অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

অপ্রাপ্তবয়স্ক বা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ, কেন, প্রতিকার

মাসিক মেয়েদের কাছে খুবই পরিচিত একটি বিষয়। এটি সন্তান জন্মদানের সাথে জড়িত। মেয়েদের প্রজনন তন্ত্রের সুস্থতার মূল লক্ষ্য হলো নিয়মিত মাসিক। প্রত্যেক মাসে ২৮ দিন পর পর বা ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে 3, 5 বা 7 দিনের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের মাসিক হয়ে থাকে।

কারো কারো ক্ষেত্রে যদি এই সময়ের মধ্যে মাসিক না হয় তাহলে সেটাকে অনিয়মিত মাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। অনিয়মিত মাসিক হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে- অতিরিক্ত টেনশন- অনেক সময় অতিরিক্ত টেনশন করলে মাসিক অনিয়মিত হয় বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস- অনেক মেয়েদের হঠাৎ করেই ওজন অনেক বেড়ে যায় বা কমে যায়। ওজনের এই তারতম্যের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

থাইরয়েড সমস্যা- অনেকের অল্প বয়স থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েডের সমস্যার কারণে অনেকের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

ডিম্বাশয়ের অপরিপক্বতা- অনেক সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের ডিম্বাশয় ভালোভাবে পরিপক্ক হয় না। ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে এই সমস্যা হয়। ডিম্বাশয়ের অপরিপক্কতার কারণেই অনিয়মিত মাসিক হয়।

ব্যায়াম- যেসব মেয়েরা বেশি পরিমাণে ব্যায়াম করে তাদের মাসিকের সমস্যা হতে দেখা যায়। অনেকের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হয়ে থাকে যার কারণে অনেক সময় অনিয়মিত মাসিক হয়। মাসিক বন্ধ হওয়া মেয়েদের জন্য খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার।মাসিক বন্ধ হলে বা মাসিকের কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এছাড়া মাসিক নিয়মিত হওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে (অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ)। যেমন-

কাঁচা পেঁপে- নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস খেলে মাসিক নিয়মিত হয়। এছাড়াও কাঁচা পেঁপে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কাঁচা হলুদ- কাঁচা হলুদ শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে, এটি মাংসপেশির সংকোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করে।

দারুচিনি- দারুচিনি বহু গুণে গুণান্বিত একটি খাবার। লেবুর রস ও চায়ের সাথে দারুচিনি গুঁড়া করে মিশিয়ে খেলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয় এবং মাসিকের ব্যথা দূর হয়।

অ্যালোভেরা- রূপচর্চার জন্য আমরা এলোভেরা ব্যবহার করে থাকি। তবে এলাবেরা রূপ চর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিতকরণ এ সাহায্য করে। মধুর সাথে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেলে মাসিকের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হরমোনাল ব্যালান্স নষ্ট হয় ফলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করলে হরমোনাল ব্যালান্স ঠিক থাকে এবং মাসিক নিয়মিত হয়। শরীরে আয়রনের অভাব হলে মাসিকের সমস্যা হতে পারে তাই আয়রন জাতীয় খাবার যেমন গরু, মুরগির মাংস, কলিজা, মটরশুটি, ডাল, ভুট্টা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন