সন্তানের জেদ সামলাতে মা-বাবার করণীয়

ছেলে – মেয়েদের বায়না সামলাতে কমবেশি সব মা-

বাবাদের হিমশিম খেতে হয়। খুব বকাঝকা করব, না

আদর দিয়ে বোঝাব বা ভুলিয়ে রাখবো? এই দোটানায়

সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। একদিকে বকাঝকা

করতে ভয় লাগে, কারণ ছোট শিশুদের মনে অভিমান

জাগে। আর অন্যদিকে তাদের আদর করে বায়না

<

জিনিসটা দিতে দ্বিধা হয়, কারণ এতে শিশুটা জেদি

হয়ে যায়। শিশুদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করলে

এই দুটো সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে থাকল

আপনাদের জন্য কিছু টিপস,,,,,,,

১। প্রথম টিপসটা হলো আপনাদের জন্যই। হ্যাঁ ঠিক

পড়লেন মা-বাবা দের জন্যই। এখন যেহেতু বেশিরভাগ

মা-বাবাই চাকরি করে, সন্তানদের সময় দিতে পারি

না এই অপরাধবোধে আমরা সারাক্ষণ ভুগি। তাই ছোট

থেকে সন্তান যা যা চায় আমরা তা সাথে সাথে দিয়ে

ফেলি। কিংবা তাদের দামী দামী জিনিস দিয়ে তাদের

অভাব পূরনের চেষ্টা করি। এটা আসলে কোন সমাধান

না। তাই বলে আমি বলছি না, সন্তানদের কোন

জিনিস দেবেন না। কিন্তু একটু মনে রাখুন , ভালোবাসা

মূল্যবোধ এগুলো ভেতর থেকে এমনিই গড়ে উঠবে।

জিনিস দিয়ে সেটার রিপ্লসমেন্ট হয় না। তাছাড়া

আপনিও তো বড় হয়েছেন, কোন জিনিস না পেয়ে

কেদেছেন। তারপর সব ঠিক হয়ে গেছে। এই প্রসেসে

আপনিও বড় হয়েছেন। আপনি শুধু আপনার সন্তানের

পাশে থাকুন আর যত্ন নিন।

২। ছোট থেকে আপনার সন্তানের মধ্যে ভালো অভ্যাস

গড়ে তুলার চেষ্টা করুন ।ভালো অভ্যাস মানে ঠিক

সময় খওয়া আর ঘুম নয়। এর বাহিরেও একটু ভাবুন।

ধরুন আপনার বাসায় আপনার ননদের মেয়ে এসেছে।

আর ওর সাথে আপনার ছেলেও খেলছে। দুজনে

মিলে খেলার সময় ও যেন তার বোনকে তার খেলনা

দেয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভাই বা বোনের মধ্যে

ভাগাভাগির মানসিকতা গড়ে তুলুন।

৩। তাকে পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য ভালো প্রোজেক্ট

এ জড়ানোর চেষ্টা করুন যাতে তার মেধা বৃদ্ধি পায়।

৪। ছুটির দিনগুলোতে সন্তানের ঘুরতে নিয়ে যান। এতে

ঘুরাঘুরির আগ্রহ হারবে এবং বায়না বা জেদের হার

কমবে।

৫। সন্তানকে নিজের মত করে ভালো ভাবে বোঝান।

সুস্থ থাকুন
ঘরে থাকুন

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন