আউটসোর্সিং এর আদ্যোপান্ত বিষয়

আউটসোর্সিং এর অর্থ হলো মুক্তপেশা।ব্যক্তির নিজের পছন্দমতো সময়ে প্রতিষ্ঠানের বা ক্লায়েন্টের কাজ করার মাধ্যমকে বলা হয় আউটসোর্সিং। যার মাধ্যমে আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং কাজ সম্পন্ন করা হয় তাকে ফ্রীল্যান্সিং বলা হয়। যারা ফ্রীল্যান্সার হিসেবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে তাদের রয়েছে কাজ করার ব্যাপক সুবিধা। ফ্রীল্যান্সাররা নিজের পছন্দমতো সময়ে পছন্দের বিষয় কাজ করতে পারে।সেই সাথে রয়েছে পছন্দের বিষয় বেছে নেবার সুযোগ। ফ্রীল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং তরুণ প্রজন্মের কাজ কররা জন্য প্রথম পছন্দ। ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে ফ্রীল্যান্সিং হতে পারে সফলতার চাবিকাঠি। ফ্রীল্যান্সিং কিন্তু মোটেও সহজ বিষয় নয়। দিনরাত ফ্রীল্যান্সিং এ কাজ শেখার পেছনে সময় ব্যয় করতে হয়। ভালো ভাবে কাজ বুঝতে হবে। বুঝতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে দক্ষ লোকের অভাব। কারণ যে কাজে সহজে পাওয়া যায় সেই কাজের পারিশ্রমিক কিন্তু তুলনামূলক কম। উদাহরণ হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কথা বলা যেতে পারে। আজকাল গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা লোকের অভাব হয় না। কিন্তু সেই সাথে এই কাজের পারিশ্রমিকের পরিমাণ তুলনামূলক কম। অন্যদিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জানা দক্ষ লোকের খুব অভাব। তাই কেউ যদি ভালো ভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজ সম্পর্কে জেনে শিখে ভালোমানের কাজ করতে পারে তাহলে তার অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের অভাব হবে না। ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং এর জুড়ি নেই। আউটসোর্সিং এখন চাহিদা সম্পন্ন একটি বিষয়। আউটসোর্সিং করতে হলে আগে আপনার ভালোমানের প্রতিষ্ঠান থেকে ভালোমানের কাজ শিখতে হবে। ভালোমানের কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করাই সবচেয়ে কল্যাণকর। ভালোমানের কাজ জানা পাশাপাশি আপনাকে আপনার কাজের পোর্টফোলিও রাখবেন। পোর্টফোলিও অবশ্যই আপনার করা কাজগুলো মধ্যে ভালো কাজগুলো তালিকা করে বানাতে হবে। এতে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এখন আসি এতো এতো কাজ থাকতে আপনি কেন আউটসোর্সিং বেছে নেবেন? কেনইবা আউটসোর্সিং করবেন? কিছু কারণসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো : ১.আপনি যদি নিজের ইচ্ছায়, নিজের পছন্দমতো কাজ বেছে নিতে চান তাহলে আউটসোর্সিং হতে পারে আপনার পছন্দের তালিকার শীর্ষ স্থানে। ২.ভালো মানের কাজ জানা থাকলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং এ করতে পারবেন অত্যাধিক আয়। ৩.ফ্রীল্যান্সাররা যে শুধু বিদেশে ক্লায়েন্টদের কাজ করে দিতে পারবেন তা কিন্তু নয়। আপনি দেশে বিদেশে সমানতালে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারেবেন। ৪.আপনি চাইলে ফ্রীল্যান্সিং এর পাশাপাশি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। ৫.ফ্রীল্যান্সিং এ রয়েছে হাজার হাজার কাজ যা আপনাকে কাজের এক নতুন মাত্রা বয়ে আনবে। আউটসোর্সিং এ আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আউটসোর্সিং একটি সর্বজনীন সূত্রে জানা পেশা।

<

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন