অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে শিখুন,সুখ এসে নিজেই ধরা দিবে।

★ছোটকাল থেকেই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকাটা শিখেছি,সব সময় পজিটিব দিক গুলোই খুঁজেছি।
লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্ট গুলো যখন দেখি দামি গাড়ি করে স্কুলে আসে,দামি সাইকেল করে স্কুলে আসে,তখন আমি একটু ও অবাক হই না,একটু ও কষ্ট পাই না।কারন আমি দেখেছি এসির ভিতরে ও মানুষ ঘামে।প্রচন্ড বিলাসিতায় ও অনেক মানুষ কাঁদে।

অনেক মানুষকেই দেখি ওদের মন খারাপ হলে,ওরা দেশের বাইরে যেমনঃ ইংল্যান্ড,সুইজারল্যান্ড থেকে ঘুরে আসে।অথচ বোকারা জানে না মনের ভিতরে ও একটা জায়গা আছে।যেখানে ঘুরে আসতে কোনো টাকা পয়সা কিছুই লাগে না।আমি মন খারাপে ও হাসি।অনেক বেশি হাসি। মাঝে মাঝে নিজেকে অনেক ভালো লাগে,প্রচন্ড পরিমানে ভালো লাগে।আয়নায় নিজেকে দেখে মন ভালো হয়ে যায়।ছবি তুলে সিলেক্ট করতে গেলে মনে হয় সব গুলো ছবিই তো সুন্দর আসছে।এইসব ভালোলাগার একটা পজিটিভ দিক আছে।নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস থাকে প্রচুর।কেউ ঠকালে ও গায়ে লাগে না,কেউ চলে গেলে ও গায়ে লাগে না।কারন আর কেউ না থাকুক আমার ভালোবাসার মানুষ আমি নিজে তো আছি।

যদি ও ছোট একটা ঘরে আছি,তারপরে ও বলি খুব ভালো আছি।শুধু ভাবি এর থেকে ও খারাপ কিছু হতে পারতো।আমি দেখেছি আলিসান ঘরের ভিতর কত অশান্তি। বউ পরকীয়া করে,ছেলে মদ খায়,মেয়ে রাত বিরাতে পার্টি করে।আবার দেখেছি বাবা ছেলে মা মেয়ের অতি মধুর সম্পর্ক।

মনের সুখটাই হলো বড় সুখ।ধন দৌলত যদি সুখ এনে দিতো,তাহলে এসির ভিতরে মানুষ ঘামতো না।অনেক বড় বড় দালান কোঠায় থেকে ও মানুষ অশান্তিতে থাকতো না।

ঘুমালে সকাল না হলে পরকাল।তাহলে কি হবে এতো ধন সম্পদ দিয়ে।আজকে জীবিত আছেন,কালকে থাকবেন কিনা তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে।কোনো গ্যারান্টি নাই।আজ মরলে কালকে দুই দিন।কয়দিন পর সবাই আপনাকে ভুলে যাবে।
কি লাখ মুখ গোমরা করে রেখে।একটাই তো জীবন হোক না একটু অন্য রকম।

ফরাসি একটা প্রবাদ পরেছিলাম..তোমার সাথে ঘটে যাওয়া দুশ্চিন্তা করো না,সৃষ্টি কর্তা নিশ্চয় তোমার ভালোর জন্যই এটি করেছেন।

নিজেকে নিয়ে যখন খুব বেশি হতাশ লাগবে,তখন একটু নিচের দিকে তাকিয়ে দেখুন অনেক সুখে আছেন।সুখী হতে বেশি কিছু লাগে না।একজন মৃত্যু পথযাএী যদি বেহেশতের আশা করতে পারে,তবে আপনি সুস্থ থেকে কেনো পারবেন না?
বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে শিখুন।সুখ নিজে এসে আপনার কাছে ধরা দিবে।তাকে আপনার খুজতে হবে না।

Related Posts

21 Comments

মন্তব্য করুন