অন পেজ এসইও যেভাবে করবেন জেনে নিন উপায়

আমরা যারা ওয়েবসাইটে টুকিটকি কাজ করে থাকি তারা অবশ্যই এসইও কথাটার সাথে পরিচিত  ।এসইও হল কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট গুগোল এ রেঙ্ক   করানোর প্রক্রিয়া। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে  আপনার ওয়েবসাইটটি স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আর্টিকেল সমৃদ্ধ ।এখন কেউ যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন আর্টিকেল গুগোল এ সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে যদি সেই আর্টিকেল এর সাথে কোন পোস্টের  এর মিল থাকে সেটি গুগলের ফাস্ট পেজে থাকবে  যদি আপনার ওয়েবসাইটটি Seo করা থাকে।তাহলে এখন হয়তো নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এসইও করার গুরুত্ব কতটা ।আজকে আমি আপনাদের বলব অনপেজ এসইও নিয়ে। অনপেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ওয়েব সাইট ও ব্লগ সাইট যারা চালান তাদের জন্য ।

আপনাকে এসইও নিয়ে কাজ করতে হলে সবার আগে জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন এবং সার্চ রেজাল্ট কি।

Serch engine : সার্চ ইঞ্জিন হল ইন্টারনেট  দুনিয়ার  কোন ছবি বা তথ্য খুজে বের করার মাধ্যম ।সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সাধারণত ইন্টারনেটের সব ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য গুগলে ইনডেক্স করে রাখে এবং তা ইউজারদের কাছে প্রদর্শন করে থাকে। সেরা চারটি সার্চ ইঞ্জিন হল google,ইয়াহু ,বিং এবং বাইডু।

সার্চ রেজাল্ট :আপনি ধরুন গুগলের সার্চ করলেন প্রযুক্তির খবর এই কিওয়ার্ড  দিয়ে দেখা গেল এই নামে অনেক ওয়েবসাইট চলে আসলো সাধারণত এটি হলো সার্চ রেজাল্ট।

এসইওর কাজ সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ।যেমন :

১.অনপেজ এসইও

<

২.অফ পেজ এসইও

৩.টেকনিক্যাল এসইও

আমি আজকে আপনাদের সাথে অনপেজ এসইও নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। অনপেজ এসইও মানে ওয়েবসাইট এর ভেতরে যে সব কাজ করা হয় যেমন মেটা টাইটেল, মেটা ডিস্ক্রিপশন, ছবিগুলোর টাইটেল ,স্ট্যান্ড বা ক্যাপশনের যথারীতি ব্যবহার ও ইন্টারনাল লিংক ইত্যাদি। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত দেয়া হল :

কিওয়ার্ড রিসার্চ :কিওয়ার্ড হচ্ছে সাধারণত সার্চিং ওয়ার্ড ।আপনি যদি কোনো বিষয়ে কিছু জানতে চান তাহলে সেই বিষয়ের প্রথম কিছু লাইন লিখে গুগলে সার্চ করলে চলে আসবে এটিই হলো সাধারণত কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড রিসার্চ হলো এসই ও এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। আর গুগলে কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য অনেক ফ্রী টুল পাওয়া যায় ।

আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে :যেমন-

১.সার্চ ভলিউম

২.কান্ট্রি টার্গেটিং

৩.Keyworld  ডিফিকাল্টি ইত্যাদি

কিওয়ার্ড  ডেনসিটি :সাধারণত কিওয়ার্ড ডেনসিটি হচ্ছে  মোট কিওয়ার্ডের অনুপাত। ধরুন আপনি একটি কনটেন্ট লিখলেন 100 শব্দের তার মধ্যে আপনি তিনবার তিনটে কনটেন্ট লিখলেন কিওয়ার্ড ডেনসিটি 3 পার্সেন্ট। সাধারণত এটাই হল কিওয়ার্ড ডেনসিটি।

মেটা ডিস্ক্রিপশন ট্যাগ :আসলে মেটা ডিস্ক্রিপশন একটি ওয়েবপেজের সামারি এইচটিএমএল ট্যাগ। আপনি যখন একটি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সার্চ করবেন তখন এটি দেখা যাবে। আর এই সামারি দেখে দর্শক বুঝতে পারে এই ওয়েবসাইটটি কোন ধরনের কনটেন্ট দিচ্ছে।

মেটা টাইটেল ট্যাগ :আসলে মেটা টাইটেল ট্যাগ  হলো একটি ওয়েব পেজের এইচটিএমএল ট্যাগ। কেউ যখন সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সার্চ করবেন তখন এটি দেখা যাবে। মেটা টাইটেল ট্যাগে Brand কিওয়ার্ড যুক্ত করা উচিত আমার মনে হয়। অর্থাৎ আপনি শুধু চাহিয়া এ পেজগুলোর এক্সএক্স গুগোল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো কে দেবেন রোবট শুধুমাত্র সেই ওয়েব পেজ গুলোতে যেতে পারবে

আরেকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে এসইও  ফ্রেন্ডলি ইউ আর এল। এসইও ফ্রেন্ডলি ইউ আর এল বলতে বোঝায় :

১.ইউ আর এল এ প্রশ্নবোধক চিহ্ন(?) ,স্টার মার্ক (*) ইত্যাদি থাকবে না।

২.আপনার ইউআরএলটি ছোট হতে হবে অবশ্যই।

৩.ওয়েবসাইটের পোষ্টের ইউআরএল স্ট্রাকচার হবে রুট ডোমেইন +পোস্ট হেডলাইন ।

রোবট টেক্সট :রোবট টেক্সটের মাধ্যমে গুগোল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবপেজের কিছু তথ্য ইনডেক্স এবং ইন্ডেক্স করে রাখতে পারে ।

আপনি ওয়েব পেজের যেসব পেজগুলো এক্সচেঞ্জ করবেন গুগোল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কে দেবেন সে সব পেজে রোবট যেতে পারবে আর অন্য সব পেজে যেতে পারবেনা।

সাইটম্যাপ: গুগলকে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে পোস্টের জন্য একটি সাইটম্যাপ তৈরি করতে হবে।

চিত্র পরিবর্তিত পাঠ্য: ওয়েবসাইটের ফটো সামগ্রীতে উপযুক্ত চিত্রের পরিবর্তনের পাঠ্যটি ব্যবহার করুন। কোনও চিত্র আপলোড করতে আপনাকে চিত্রের আকার এবং ফাইলের নাম সামঞ্জস্য করতে হবে। উচ্চ রেজোলিউশন চিত্র ব্যবহার করা ভাল।

ফ্যাভিকন: ওয়েবসাইটটির জন্য একটি অনন্য ফেভিকন তৈরি করুন, যা আপনার ব্র্যান্ডের মান বাড়িয়ে তুলবে। আপনি ফেভিকন আকারে 16 পিক্সেল দ্বারা 16 পিক্সেল দিতে পারেন।

ফ্ল্যাশ ফাইল: সাইটে কোনও ধরণের ফ্ল্যাশ ফাইল না ব্যবহার করা ভাল। আপনি ফ্ল্যাশ ফাইলের পরিবর্তে জিআইএফ ফাইলটি ব্যবহার করতে পারেন।

অভ্যন্তরীণ লিঙ্ক: অভ্যন্তরীণ লিঙ্কটি একটি সামগ্রী থেকে অন্য সামগ্রীর লিঙ্ক। অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি ব্যবহার করার সময় এখানে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:

1. অনুরূপ সামগ্রী বা কীওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ লিঙ্কগুলি।

২. সাধারণত সামগ্রীটির শেষের দিকে অভ্যন্তরীণভাবে লিঙ্ক করা ভাল। বিষয়বস্তু পড়ার সময় এটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ভাঙা লিঙ্ক: ভাঙা লিঙ্কটি সেই লিঙ্কটি যেখানে সামগ্রীটি পাওয়া যায় না। ভাঙা লিঙ্কগুলি কোনওভাবেই সাইটে স্থাপন করা যাবে না। ভাঙা লিঙ্কগুলি সাইট থেকে সরানো দরকার।

Dead লিঙ্ক: যে লিঙ্কটি আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না তা হ’ল মৃত লিঙ্ক। সাইটে ডেড লিঙ্কগুলি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এইচ -1 ট্যাগ: এইচ -1 ট্যাগ একটি এইচটিএমএল ট্যাগ ।এইচ -1 ট্যাগটি মূলশব্দ অনুসারে সাইটে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে।

এইচটিএমএল পৃষ্ঠার আকার: এইচটিএমএল পৃষ্ঠার আকার যথাসম্ভব হ্রাস করুন, এটি সাইটের লোডিং সময়ের গতি বাড়িয়ে তুলবে। ব্যবহারকারীর ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন