তথ্যপ্রবাহ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট

হাই বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশাকরি সবাই ভাল আছো। আমিও আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি। আজকে আমি তোমাদের সামনে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করব।

আজকের দিনে তথ্যপ্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ হলো ইন্টারনেট। তথ্য প্রবাহ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এক বিস্ময়কর বিপ্লব বয়ে এনেছে। ইন্টারনেট আসলে কম্পিউটার ডিভাইস কেন্দ্রিক বিশ্ব যোগাযোগের একটি অভিন্ন ক্ষেত্র। এটি একটি জটিল যোগাযোগ জাল। এর সাধারণ পরিচয় বিশ্ব ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক।

ইন্টারনেট এর যাত্রা শুরু 1969 সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পারমাণবিক যুদ্ধ ও হামলা সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদানের লক্ষ্যে আমেরিকান’ ডিফান্স নেটওয়ার্ক,’নামে এবছর একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষভাগে এই তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষ করে কম্পিউটারের উন্নতির ফলে ইন্টারনেট বিশ্বের সর্বত্র জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইন্টারনেট মূলত মুহুর্তের মধ্যে অগণিত ব্যবহারকারীকে পরস্পর সংযুক্ত করে এবং তথ্য উপাত্ত বিনিময় সুযোগ করে দেয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সবার আগে প্রয়োজন হয় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্রডব্যান্ড লাইনের সংযোগ বা মডেম।

আজকাল মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্য ,ব্যক্তিগত ,সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তবে এর মাধ্যমে মানুষ আর অনেক ক্ষতি সাধিত হয়।

পরিশেষে বলা যায়, ইন্টারনেট আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে, যে এটি ছাড়া এক মুহূর্ত আমরা কল্পনা করতে পারিনা। এখন আমাদের বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির দিক দিকে অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এখন তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এ স্যাটেলাইট এর কারণে আমাদের দেশ এখন অনেক এগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে। বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয় আমার সাথে একমত। ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন