আসসালামু আলাইকুম।প্রিয় পাঠক-পাঠিকা বৃন্দ সবাইকে শুভেচছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পর্ব।
আজকে আমি আপনাদের কে আপনাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন টির যত্ন নেওয়া সম্পর্কে কিছু কথা বলব।
কিছুদিন আগে আমার কাকা আমার কাছে তার স্মার্টফোন টি নিয়ে হাজির হয় এবং বলে যে তার স্মার্টফোন স্লো কাজ করছে।অর্থাৎ ধীরগতির হয়ে গেছে।তো আমি তার স্মার্টফোন টির সামান্য কিছু পরিবর্তন করে দিলাম ফলে সেটি তার আগের মত গতি ফিরে পেল।
আর এই পদ্ধতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার একটা ই উদ্দেশ্য যে যদি আপনাদের এর থেকে সামান্য উপকৃত হন তাহলে ই আমার লেখাটি সার্থক।
তো চলুন শুরু করি
সেই স্মার্টফোন টি ছিল OPPO brand এর।সর্বপ্রথম আমি তার ফোনের ওএস ভার্সন টি চেক করলাম দেখলাম তার ফোনের ওএস আপডেট চাইছে প্রায় ১৩৫০ মেগাবাইট।তো আমি সেটা আপডেট করে দিলাম।
এর কারন পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে নানা রকম বাগ ধরা পরে যেটা ফোনের গতিকে মন্থর করে দেয়।তাই আমাদের উচিৎ ওএস আপডেট করে রাখা।
লাইভ ওয়ালপেপার অ্যাপ আনইন্সটল করে দিলাম।কারন সেখানে আমি দেখছিলাম অ্যাকুরিয়াম এর স্বচ্ছ রঙিন পানিতে মাছ ভেসে বেড়াচ্ছ।যদিও এটা দেখতে সুন্দর কিন্ত এর প্রভাব স্মার্টফোনটির ওপরে অবশ্যই পড়ছিল এবং সাথে এটি স্মার্টফোনটির ব্যাটারি কেও দূর্বল করে দিবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু ছিল যেটা মারাত্মকভাবে স্মার্টফোন টির র্যামের ওপর এবং এর ব্যাটারির ওপর প্রচুর পরিমান প্রভাব ফেলে।কারন ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু রাখতে র্যাম কে অবশ্যই সারাক্ষন কাজ করতে হয় যেটা স্মার্টফোনের গতিকে ধীর করে দেয়
পুরোনো ও অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলো ডিলিট করে দিলাম।কারন আমি দেখলাম যে প্রায় ৬ মাস আগের কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল যা সহজে ডিলিট করা যাচ্ছে না।মানে তাতে ভাইরাস আছে।ওগুলো ডিলিট করলেও আবার ফিরে আসতে ছিল।তাই ওগুলো ডিলিট করা খুবই জরুরী।
তাছাড়া ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ যত খালি থাকবে ফোনের গতি তত বেশি থাকবে।
অপ্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপ ও ডিলিট করে দিলাম যেগুলো তার নাকি মাত্র একবার প্রয়োজন হয়েছিল এরকম অ্যাপ যদিও একবার ব্যবহৃত হয়েছে কিন্ত ইন্সটল থাকার কারনে এগুলো র্যাম ও ইন্টারনাল স্টোরেজের জায়াগা কমিয়ে দেয়।আর এর ফলে ফোনের গতি কমে যায়।
➤কিছু লাইট ভার্সনের অ্যাপ ইন্সটল করে দিলাম যেমন ফেসবুক,মেসেঞ্জারের লাইট ভার্সন যেগুলো খুবই কম যায়গা ব্যবহার করে।
সর্বশেষ হোম স্ক্রীন ক্লিন করে দিলাম।কারন,তার ফোনে প্রচুর ওয়াইগেট ছিল যা তার ফোনকে ধীর গতির করে দিয়েছিল।
☆☆☆এই সকল কাজ শেষ করে আমি তার ফোন টি একটি রিস্টার্ট করে তার হাতে দিলাম।সে তো অবাক।
খুশি হয়ে সে আমাকে সেদিন সন্ধ্যায় ফুচকা ও চটপটি খাইয়েছিল।
আপনার ফোন টি ও যদি এমন ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পড়ে তাহলে আপনি ও ওই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে কয়েক গুন বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনার স্মার্টফোনটির গতিকে।
তাহলে আর কথা নয় নিজে নিজের ফোনের গতি বাড়ান এবং উপভোগ করুন জীবন কে।
(বিঃদ্র)এটা কোন নির্দিষ্ট স্মার্টফোন টিপস নয়।যেকোন স্মার্টফোন এর ক্ষেত্রে সচারাচর এই প্রবলেম গুলোর কারনেই ফোন ধীরগতির হয়।সুতরাং আপনারা যে কোন ফোনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করবে
আজ আর নয়।
পরবর্তী নতুন কোন বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন
সুস্থ থাকুন।সেই কামনায়।
আল্লাহ হাফেজ
wow! Nice Tips!!
ধন্যবাদ
nice info
Nice Tips
Wow
well
gd