অদৃশ্য বিস্মিতিঃ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা (পর্ব ০২)

অদৃশ্য বিস্মিতি

আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা (পর্ব ০২)
____________________­__________
ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর আমার কানে👂 আল কোরআন তিলাওয়াতের ও তর্জমার শব্দ আসলছিলোঃ
🎤
– {“জুলকারনাইন বলল, “আমার কাছে লোহার পাত আনিয়া দাও।’ অবশেষে যখন সে(জুলকারনাইন) দু’পাহাড়ের মাঝের ফাঁকা জায়গা পুরোপুরি ভরাট করে দিল তখন সে সেই লোকদেরকে বলল, ‘এখন আগুনের কুন্ডুলি প্রজ্জ্বলিত করো।’ এমনকি যখন সম্পুর্ণরুপে আগুনের মত লাল হয়ে গেল তখন সে(জুলকারনাইন) বলল, ‘আনো, আমি এখন ইহার উপর গলিত তামা ঢালিয়া দেব।'”
🎤
فَمَا اسْطَا عُوْۤا اَنْ يَّظْهَرُوْهُ وَمَا اسْتَطَا عُوْا لَهٗ نَـقْبًا
ফামাছতা‘ঊআইঁ ইয়াজহারূহু ওয়া মাছতাতা-‘ঊ লাহূনাকবা-।
🎤
“ইয়াজূজ ও মা‘জুজ উহা উপর হইতে ডিঙ্গাইয়া আসিতে পারিত না, আর উহাতে শুড়ঙ্গ কাটাও তাদের পক্ষে অত্যান্ত দুঃশ্কর ছিলো।”
🎤
قَا لَ هٰذَا رَحْمَةٌ مِّنْ رَّبِّيْ ۚ فَاِ ذَا جَآءَ وَعْدُ رَبِّيْ جَعَلَهٗ دَكَّآءَ ۚ وَكَا نَ وَعْدُ رَبِّيْ حَقًّا ۗ
কা-লা হা-যা-রাহমাতুম মির রাববী ফাইযা-জাআ ওয়া‘দুরাববী জা‘আলাহূ দাক্কাআ ওয়া কা-না ওয়া‘দুরাববী হাক্কা-।
🎤
“জুলকারনাইন বলিল, ‘ইহা আমার রবের অনুগ্রহ, আর যখন আমার রবের ওয়া‘দার নির্দিষ্ট সময় আসবে, তখন তিনি ইহাকে ধূলিসাৎ করে দেবেন আর আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দা প্রতিস্চ্যুতি নিশ্যনদেহে সত্য।”
🎤
وَتَرَكْنَا بَعْضَهُمْ يَوْمَئِذٍ يَّمُوْجُ فِيْ بَعْضٍ وَّنُفِخَ فِى الصُّوْرِ فَجَمَعْنٰهُمْ جَمْعًا ۙ
ওয়া তারাকনা- বা‘দাহুম ইয়াওমাইযিইঁ ইয়ামূজুফী বা‘দিওঁ ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাজামা‘না-হুম জাম‘আ-।
🎤
“আর সেইদিন আমরা(Majestic plural only use for Allah) লোকদিগকে ছাড়িয়া দিবো। সেদিন এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব, তারা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্শে লিপ্ত হইবে। আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হইবে। অতঃপর আমরা সব মানুষকে একসঙ্গে একত্রিত করিব।”
🎤
وَّعَرَضْنَا جَهَـنَّمَ يَوْمَئِذٍ لِّـلْكٰفِرِيْنَ عَرْضَا ۙ ٭لَّذِيْنَ كَا نَتْ اَعْيُنُهُمْ فِيْ غِطَآءٍ عَنْ ذِكْرِيْ وَكَا نُوْا لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا
ওয়া ‘আরাদনা-জাহান্নামা ইয়াওমাইযিল লিলকা-ফিরীনা ‘আরদা-। আল্লাযীনা কা-নাত আ‘ইউনুহুম ফী গিতাইন ‘আন যিকরী ওয়া কা-নূলা-ইয়াছতাতী‘ঊনা­ ছাম‘আ-।
🎤
“সেদিন আমরা জাহান্নামকে কাফিরদের সামনে আনিয়া সরাসরি হাযির করব।” “আমার স্মরণ থেকে যাদের চক্ষু ছিল আবরণে ঢাকা আর তারা শুনতেও সক্ষম ছিল না।”}
(সুরা আল কাহাফ ৯৬ থেকে ১০১আয়াত)
🎤
সুরা কাহাফের এই আয়াত গুলো প্লে হচ্ছিলো। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম 🕑(৩:৩২am)🔕 আমি তো পুরো হতোবাক হয়ে গেলাম, যে, কি হচ্ছে আমার সাথে এইসব।😨 কেনো জানিনা আমার তখন মনেহচ্ছিলো যে, জীনরা এসে সুরা আল কাহাফ তিলাওয়াত ও বাংলা তরজমা শুনছিল এবং আয়াতের এই পর্যায়ে এসে হয়তো ইয়াজুজ ও মাজুজ কী সেটা বুঝতে পারছিলো না তাই হয়তো, আমার স্বপ্নের মধ্যে এসে আমাকে প্রশ্ন করছিল। কারণ আমি যে স্বপ্নটি দেখছিলাম তা ছিলো এইসব বিষয় থেকে সম্পুর্ণ আলাদা এবং সেই স্বপ্নের মাঝেই হঠাৎ করে এমন একটি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন,, অপ্রত্যাশিত ভাবে কেউ কল করে এবং জিজ্ঞেস করে ইয়াজুজ ও মাজুজ বিষয়ে। সেই স্বপ্নের মাঝেই হঠাৎ করে এমন একটি অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হওয়া কি বাঞ্চনিয়?
🎼
🎴
আর যে আয়াতগুলো আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর শুনেছিলাম তার পূর্বের আয়াতগুলো ছিলো,
📼
[“তোমাকে তারা যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘আমি তার বিষয় তোমাদের নিকট কিছু বর্ণনা করব।’” “আমি তাকে পৃথিবীতে আধিপত্য দান করেছিলাম আর তাকে সব রকমের উপায় উপাদান দিয়েছিলাম।” “একবার সে এক রাস্তা ধরল (অর্থাৎ একদিকে একটা অভিযান চালাল)।” “চলতে চলতে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবতে দেখল আর সেখানে একটি জাতির লোকেদের সাক্ষাৎ পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন! তুমি তাদেরকে শাস্তি দিতে পার কিংবা তাদের সঙ্গে (সদয়) ব্যবহারও করতে পার।’” “সে বলল, ‘যে ব্যক্তি যুলম করবে আমি তাকে অচিরেই শাস্তি দেব, অতঃপর তাকে তার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে, তখন তিনি তাকে কঠিন ‘আযাব দেবেন।” “আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে তার জন্য আছে উত্তম পুরস্কার আর আমি তাকে সহজ কাজের নির্দেশ দেব।” “তারপর সে আরেক পথ ধরল।” “চলতে চলতে সে সূর্যোদয়ের স্থানে পৌঁছল। সে সূর্যকে এমন এক জাতির উপর উদয় হতে দেখতে পেল, আমি যাদের জন্য সূর্য থেকে বাঁচার কোন আড়ালের ব্যবস্থা করিনি।” “এই হল তাদের অবস্থা। তার সামনে যা ছিল আমি সে সম্পর্কে ছিলাম সম্পূর্ণ অবহিত।” “এরপর সে আরেক পথ ধরল।” “চলতে চলতে সে দু’ পাহাড়ের মাঝে এসে পৌঁছল। সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল। যারা কথাবার্তা কমই বুঝতে পারে।” “তারা বলল, ‘হে যুলক্বারনায়ন! ইয়াজূজ মা’জূজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে, অতএব আমরা কি আপনাকে এইজন্য কর দেব যে, আপনি আমাদের ও তাদের মাঝে একটা বাঁধ নির্মাণ করে দেবেন?’” “সে বলল, ‘আমাকে আমার প্রতিপালক যা দিয়েছেন তা-ই যথেষ্ট, কাজেই তোমরা আমাকে শক্তি-শ্রম দিয়ে সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে এক সুদৃঢ় প্রাচীর গড়ে দেব।”]
(এরপর আমার জেগে ওঠার পরের আয়াতগুলো)
[ “জুলকারনাইন বলল, “আমার কাছে লোহার পাত আনিয়া দাও।’ অবশেষে যখন সে(জুলকারনাইন) দু’পাহাড়ের মাঝের ফাঁকা জায়গা পুরোপুরি ভরাট করে দিল তখন সে সেই লোকদেরকে বলল, ‘এখন আগুনের কুন্ডুলি প্রজ্জ্বলিত করো।’ এমনকি যখন সম্পুর্ণরুপে আগুনের মত লাল হয়ে গেল তখন সে(জুলকারনাইন) বলল, ‘আনো, আমি এখন ইহার উপর গলিত তামা ঢালিয়া দেব।'” “ইয়াজূজ ও মা‘জুজ উহা উপর হইতে ডিঙ্গাইয়া আসিতে পারিত না, আর উহাতে শুড়ঙ্গ কাটাও তাদের পক্ষে অত্যান্ত দুঃশ্কর ছিলো।” “জুলকারনাইন বলিল, ‘ইহা আমার রবের অনুগ্রহ, আর যখন আমার রবের ওয়া‘দার নির্দিষ্ট সময় আসবে, তখন তিনি ইহাকে ধূলিসাৎ করে দেবেন আর আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দা প্রতিস্চ্যুতি নিশ্বন্দেহে সত্য।” “আর সেইদিন আমরা(Majestic plural only use for Allah) লোকদিগকে ছাড়িয়া দিবো। সেদিন এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব, তারা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্শে লিপ্ত হইবে। আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হইবে। অতঃপর আমরা সব মানুষকে একসঙ্গে একত্রিত করিব।” “সেদিন আমরা জাহান্নামকে কাফিরদের সামনে আনিয়া সরাসরি হাযির করব।” “আমার স্মরণ থেকে যাদের চক্ষু ছিল আবরণে ঢাকা আর তারা শুনতেও সক্ষম ছিল না।” (সুরা আল কাহাফ ৮৩ থেকে ১০১আয়াত)
📼🎧📼🎵📼🎶📻📀🎤📼
আমার সঙ্গে এর আগেও অনেক প্যারানরমাল ঘটনা ঘটেছে। সময় পেলে অন্য কোনোদিন সেসব আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
ঘটনাটি কেমন লাগলো জানাবেন এবং উক্ত ঘটনাটি সম্পর্কে আপনার অভিমত ব্যক্ত করলে আমি খুব খুশি হতাম। আল্লাহ আমাদের সকলকে স্বুস্থ সবল ভাবে জীবন যাপন করার যেন তাওফিক দান করেন,সেই প্রত্যাশায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। (আল্লাহ হাফেজ)
“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!”

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন