মানুষের অন্তরঙ্গ সম্পর্কে সম্পর্কিত মানুষটি প্রিয়জন হওয়া সত্ত্বেও ” পৃথিবীর শক্তিশালী মানুষটিও প্রিয়জনের প্রতি দুর্বল।”পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের আত্মার আত্মীয় প্রিয়জন। হিংসা ক্ষোভ অহংকার দাম্ভিকতা যার যা কিছুই থাকুক না কেন প্রিয়জনার সম্পর্কের চেয়ে বড় মূল্যবান সম্পদ আর কিছু নেই। প্রিয়জনার সম্পর্ক এমনই এক জিনিস যে, প্রতিটি মানুষ তাঁর প্রিয়জনার কাছে বীরত্ব হারায়। কারণ কোমলতার অলঙ্কার ব্যতীত প্রিয় জনার সম্পর্ককে ধরে রাখা যায় না। প্রিয়জনার সম্পর্কের মত মধুময় সম্পর্ক পৃথিবীতে আর নেই।
প্রয়োজনেই শুধু প্রিয়জন নয় বরং প্রিয়জন হতেই প্রয়োজন প্রিয়জন। তাই প্রিয়জনের সম্পর্কের স্বরূপ বলা যায় যে, মৌমাছি যখন ফুলের সংস্রবে এসে মধু সংগ্রহ করে দৃশ্যত তখন তার সমস্ত চাঞ্চল্যতা আড়াল করে ফুলের চেয়েও কোমল স্বভাবে মিলন ঘটায়, এ জন্য যে, ফুলের মধু পেতে হলে ফুলের মত কোমলতা ব্যতীত তার থেকে মধু আহরণ করা যায় না। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক মূলত ফুলের সাথে মৌমাছির সম্পর্কের মত।
কোমলতার অলঙ্কার তথা আন্তরিকতা আর প্রিয়জনার প্রিয়সব বিনয় নম্র ব্যবহার। আত্মার আত্মীয়তার সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হলে পরস্পর পরস্পরে মধ্য ফুল থেকে মৌমাছির মধু আহরণ করার অনুরূপ এ সম্পর্ক থেকে মধুময় স্বাদ উপভোগ করা যায়। পক্ষান্তরে কঠোরতার প্রতিদান তিক্ত এবং কঠোরই হয়ে থাকে। জীবনের সৌন্দর্য ও সুখের ভান্ডার সংসার এবং সহধর্মিণী। বাহিরের ব্যক্তিত্ব , বীরত্ব কিবা সর্বসাধারণের মাঝে দেয়া ব্যবহার দিয়ে সহধর্মনী আর সংসার কোনটিই রক্ষা করা এবং সুখ উপভোগ করা কারো পক্ষে সম্ভবপর নয়। ফলশ্রুতিতে দেখা যায় যে, “পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ টিও তার প্রিয়জনের প্রতি সবচেয়ে বেশি দুর্বল।”
কবিতা
“পথ পেড়িয়ে ধূসর মরু”
মুহা. কবির হোসেন
দুর্গম গিরি পথ পেড়িয়ে ধূসর মরু ওপর
দুরন্ত আমি দুস্তর অবরুদ্ধ নীলাম্বর।
দৃষ্টি সীমা আটকে আমার স্বতন্ত্র উজ্জ্বলতার
তুষার ঢাকা প্রাচীরে অসার তীব্রতর।
নির্জন অরণ্যে দেখি অলৌকিক ঘোর আনন্দ ঘন
শুকনো পাহাড়ের ওই উপচে পড়ে অনির্বাণ।
অবুঝ মনে সবুজ জঙ্গল অস্তিত্বের আনাগোনা
দেখেছিনু তারে ছিন্ন ভূখণ্ড শূন্য আকিঞ্চন।
ডোমেন পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় নয়নকাড়া দৃশ্য
দুর্দান্ত মেঘের দৃশ্যবলীলা ছুঁয়েছে বিশ্ব ।
নকশি খচিত উচ্ছ্বাসের ট্রেকে বিমর্ষ কাতর
নিরন্তর বিমুগ্ধ পথিকের লয় করেছে অন্তর।
স্বর্ণ শিশির ঝরা সাদৃশ্য স্বপ্নহারা স্বপ্নচার
আকাশের পালতোলা চন্দ্র সূর্য দেখে অনুর্বর।
অসম্ভব চেতনার উন্মেষ জীবন-জগৎ দেখার
স্বপ্ন বিলাস হয়ে করিতে নেই বাসর।
জমাটবাঁধা মেঘেতুল্য উচ্চ আকাঙ্ক্ষার ভর
সম্ভাবনার ঔদার্য অভিলাষী হারায় আপন পর।
প্রকৃতির লুকোচুরি অবিরাম দৃষ্টি গোচর জ্ঞানী সবার
ম্লান হবে একদিন ভাঙ্গবে তাসের ঘর।
হিতবানী :
“নীতির সাথে বাঁচতে পারলে মরণেও ভয় নেই।”
মুহা. কবির হোসেন