এসাইন্টমেন্ট উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি নবম শ্রেণীর গ্রূপভিত্তিক বিষয় আজ ইসলামের ইতিহাস এর উত্তর নিয়ে এসেছি। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
১.বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে কাব্যপ্রীতি একটি মূল্যায়ন কর।
উত্তর:”বেদুঈনদের সাংকৃতিক সম্পদ হিসেবে কাব্য প্রীতি “এক একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। নিম্নে এই বিষয়ে মূল্যায়ন করা হলো :
প্রাক ইসলামী যুগে আরবের মানুষ মূর্খতা ,অজ্ঞতা,অন্ধকারচ্ছন্ন,বর্বরতার চরম শিখরে পৌঁছেছিলেন। সে সময়ের রাজনৌতিক অবস্থা নৈরাশ্য ,হতাশাজনক ও বিশৃঙ্খলা পূর্ণ ছিলো। আরবের মানুষ দু শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। শহরবাসী ও মেরুবাসী যাযাবর বেদুইন তারা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল এবং গোত্রপ্রধান এবং দলপতি তাদের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতো। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে শাসনব্যবস্থা না থাকায় গোত্রকলহ ভয়াভহ আকার ধারণ করেছিল। গোত্র শাসন ,রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার মূলভিত্তি। যার ফলে তাদের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি এবং নিরাপত্তার অভাব ছিল।
তাদের সামাজিক অবস্থা আরো করুন আরো নিষ্ঠর ছিল যারা সমাজ জীবনে পাপাচার,দুর্নীতি ,কুসংস্কার ,,অরাজগতা ,ঘৃণ্য আচার অনুষ্ঠান ও নিন্দনীয় কার্যকলাপে কলুষিত ও অভিশপ্ত হয়ে পরে। প্রাক ইসলামী সমাজ জীবনে ঘৃণ্য প্রথা ছিল নবজাতক কন্যা শিশুকে নিষ্ঠরভাবে জীবন্ত কবরস্থ করা।কন্যা সন্তানের জন্মকে তৎকালীন সমাজের মানুষ অভিশপ্ত পি লজ্জাকর মনে করতো। তাছাড়া অনাচার ,নৈতিক অবক্ষয় ব্যভিচার তৎকালীন তৎকালীন আরব মানুষকে করেছিল কুলষিত ও নিন্দনীয় এসাইন্টমেন্ট।
অরাজনৈতিক সমাজ জীবনে নারীর কোনো সাংঘাতিক মর্যাদা ছিলোনা। তারা পুরুষের ভোগ বিলাসের বস্তু হিসেবে বিবেচিত হতো। সে সময় সমাজ জীবনে ব্যভিচার,পাপ পংকিলতা এতো নিম্নস্তরে পৌঁছেছিল যে স্ত্রী স্বামীর অনুমুতিছাড়া পুত্র সন্তান লেভার আশায় অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হতো। অন্যদিকে তৎকালীন আরবের মানুষ বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা করতো এবং তাদের স্ব স্ব গোত্রের দেবতা ছিল। সে সময়ে বিভিন্ন ধর্মমতে প্রচলিত খ্রিষ্টান ,ইহুদি ,সাবেরী। তবে অধিকাংশ আরব মূর্তি পূজা করতো। আবার কেউ কেউ একত্ববাদে বিশ্বাস করতো।
আবার কেউ কেউ নাস্তিকতাবাদ বিশ্বাস করতো। সর্বোপরি প্রাক ইসলামী যুগে মানুষের জীবনযাত্রার মান রাজনৈতিক,সামাজিক,পারিবারিক,অর্থনৈতিক উন্নত মানের না হলেও তাদের সাংকৃতিক জীবনধারা ছিল উন্নত ও প্রশংসনীয়। তারা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সবকিছু থেকে বিরত থেকে সাংকৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করত। বিশেষ করে জিলহজ ,জিলকদ ,মহরম ও রজব মাসে তারা যুদ্ধ বিগৃহ বন্ধ করে ওকাজ নামক স্থানে মেলার আয়োজন করত। সেখানে নাচ গান ,খেলা ধুলা ,ঘোর দৌড় ইত্যাদি খেলার আয়োজন করত। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি যা আকর্ষণীয় ছিল তা হলো কাব্য প্রতিযোগিতা আরবের গন্যমান্য মর্যাদাশীল মানুষকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ দিয়ে কবিগণ স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো।
কাব্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারীকে কবিকে বৎসরের সেরা কবি হিসেবে ঘোষণা করা হতো। প্রথম স্থান অর্জনকারী কবির কবিতাকে মিশরের লিনেন কাপড়ে স্বর্ণাক্ষরে কাবা ঘরের দেওয়ালে লটকিয়ে দেওয়া হতো। আর এটাকে ইতিহাসে সাবায়ী মু’আল্লাকা হিসেবে অভিষুক্ত হয়। তাদের মধ্যে ইমরুল কায়েসের ছিলেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। তিনি শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
সাহিত্য সবাই কবিরা নিজেদের নানা ধরণের স্বরচিত সাহিত্য প্রকাশ করতো। এর থেকে বোঝা যায় বেদুইনরা কি পরিমানে সাহিত্য প্রেমিক ছিলেন।
Related keyphrase: নবম শ্রেণীর ইসলামের ইতিহাস এসাইনমেন্ট উত্তর, নবম শ্রেণীর ইসলামের ইতিহাস অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, ইসলামের ইতিহাস এসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণির উত্তর, ইসলামের ইতিহাস অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণির উত্তর, ক্লাস নাইন ইসলামের ইতিহাস এসাইনমেন্ট উত্তর, ক্লাস নাইন ইসলামের ইতিহাস অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর