অনলাইন আয়ের ৮টি জনপ্রিয় মাধ্যম ও সাইট লিংক। অনলাইনে আয় করুন এখন হাজার হাজার টাকা।

একসময়ের অফলাইন সুবিধা বার্তা মুছে যাওয়ার ফলে বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয়ের  ব্যাপারটা অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের এই যুগে, আমরা আমাদের জীবন যাপনের একটি বেশিরভাগ অংশ অনলাইনেই ব্যয় করি। যার ফলে টাকা আয় করার ব্যাপারটাও আমরা এখানে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। বর্তমান মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ইন্টারনেট থেকে আয় বা অনলাইনে আয় ব্যবস্থাপনা টাকে দ্বিতীয় অপশনাল সুযোগ সুবিধা হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা অবসর সময়ে অনলাইনে আয় করার কথা চিন্তা ভাবনা করে। গুগল কিওয়ার্ড  এ যদি আপনি দেখেন তাহলে অনলাইনে আয় করা নিয়ে কতগুলো কি বার সার্চ হয়ে গিয়েছে আপনার চিন্তা ভাবনাও নেই। 

 

কিন্তু আপনাকে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞাত হওয়া দরকার যেখান থেকে অনলাইনে আয় করা যেতে পারে। এখন এই সিচুয়েশনে আমাদেরকে এমন কিছু সাইট সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে যেটি তদারকি করে অনলাইন আয়ের এবং ফেক সাইট থেকে বিরত থাকতে হবে। আজকে আমি ৮টি মাধ্যম বলব যেখান থেকে অনলাইনে আয় করতে পারবেন এবং নিজের অনলাইন আয়ের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

১)ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং সবসময় অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে। যেটা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাস্ক পুরন করার সুবিধা দেবে। সর্বোপরি এজন্য আপনাকে একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলতে হবে। যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে।( মনে রাখবেন, আমি যে ৮টি মাধ্যম বলবো, তাদের লিংকগুলোও আমি একদম শেষ প্রান্তে দিয়ে দিব, মানে ওই সাইটের বর্ণনার শেষ প্রান্তে।) আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্টার করবেন তখন কিছু ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা গুলোর একটি তালিকা তারা চায়। যদি নির্দিষ্ট দক্ষতা আপনি কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই সেখানে মেহনত করতে হবে এবং আপনার দক্ষতার একটি নমুনা দেখাতে হবে। এখানে যে সকল জব অথবা কাজ দিবে সেগুলো মূলত অনলাইন, আর সে কাজগুলো নির্দিষ্ট ওয়েব সাইট ক্লায়েন্টরা যেভাবে চায় ঠিক সেভাবে আপনাকে পূরণ করতে হবে। এবং সেজন্য আপনাকে বিট করে অন্যান্য প্রতিযোগিতার মতো সেখানে এপ্লাই করতে হবে। মনে রাখবেন যাদের রিভিউ ভালো এবং অনেক আগে থেকে ফ্রীলান্স করছে তাদের সকল অনলাইন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নতুনদের জন্য সম্ভাবনা পাওয়ার জন্য একমাত্র উপায় হল পরিশ্রম। Outfiverr.com, upwork.com, freelancer.com, এবং worknhire.com এরকম কতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে যেখান থেকে প্রতি কাজের জন্য বা প্রতিটি অনলাইন সার্ভিস এর জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ ডলার থেকে শুরু করে একশ ডলার পর্যন্ত পে করা হবে।

অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি ঠিক তখনি আপনার ক্রেডিট অথবা মূল্য পাবেন যখন সফলতার সাথে তাদের অফার বা টাস্ক পুরন করে দিবেন। যখন ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার কাজটি অ্যাপ্রুভড হবে এবং সেটি তার জন্য উপকারী হবে, ঠিক তখনই আপনি পেইড হবেন। যদি আপনার একটি নির্দিষ্ট পেপাল একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। যদি পেপাল একাউন্ট না থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা ক্রেডিট কার্ড অথবা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে এখানে কাজ করতে পারবেন। 

 

)নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয়

অনলাইনে পর্যাপ্ত টুল এবং ম্যাটারিয়াল আছে যেগুলো ব্যবহার করে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট মানে টাকা ব্যয় করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট ভালো ডোমেইন নিয়ে সেখানে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি লেখালেখি অথবা ভিডিও আপলোডিং, বা যেকোনো বিষয়ে কন্টেন্ট সাজিয়ে ওয়েবসাইটটি বানাতে চান তা পারবেন। ধরুন আপনি একটি মুভি ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট খুললেন। তাহলে সেখানে মুভি লিংক গুলো আপনাকে রাখতে হবে। বিশেষ করে যদি গুগোল ড্রাইভ লিংক হয়,তাহলে সেখান থেকেও লিংক ওয়েবসাইটে রাখতে পারবেন। ঠিক এইভাবে যখন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তখন সে ওয়েবসাইটে আপনার টাকা আয় হবে। ভিজিটর মাধ্যমে যদি আপনার নির্দিষ্ট টপিক অথবা কনটেন্টগুলো করে নিতে পারেন তা হলে ভিজিটরের কোন অভাব পড়বেনা। ভালো ভিজিটর যখন থাকবে, যখন ইউনিক কন্টেন্ট থাকবে,তখন সেখান থেকে এডসেন্স এর মত অ্যাডভারটাইজার সাইট এর অনুমোদন পেয়ে যাবেন। এবং সেখান থেকে প্রতিটি এ্যাডভার্টাইজিং এবং ভিও এর জন্য টাকা আয় করতে থাকবেন। মনে রাখবেন, ভালো একটি ওয়েবসাইটের প্রতিদিন ইনকাম প্রায় একশ ডলার পর্যন্ত হয়।

৩)অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিলেন এবং সে ওয়েবসাইটটি যদি রানিং থাকে মানে হলো চলমান থাকে, তাহলে আপনি আপনার ওয়েব লিংক শেয়ার করার জন্য একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে পারেন। যেমনঃ ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার বা ব্লগ কন্টেন্ট শেয়ারের জন্য অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম গড়ে তোলে সেখানে অন্যান্য ইউজাররা আপনার লিংক শেয়ার এবং ভিজিটর আনার মাধ্যমে আপনার যেভাবে কল্যাণ হবে ঠিক একইভাবে যার এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে আপনি অসংখ্য ভিজিটর পেয়েছেন তাদেরকেও পেইড করতে হবে।

এটা হল প্রথম মাধ্যম এখন দ্বিতীয় মাধ্যমে আপনি শুধু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন। যেমনঃ কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখানে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা দেবে। মানে একটি নিজস্ব পণ্য বা কনটেন্ট শেয়ার করতে তারা আপনাকে একটি এফিলিয়েট লিংক দিবে, আপনি বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে সেই লিংকের মাধ্যমে পণ্যের সেল করাবার জন্য অন্যান্যদেরকে আগ্রহী করবেন। যদি আপনার লিঙ্ক এ থাকা পণ্যটি সেল হয়ে যায় অর্থাৎ ক্রয় হয়ে যায় তাহলে সে ক্রয়ের লাভের একটি অংশ আপনি পাবেন।

৪)জরিপ পূরণ,খোঁজা এবং রিভিউ  

অনলাইনে অসংখ্য ওয়েবসাইট আছে যেখানে সার্ভে পূরণের জন্য মানে জরিপ পূরণের জন্য আপনাকে টাকা পেইড করা হয়। এর মধ্যে Swagbucks হলো সবচেয়ে বেস্ট। এখান থেকে জরিপ পূরণ করে বাংলাদেশ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনার একটি মধ্যপ্রাচ্য দেশের বা ওয়েস্টার্ন দেশের আইপি অ্যাড্রেস থাকে, যেটি আপনি বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনভেস্ট করে ক্রয় করতে পারবেন। সার্ভে পূরণ করে ক্রেডিট পাওয়ার জন্য অর্থাৎ মূল্য পাওয়ার জন্য যে সকল প্রশ্ন জরিপে দেয়া হবে সেগুলোর নির্ধারিত উত্তর দিতে হবে এবং আপনার ব্যক্তিগত জীবন যাপনের সাপেক্ষে আসল উত্তর দিতে হবে। এছাড়া অন-লাইন সার্চের জন্য পেইড করার মত অনেক ওয়েবসাইট আছে। সেখানে  আপনাকে কিওয়ার্ড  সার্চ করতে হবে সে বিষয়ে জ্ঞান নিতে হবে এবং আপনাকে কোনো একটি সাইট SEO  করিয়ে নিতে সাহায্য করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা পেইড করা হবে। এছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লেখার জন্য অথবা ওয়েবসাইট রিভিও তৈরির জন্য টাকা পেইড করা হয়। এ রকম অনেকগুলো সাইট অনলাইনে অ্যাভেলেবল আছে এবং সেখান থেকে যারা ভালো রিভিউ করতে জানেন এবং ভালো রিভিও করতে শেখান তারা প্রচুর টাকা করতে পারবেন।  তবে এজন্য আপনাকে নিজস্ব ব্যাঙ্কের ডিটেলস দিয়ে সেখানে একাউন্ট করতে হবে এবং নির্দিষ্ট প্রজেক্ট এর উপর কাজ করতে হবে, যে প্রজেক্টে রিভিউ ভালো দিতে পারবেন। এ সকল ওয়েবসাইট তাদের পণ্য এবং কনটেন্টের ভালো রিভিউ চায় মানে যদি আপনি এর দোষ-ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে এর জন্য আপনাকে টাকা পেইড করা হবে।

অবশ্যই ক্লিক করবেনঃ১/ বাংলাদেশ থেকে ভেরিফাইড পে পাল একাউন্ট তৈরি করুন। 

২/মাত্র ১ সপ্তাহে নিন ১৫ ডলারের গুগল প্লে গিফট কার্ড একদম ফ্রীতে।

৩/অনলাইন আয়ের কতগুলো বেস্ট বাংলাদেশী সাইট।জেনে নিন।

 

৫)ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট শিপঃ

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট শিপ হলো এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে যে কোন একটি ওয়েবসাইটের নিজস্ব এসিস্টেন্ট হিসেবে আপনি কাজ করবেন এবং সেখানে থাকা ক্লায়েন্ট এবং ভিজিটর ও কর্মীদের মধ্যে সুবিধা দিবেন। এবং তাদের কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রণ করবেন। ব্যাপারটা যত সহজ মনে হয় আসলে ঠিক ততটাই কঠিন। কেননা অনলাইন ভিজিটর এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখা অনেকটাই কঠিন ব্যাপার। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেখানে বিজনেস করা হয় সেখানে এসে ওয়েবসাইট কন্টেন্ট নির্ধারণ করে দেওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। সেখানে আপনাকে অবশ্যই টাকা পেইড করা হবে। যত ভালো সাইটে একজন ভার্চুয়াল  এসিস্টেন্ট নিয়োগ দেবেন ঠিক ততই আপনার ইনকাম। এখন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যেকোনো সাইটে পাওয়া  এতটা সহজ নয়। এরজন্য অবশ্যই হয়তো কোন একটা পরীক্ষা অথবা এর মূল্যায়ণ এর মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন। আপনাকে সেখানে যোগ দিতে হবে অথবা আপনার নির্ধারিত যোগ্যতা প্রয়োজন পড়বে।

সাধারণত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অনেক দক্ষ এবং প্রফেশনাল হয়। যারা যে কোন বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ এসব ওয়েবসাইটে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এডিটিং, রাইটিং বুক কিপিং, মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট করার জন্য একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। সে ওয়েব সাইটের সকল ধরনের ম্যানেজমেন্টে নিয়োগ থাকে।

কতগুলো দক্ষতাঃ ফোন কল করা, ইমেল আদানপ্রদান, ইন্টারনেট রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, সময়সূচী অ্যাপয়েন্টমেন্ট, সম্পাদনা, লেখালেখি, বিপণন, ব্লগ পরিচালনা, প্রুফরিডিং, প্রকল্প পরিচালনা, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রযুক্তি সমর্থন, গ্রাহক পরিষেবা, ইভেন্ট পরিকল্পনা, এবং সামাজিক মিডিয়া পরিচালনা।

 

বর্তমানে ভার্চুয়াল ম্যানেজমেন্ট কদর বেড়েছে এবং এ নিয়ে অনেক কর্মকর্তাও নিয়োগ আছে। যেমনঃ ধরুন আপনি যদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে, সোশ্যাল মিডিয়াতে ম্যানেজমেন্ট হিসেবে থাকেন সেখানে কাস্টমার সার্ভিস, বিভিন্ন ইভেন্ট পরিকল্পনাকারীর জন্য  একজন ভার্চুয়াল ম্যানেজার প্রয়োজন। যদি কোন একটি সাইটে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে আপনি যোগ দিতে চান তাহলে আপনাকে কতকগুলো সাইটে সাইন আপ করে রাখা উচিত। সেসব সাইট থেকেই লোকেরা এসে ভার্চুয়াল স্টাফ নিতে আসে।

 

সাইটঃ  Elance.com, 24/7 Virtual Assistant, Assistant Match, eaHelp, Freelancer, FlexJobs, People Per Hour, Uassist.Me, Upwork, VaVa Virtual Assistants, Virtual Staff Finder, Worldwide 101, Ziptask, Zirtual। 

 

৬)ভাষা ট্রান্সলেট

ইংরেজি এবং অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা এবং সেগুলো ট্রান্সলেট করার দক্ষতা থাকা এক ধরনের বিশাল ব্যাপার। আপনি যদি সে ট্রান্সলেট করার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ট্রানসলেশন প্রজেক্ট থাকে যেগুলো ব্লগ অথবা বিভিন্ন কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সে টান্সলেশন প্রজেক্টে যদি আপনি ভালো ট্রান্সলেট করতে পারেন তারা সেখানে কাজ করতে পারবেন এবং টাকা আয় করতে পারবেন টাকার করার ব্যাপারে আপনাকে এখানে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না। যদি আপনি স্প্যানিশ, ফ্রেন্স,আরব এসব দেশের ভাষা আয়ত্ত রাখেন এবং ট্রান্সলেট করতে ভালো দক্ষ হোন তাহলে আপনি টাকা আয় করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা করতে হবে না।  কেননা বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ভাষা ট্রান্সলেট করার একটা জব অথবা কাজ আছে। যেখানে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন শুধু যে কোন একটি কনটেন্ট অথবা একটি বড়লেখা ট্রান্সলেট করার মাধ্যম।

 

যদি আপনার এই ব্যাপারে কোন জ্ঞান না থাকে অথচ আপনি ট্রান্সলেট করার ব্যাপারে সাইনআপ করিয়ে নিয়েছেন

তাহলে আপনি একটা কাজ করতে পারেন সেটা হলো সব সময় ট্রাই করে দিতে থাকবেন এবং একসঙ্গে অবশ্যই ট্রান্সলেট করার ব্যাপারে দক্ষ হবেন।

সাইটঃ Freelancer.in, Fiverr.com, worknhire.com

 

৭)ওয়েব ডিজাইনিংঃ

ওয়েব ডিজাইন করার দক্ষতা একমাত্র তাঁরই থাকবে যে এ বিষয়ে যথেষ্ট কোর্স এবং টিউটোরিয়াল নিয়েছে এবং এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছে। যদি একটি ওয়েবসাইট ভালো ডিজাইন করার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার সেই ওয়েবসাইট ডিজাইনিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ টাকা আয় করতে পারবেন। এটা জানা কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কদর এখন অনেক বেশি। হয়তো এটাও জানেন। তবে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করার জন্য যে আপনাকে সবসময় দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে তা কিন্তু না ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর ব্যাপারে শুধু প্রয়োজন প্রফেশনাল এবং ভালো রিভিউ। কেননা নতুনদের মধ্যে অনেকে ভালো ডিজাইন করতে পারে এবং সে বিষয়ে ভালো কোর্স নিয়েছে কিন্তু এই না যে সে ভালো কোর্স নেওয়ার পরেও তার দক্ষতার জন্য সে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য প্রফেশনাল দ্বারা আর টাকা আয় করার ব্যাপারটা অনেক সহজ। 

 

যদি ওয়েব ডিজাইনিং এবং সে বিষয়ে কোর্স শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট দক্ষ হন তাহলে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে পারেন, যেখান থেকে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং ডেভেলপারদের শিক্ষা দিতে পারবেন, বুঝাতে পারবেন। এবং নিজেও বিভিন্ন সাইটে ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে যেভাবে কল্যান হবে, ঠিক সেভাবে আপনি এটা করতে পারবেন ওয়েব ডিজাইনিং এর মাধ্যমে।সকল ফ্রী ল্যান্সিং সাইট এ জব সমর্থিত।

৮)কন্টেন্ট রাইটিংঃ

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য বর্তমান অনলাইন প্লাটফর্ম হবে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী যদি আপনি কোন ম্যাগাজিন অথবা অন্যান্য সাইটে লেখালেখি করার দক্ষ হন তাহলে আপনি সে দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারবেন অনলাইনে এবং তা ব্যবহার করে টাকা আয় করার ব্যাপক সুযোগ পাবে অনলাইনে আয় করার জন্য আছে নানা ধরনের ব্লগ সাইট যেখানে আপনাকে টাকা আরেকটি সুযোগ দিবে লেখালেখির জন্য বেশিরভাগ লোকেশন লেখকদের চান তবে অনেক ব্লগসাইট সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে অনলাইনে আয় করা এবং লেখালেখি করা যেমন আমাদেরটা যায় যদি ভাল লিখতে জানেন অথবা ভালো একটি কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন অথবা নিজস্ব ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন তবে সে নিয়ে অনেক অসুবিধা পোহাতে হবে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ফ্রীলান্সিং নিজস্ব সাইট আছে যেখানে কনটেন্ট রাইটিং করা হয় এবং তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইট গুলোতে কোন রাইটারের প্রয়োজন করে সেখানে যদি আপনি কোন ভাবে জয়েন দিতে পারেন তাহলে তো আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন এবং মাসিক হিসাব কাজে যেতে পারেন এ সকল মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ পেয়ে যাবে।

সাইটঃ grathor.com,techtunes.com,upwork.com

keyword: online earn 2020, online bangladeshi site, অনলাইন আয়ের বাংলাদেশি সাইট, অনলাইন আয়ের জনপ্রিয় সাইট, অনলাইন আয় বিডি, জরিপ পূরণ করে আয়

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন