বাংলাদেশে ব্যান হয়ে গেছে। আর অনেকগুলো সাইট হয়তো সামনে ব্যান হয়ে যেতে পারে। এসকল বড় অনলাইন ক্যাসিনো ওয়েবসাইটগুলো যখন বাংলাদেশে ব্যান হয়ে যায় সেসময় একদল লোক তার সুবিধা নেয়। তারা ফিশিং সাইট তৈরি করে। ফিশিং সাইট হলো আপনাকে বোকা বানানোর ও স্ক্যাম করার জন্য তৈরি করা ওয়েবসাইট। যেমনঃ এই সাইটটির নাম grathor.com। এখন কেউ একজন grathor.co বা grathor.io এরকম ডোমেইন সংযুক্ত ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনাকে স্ক্যাম করার চেষ্টা করবে। তো সেক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানে থাকবেন।

জুয়া খেলায় লাভ করার উপায়

জুয়া খেলায় লাভ করার উপায়

আসলে জুয়া খেলা অনেকাংশই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আপনি আপনার বুদ্ধিও খাটাতে পারেন। বিশেষ করে স্পোর্টস বেটিংয়ের সময়ে কোনো দলের উপর বাজি ধরার আগে অবশ্যই সে ম্যাচ নিয়ে রিসার্চ করুন। যেমন ধরুনঃ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে একটি ম্যাচ হচ্ছে। তো আপনি এখন সবকিছু একটি ঘাটাঘাটি করে দেখবেন। এখন পর্যন্ত দুই দলের কতবার খেলা হয়েছে, কয়বার আর্জেন্টিনা জিতেছে, কয়বার ব্রাজিল জিতেছে ও কতবার টাই হয়েছে।

তাছাড়াও দেখবেন মূল একাদশে কে কে আছে কার কেমন পারফরম্যান্স। বিশেষ করে কি প্লেয়ার বা মূল প্লেয়ার যেমন মেসি, ডি মারিয়া, নেইমার ইত্যাদি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কেমন। আপনি যদি শুধু ভাগ্যের উপর ছেড়ে না দিয়ে একটু রিসার্চ করেন তাহলে আপনার জেতার অনেক গুণে বেড়ে যাবে। আর এসকল তথ্য আপনি বিনামূল্যে গুগলেই পাবেন।

জুয়া খেলার তাবিজ

জুয়া খেলার তাবিজ কি কাজ করে?

দেখেন আসলে আমরা আপনাকে জাজ করা বা আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করার কেউ নয়। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আপনার জুয়াই খেলা উচিত নয়। জেতার জন্য জুয়া খেলার তাবিজ তো পরের কথা। আর আপনি যদি জুয়া খেলার জন্য তাবিজ নিতে চান সেটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। যা নিয়ে হস্তক্ষেপ বা কথা বলার আমি কেউ নই। কিন্তু বাজিতে জেতার জন্য নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করা ও নিজের উপর বিশ্বাস রাখাই আশা করি যথেষ্ট।

ব্যক্তিগত মতামত

আমি নিজে জুয়া, বেটিং বা ক্যাসিনোর প্রতি ওতটা আকৃষ্ট নয়। কারণ এতে অনেক ঝুঁকি। এবং অনেক অংশই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে সরাসরি বা অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ ও বেআইনি। এবং আপনার জুয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ শাস্তিও রয়েছে। জুয়া আইনে ঢাকা মহানগরীর বাইরে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

অনলাইন জুয়া খেলার শাস্তি

কিন্তু এই আইনে সাজার পরিমাণ খুবই নগন্য ও যুগোপযোগী নয়। শাস্তি হলো মাত্র ২০০ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড। যদিও তারা আরও যুগোপযোগী ও আরও কঠোর আইন আনার ব্যবস্থা করছে। এছাড়া আমাদেরসবারই হয়তো মনে আছে ২০১৯ সালে এই ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি নিয়ে গণ গ্রেফতার করা হয়। এবং সে সময় হাইকোর্ট আদেশ দেয় যে সারা দেশেই জুয়া বেআইনি। শাস্তি যতটুকুই হোক না কেন আমাদের দেশের আইন ও নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে ও মেনে নিতে হবে। তাছাড়া জুয়ায় টাকা আয়ের চেয়ে লস হওয়ার সুযোগ বেশি। আমাদের দেশের ও ধর্মের নীতি মেনে চলা উচিত।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts