অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময়। আজ আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ক নতুন একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

আজকের পোষ্টের শিরোনাম হলো— অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি নিশ্চয় হয়তো বুঝতে পারছেন আমি কি নিয়ে পোষ্ট শেয়াড করেছি। আর আপনি হয়তো নিশ্চয় শুনে থাকবেন যে বর্তমানে অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

নিচে আমি এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত বলছি—

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টা হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো দোকান এর পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে সেখান থেকে কমিশন নেয়া। সাধারণত ব্লগিং বা লেখালেখিকে যারা পেশা হিসেবে নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমানে প্রচুর অর্থ আয় করে যাচ্ছে। কারণ পেশাদার ব্লগাররা এমনভাবে তাদের ব্লগে পোষ্ট লিখে যেটা পড়ে পাঠকেরা মুগ্ধ হয় এবং কোনো পণ্যের লিঙ্ক দেয়া থাকলে সেই পণ্যও কেনে।

<

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারি এমন সব সাইট সত্যিই আছে কি? যদি থাকে তাহলে সেগুলো কি কি?
চিন্তা করবেন না, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায় বর্তমানে এমন সব সাইট বাংলাদেশে অনেক আছে। নিচে আমি এমন সব জনপ্রিয় কয়েকটি নাম দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি আয় করে যেতে পারবেন। তবে শুধু আপনার পরিশ্রম ও সময় দ্বরা।

বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়, যেমন— ডারাজ, বিডিশপ, হোস্টিং বিক্রির সাইটগুলো এবং আরো কয়েকটি সাইট এই সুবিধা দিয়ে থাকো। কিন্তু বাংলাদেশের বাইরেও অ্যামাজন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। বাংলাদেশে যেহুতু অ্যমাজন প্রোডাক্ট এর ব্যবসা আপাতত নেই, প্রবাসী বাংলাদেশীরা আপনার প্রোডাক্ট কিনলে কমিশন পাবেন।

তবে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে ভীষণ আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলল আমি বলব যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা দরকার। যেখান থেকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর বিস্তৃতি ছড়াতে পারবেন। আর তা করতে পারলেই আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা এ পোষ্টটি পড়বেন তাদের কিছুটা হলেও নিজেদের উপকারে আসবে।

আজকে এ পর্যন্তই।
ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন