ড্রাইভার ও ব্যবসায়ীদের পোষাকে হোক আইন প্রণয়ণ

এদেশের সাধারণ মানুষ যেন ইচ্ছা করেই নোংড়া থাকতে পছন্দ করে। সাধারণত যারা সরকারি বা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি করে তারা এক প্রকার বাধ্য হয়েই পরিপাটি পোষাক পরিধান করে। এর বাইরে ব্যবসায়ী মহল এবং ড্রাইভাদের পোষাক পরিচ্ছদ দেখলেই বুঝা যায়- পরিপাটি পোষাক পড়তে তাদের কতটা অনিহা। অথচ সামর্থের দিক দিয়ে তারাই পরিপাটি পোষাক পরিধানে অধিক অগ্রগণ্য এবং এতে বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদাও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তু কে শুনে কার কথা? অধিকাংশ ব্যবসায়ীই নোংড়া ও অগোছালো পোষাক পড়েই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বসে এবং ড্রাইভারেরা বিরক্তিকর পোষাক পড়ে রাস্তা-ঘাটে ভাড়া টানে। শ্রমিকদের কথা বলাই বাহুল্য তারা যেন নোংড়ার প্রতীক। ইচ্ছা করেই তারা নোংড়া কাপড় পরিধান করে এবং এটা দেখার বা বলারও যেন কেউ নেই। অথচ মালিকগণ শ্রমিকদেরকে মুখে বলে দিলেই শ্রমিকদের পোষাকে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

খবর-পত্রিকা বা টেলিভিশন ইউটিউবে দেখা যায় অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কত সুন্দর ফর্মাল ড্রেস পড়ে কর্মস্থলে যায়। এমন নয় যে এদেশের ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং ড্রাইভারদের পোষাক কেনার সামর্থ নেই। শুধুমাত্র উদাসীনতার বশবর্তী হয়েই নোংড়া জামাকাপড় পড়ে যাতায়াত করে। তাই সরকারের উচিত দেশের সুনাম ও পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোষাকের ক্ষেত্রে আইন আরোপ করা।

যাতে করে ব্যবসায়ী মহল, শ্রমিক মহল এবং ড্রাইভারগণ ফরমাল ড্রেস পরিধান করতে বাধ্য থাকে। এতেকরে প্রেসমহল এবং সাংবাদিকগণ সংবাদ প্রচারের সময় তাদের ধারণকৃত শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও ড্রাইভারদের পরিচ্ছন্নতা ফোটে উঠবে এবং তা সারা বিশ্বে প্রচারিত হবে। এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে দেশের ভাব-মর্যাদা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে আশা করা যায়।

তাই আমার একান্ত অনুরোধ যদি এই লেখাটি সরকারি কোন উপযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টিগোচর হয় তবে এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও ড্রাইভারদের পোষাকে আইন প্রণয়ন করে দেশীয় ভাব-মর্যাদা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিন। এতে যেমন বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম সুখ্যাতি বাড়বে তেমনি দেশের আভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে এই নোড়া সংস্কৃতি ও পরিবেশ থেকে দেশটা পরিচ্ছন্নতার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

সবশেষে বলবো- যারাই এই লেখাটি পড়ছেন তারাও নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দিকে দৃষ্টি দিবেন এবং কর্মস্থলে বের হওয়ার সময় পরিপাটি পোষাক পরিধান করবেন। তাছাড়া আপনার সহপাঠি ও প্রতিবেশিদেরকেও বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করবেন। কারণ দেশটা আমাদের সবার আর এই দেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধির দাইত্বও আমাকে-আপনাকেই নিতে হবে। তবেই দেশের মান মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং এই নোংড়া পরিবেশ থেকে আমি আপনি মুক্ত থাকতে পারবো। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম পাবে একটি সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ।

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন