লাইফস্টাইল
ত্বকের যত্নে গোলাপের ব্যবহার


পোলাপ প্রকৃতির এমন একটি উপাদান যাকে সৌন্দর্যের প্রতিক হিসেবে মানা হয়। পোলাপ এমই একটা ফুল যেটা যাকে নিয়ে লিখেছেন অনেক কবি সাহ্যিতিকরা।গোলাপ যাকে বলা হয় ফুলের রানি। কিন্তু এই গোলাপ শুধু সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়। এর রযেছে নানা প্রকার গুন যা বাব্যার করে অনেক দিন নিজের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা যায়। প্রাচীন অনেক গ্রহন্ত থেকে যানা যায় উপমহাদেশের রানীরা ও সুন্দর থাকতে ব্যাবহার করত গোলাপ, গোলাপের পাপড়ির মিশ্রণ, পোলাপ থেকে বানান গোলাপ জল।
তাই রুপ চর্চায় গোলাপের ব্যাবহার হয়ে আসছে প্রচীন কাল থেকে।
১) মুখপরিষ্কার করেঃ পোলাপ জলের ভিতর এমন কিছু উপাদন রয়েছে যা মুখের তক গভির থেকে পরিষ্কার করে এবং মুখেকে সুন্দর। এর জন্য গোলাপ জল নিয়লিত মুখে লাগাতে হবে।
২)মুখের উজ্জ্বলতাঃ মুখের উজ্জলাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গোলাপের তুলনা হয় না বললেই চলে। গোলাপের পাপড়ির শুকিয়ে চূর্ণ করে তার সাথে স্যামান্ন পরিমান পানি মিসিয়ে তকে লাগালেই মুহূর্তেই ফিরে আসবে হারানো উজ্জ্বলতা।
৩)তকের কালো দাগঃ তকের দাগ দূর করার জন্য গোলাপের পাপরি খুব উপকারী। তার জন্য পোলাপ জল এবং মধু মিসিয়ে তকে লাগতে হবে। আর ১ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তক হবে নরম, সন্দর, উজ্জ্বল।
৪) তৈলাক্ত তকঃ তকের মুখে তেল অনেক বেশি। এর জন্য মুখে অনেক ময়লা জমে যেতে পারে। যার ফলে হতে পারে নানা রকম সমস্যা। তার জন্য গোলাপের পাপরিরচূর্ণ করে তার সাথে হলুদ মিসিয়ে লাগাতে হবে। এতে অনেক উপকার হবে।
৫) চুলকে নরম করেঃ চুল নিয়ে অনেকেরই অনেক
সমস্যা হয়। রুক্ষ চুলকে গোলাপ জলের সাহায্য নিয়ে রেশমি করা যায়।এর জন্য কিছু টা গোলাপ জক নিয়ে এর সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে। তাত পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়েই হবে।চুল হয়ে যাবে অনেক উজ্জ্বল, নরম এবং রেশমি।
৬)প্রকৃতিক কন্ডিশনারঃ
গোলাপ জল চুলে অনেক সুন্দর ভাবে কন্ডিশনার করে। তাই গোলাপ জল দিয়ে প্রকৃতিক ভাবে চুলকে ককন্ডিশনিণং করা যেতে পারে। তাতে চুল অনেক মজবুত ও হবে এবং চুল পড়া কমবে।
৭) ঠোঁটের কালো দাগঃ ঠোঁটের কালো দাগ অনেক অন্যতম সমস্যা। এর জন্য ও গোলাপ জল ভিষণ উপকারী। এই গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যাবহারের ফলে ঠোঁট সুন্দর হয় । এর ফলে ঠোঁট থেকে কালো দাগ দূর হয়ে যায়। এই গোলাপ জল নিয়মিত লাগালে
ঠোঁটের ভিতর জমে থাকা মৃত কোষ সহজে বেশি যায়। এর মাধ্যমে ঠোঁট হয় কোমল, নরম আর
গোলাপি।
এই ছিল তকের যত্নে গোলাপের ব্যাবহার নিয়ে আজ কিছু টিপস।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
লাইফস্টাইল
ভালোবাসা নিয়ে কিছু বাস্তব কথা


ভালোবাসা নিয়ে প্রথমে ইংলিশ লেখক টমাস মুলার এর একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শুরু করি, ভালো ভাসতে শেখো, ভালোবাসা দিতে শিখো, তা হলে তোমার জীবনে ভালবাসার অভাব হবে না।
এ কথাটি চরম সত্য। আসলে ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসা হতে পারে প্রকৃতির সাথে,প্রানীর সাথে, প্রেমিকার সাথে, বিধাতার সাথে। মানুষের হৃদয়ের একটি অনুভূতি হল ভালোবাসা। যে অনুভূতি কাউকে দেখাতে পারেন না,অনুভব করে বুঝে নিতে হয়। ভালোবাসা হতে হবে নিখুঁত।
ভালোবাসা মানুষের একটি মহৎ গুণ। যা নিজের মনের ভেতর লালন করতে হয়। নিজেকে নিজে ভালোবাসতে হয়। যে নিজেকে নিজে ভালোবাসতে পারে না,সে অন্য কাউকে ভালবাসতে পারবে না।
বলা হয় ভালোবাসা সবার জন্য সমান। কিন্তু বাস্তবে তা আমরা দেখতে পাই না। বর্তমানে আমাদের সমাজে ধনী গরীবের মাঝে ভালোবাসা হয় না। উচ্চ শ্রেণীর আর নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। ধনী গরীবের প্রেম ভালোবাসা শুধুমাত্র সিনেমায় দেখা যায় বাস্তবে নয়।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই ভালোবাসা প্রয়োজন।কিন্তু ভালোবাসা সারা জীবনে অনেক কিছু প্রয়োজন রয়েছে।যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক বিষয়গুলো বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের মত প্রয়োজন। আরো বড় বাস্তবতা হচ্ছে, ভালোবাসা দিয়ে কখনো পেট ভরে না, ক্ষুধা দূর হয় না। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা। তবে জীবনে অবশ্যই ভালোবাসা প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু নয়। সেক্সপিয়র এজন্য বলেছিলেন, অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায় ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।
লাইফস্টাইল
মধ্যবিত্ত নিয়ে উক্তি


মধ্যবিত্তরাই পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত। পারেনা ধনীদের সাথে মিশতে পারে না গরিবদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে। মধ্যবিত্তদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত অভিনয় করে পথ চলতে হয়। আমি নিজের মধ্যবিত্ত তাই মধ্যবিত্তের বৃত্ত ও ব্যাসার্ধ আমি ভালো করেই বুঝি। বুকে জমানো হাজারটা কষ্ট নিয়ে অন্যদের কাছে হাসিমুখে থাকতে হয়।
লোকদের মুখে শোনা যায়, এককালে ধনীরা গরিব হয় আর গরীবরা ধনী হয়ে যায়। কিন্তু মধ্যবিত্তরা সবার অগোচরে থেকে যায়। মধ্যবিত্তরা আজীবন মধ্যবিত্ত। ভাবছি আজ মধ্যবিত্ত নিয়ে কয়েকটি উক্তি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
* মধ্যবিত্ত একটি ছোট্ট। কিন্তু এই শব্দটি এতটাই অর্থবহুল যা কখনো একটা অভিধানে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
*মধ্যবিত্তদের উড়ানোর মত টাকাকড়ি নেই,কিন্তু ২ টাকা পকেটে নিয়ে হাসি দেখার মত রয়েছে অলৈাকিক ক্ষমতা।
*মধ্যবিত্তরা পৃথিবীতে জন্মায় অভিনয় করে,সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার জন্য।
*মধ্যবিত্তদের কখনো স্বপ্ন দেখতে নেই,তারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়,কারন স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট খুব বেদনাদায়ক।
*মধ্যবিত্তদের জীবনটা হল ঘরপোড়া গরুর মত তারা সিঙ্গুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।
*মধ্যবিত্তদের একটা যাদুকরী গুন রয়েছে,সেটা হল নিজের কষ্টগুলো চাপিয়ে রাখার ক্ষমতা।
*দুই শ্রেনীর মানুষ পৃথিবীতে থাকা উচিত। একটি ধনী অপরটি গরিব। মধ্যবিত্ত নামে কনো শ্রেনী থাকা উচিত নয়।
*মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়-হুমায়ূন আহমেদ।
* মধ্যবিত্তদের জীবনে অনেক চাওয়া পাওয়ার মাঝে লুকিয়ে রাখা একটি শব্দ “থাক লাগবেনা”।
*মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মানো চেয়ে ফকির হয়ে জন্মানো ভাল। ফকিরদের অভিনয় করতে হয়না কিন্তু মধ্যবিত্তদের সুখে থাকার প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যেতে হয়।-হুমায়ূন আহমেদ।
লাইফস্টাইল
বাইক নিয়ে ক্যাপশন


বর্তমানে আমাদের সমাজে তরুণ প্রজন্ম বাইক চালানো একটা নেশা হয়ে গেছে। বিশেষ করে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলে গুলো বাইক নিয়ে মাস্তানি করে বেড়ায়। বাইক নিউ ফ্যাশন করতে গিয়ে তা মে কততা ঝুঁকির মধ্যে করতে হয় তা এ যুগের ছেলেরা ধারণা রাখে না। বাইক নিয়ে ক্যাপশন –
প্রতিবছর এ দেশে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় অনেক মানুষ। যানবাহনের মধ্যে যত প্রকার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক এক্সিডেন্ট বাইক এক্সিডেন্ট। নয়তো মৃত্যু হয় তো পঙ্গু। একটা সাজানো গোছানো জীবন চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা চোখ রাখলেই এই ভয়াবহ খবর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক পিতা মাতার আসেন তাদের আদরের ছেলেকে অল্প বয়সে মটর বাইক কিনে দেন। এটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত।
এই অল্প বয়সে বাইক কিনে দিলে ছেলেগুলো যদি এক্সিডেন্ট না হয় তবে তারা নানা ধরনের বিপদে পরিচালিত হয়। পড়ালেখা বাদ দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানি করে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েদের ইভটিজিং করে। এক বাইকে তিন,চারজন বসে হাইস্পিডে চলে যায়। একটু এদিক সেদিক হয়েছে তারা শেষ। একটি দুর্ঘটনা যেন সারা জীবনের জন্য কান্না। নিজের,পিতা মাতা স্বপ্ন এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।
আমাদের উচিত পাড়ার ছেলেপেলে গুলোকে বাইক চালানো নিয়ে সতর্ক দেয়া। অনেক ছেলে আসে তারা বাইক ব্যবহারের সময় হেলমেট পরে না, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চায় না।
এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনি সবারই সচেতন হওয়া দরকার। যারা এভাবে বাইক কিনে দেন আমি সমস্ত অভিভাবকদের অনুরোধ করবো, আপনারা আপনাদের সন্তানকে সবসময় খোঁজ রাখুন, কোথাও অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা, ছেলে মাদকাসক্ত হচ্ছে কিনা, কোন মেয়েকে ইভটিজিং করছে কিনা, খারাপ ছেলে মেয়েদের সাথে মিশছে কিনা এসব বিষয়গুলো সবসময় খোঁজ খবর রাখা দরকার।
You must be logged in to post a comment Login