আপনার সবগুলো গাছ হবে উন্নত ও রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন।ফলন হবে অনেক বেশি। কৃষি ক্ষেত্রে টিস্যু কালচার এর ব্যবহার।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহর

আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম কৃষি ক্ষেত্রে সফল হওয়ার আরেকটি পদ্ধতি নিয়ে। আমি কিছুদিন যাবত আপনারা যারা কৃষিকাজ করেন যেহেতু বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কিসে কাজ করে তাই তারা যাতে একটু জ্ঞান অর্জন করতে পারে তাই আমি কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের কিছু প্রয়োগ তুলে ধরছি।

আমার ধারাবাহিক তুলে ধরার মাধ্যমে আজকে আমি যে পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব সেটি টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে একটি নতুন শাখা এবং এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শাখা হিসেবে পরিণত হয়েছে।

আপনারা সম্পূর্ন পোস্ট টা কন্টিনিউ করেন তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন টিসুকালচার টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা কি শেখাতে কি একটা পরিবর্তন এনেছে।

আপনার বাগানের একটি গাছ ধরুন অনেক উন্নত এবং এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি প্লাস এটাতো অনেক ভালো ফল হয় আপনি চান আপনার বাগানের সবগুলো গাছ এটার মত হোক তাহলে আপনাকে কি করতে হবে আপনি কি পারবেন এরকম সবগুলো গাছের একরকম চারা তৈরি করতে। আপনারা হয়তো ভাবছেন এটা কখনো সম্ভব না কিন্তু আজকের পোস্টটি কন্টিনিউ করেন অবশ্যই এটা সম্ভব এবং এটা আপনি করতে পারবেন টিস্যু কালচার পদ্ধতির মাধ্যমে।

আমি আপনাদের ধাপে ধাপে এই টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে তুলে দেবো আপনার এটা পরলে অনেকটা ধারনা নিয়ে নিতে পারবেন। এবং আপনারা যারা কাজ করতে আগ্রহী তারা ব্যবহার করে অনেক লাভবান হতে পারবেন আপনাদের তেমন খরচ হবে না সামান্য কিছু খরচ হবে কিন্তু ফল পাবেন অনেক বেশি।

<

টিস্যু কালচার পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য আপনি প্রথমে একটি উন্নত গাছের কিছু একটা অংশ সিলেক্ট করে নেবেন আপনি যে কোন অংশ নিতে পারেন এবং সেটাকে এক্সপ্লান্ট বলে আপনি একটি ভাল উদ্ভিদের কিছু অংশ নির্বাচন করবেন।

তারপর আপনি একটি মিডিয়া নির্বাচন করে নেবেন আপনি যে মিডিয়াতে গাছটা রোপন করতে চান আপনাকে এক্ষেত্রে কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে আমি জিনিসগুলো বলছি। আপনার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা হতে হবে জীবাণুমুক্ত আপনি কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যদি এর মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে কিন্তু আপনার সমস্ত পরিশ্রম জলে যাবে তাই আপনাকে সবগুলো জীবাণুমুক্ত করতে হবে আপনাকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য অটোক্লেভ মেশিন প্রয়োজন হবে। অটোক্লেভ মেশিন 121 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা 15 থেকে 20 মিনিট রেখে দিতে হবে তারপর আপনাকে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে যাতে কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস এর মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। তারপর আপনি মিডিয়ার মাধ্যমে অবশ্যই আগে আপনাকে রাইবোজোম যোগ করতে হবে রাইবোজোম যোগ করার পর আপনি আপনার যেই অংশটা সিলেট করেছিলেন আপনি ওই অংশটা আপনার মিডিয়াতে রাখবেন দেখে আপনি সম্পূর্ণ জিনিসগুলো একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবেন। এবং আপনার ওই নির্বাচিত অংশটিকে খাদ্যের জন্য আপনি কিছু সুক্লুজ ও ভিটামিন দিয়ে দেবেন। তারপর কিছুদিন পরে দেখবেন আপনার ওই অংশটি কুন্ডলীর মতো সৃষ্টি হয়েছে এগুলোকে ক্যালাস বলে আপনি কি করবেন আপনি ক্লাসগুলো কি আলাদা আলাদা করে আলাদা পাত্রে রেখে দেবেন তাহলে আপনার ওখান থেকে চারা জন্ম নিবে। তারপর ধীরে ধীরে আপনি স্বাভাবিক পরিবেশে গুলোকে নিয়ে যাবেন।

টিস্যু কালচার পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি আপনার কোন গাছ একটি উন্নত মানের গাছ থাকে এবং তার ফলন বেশি আপনি সবগুলো কাজ কিরকম করতে পারবেন এবং সবগুলো থেকে ভালো ফলন আশা করতে পারবেন এবং ভালো ফলন পাবেন। আশা করি আপনারা টিসুকালচার সমাধান একটা ধারণা নিতে পেরেছেন আপনারা যারা টিস্যু কালচারের জন্য আগ্রহী তারা আপনারা একটু গবেষণা করে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ করে যারা কৃষি কাজে ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে। আবারো আপনাদের সাথে কথা হবে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং লাল-সবুজের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts