আপনি কেন ব্লটুথ ব্যবহার করবেন। বিস্তারিত এই পোষ্টটি পড়লে জানতে পারবেন।

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা  সবাই অনেক অনেক ভাল এবং সুস্থ্য আছেন।
বন্ধুরা আমরা অনেকেই ব্লুটুথ এর নাম শুনে আসছি সেই অনেক আগে থেকে।

সেই অনেক আগে থেকেই আমাদের সাথে বলুটুথের জড়িত ।

সেই কবে থেকে ব্লুটুথের মাধ্যমে শেয়ার করছি নিজস্ব তথ্য ফাইল  ভিডিও বা অডিও ইত্যাদি আমরাতো ব্লুটুথের মাধ্যমে শেয়ার করতে বুঝি। কিন্তু ব্লুটুথ সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা সবাই জানি না।

আজ আমি ব্লুটুথ সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব । আর আপনাদের জানিয়ে দেব ব্লুটুথ সম্পর্কে।

আপনাকে ব্লুটুথ সম্পর্কে  জানতে হলে কি কি করতে হবে?

প্রথমে এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়তে হবে এবং আপনার বন্ধদের শেয়ার করতে হবে।

 

তো আর  কথা না বলে আজকের পোস্টটি লেখা শুরু করা যাক।

 

সবার আগে জেনে নেয়া যাক ব্লুটুথ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ধারণা।

 

ব্লুটুথ নামটি ডেনমার্কের রাজা হারোল্ড  ব্লুটুথ  এর নাম অনুসারে করা হয়েছে।

অল্প দূরত্বে অবস্থানরত দুটি তারবিহীন ব্লুটুথ অপশন সক্রিয় করা হলে ডিভাইস দুটি একে অপরের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করতে পারে তাকে ব্লুটুথ প্রযুক্তি বলে।

বর্তমান ল্যাপটপ, ট্যাবলেট , পিসি , মোবাইলফোন ব্লুটুথ।

 

ডেক্সটপ  কম্পিউটার ইউএসবি ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টার সাহায্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় । সহজে বহনযোগ্য ডিভাইস এর একটি জনপ্রিয় কমিউনিকেশন।

 

একটি একটি করেএবার দেখে আসা যাক ব্লুটুথ এর বৈশিষ্ট্য

 

*ব্লুটুথ .২.৪৫ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে।

 

*এর কভারেজ এরিয়া 10 মিটার। কোন কোন ক্ষেত্রে 100 মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

*অতি ধীর গতিতে ডেটা স্থান্তরিত এবং বিস্তারিত হয়।

*ব্লুটুথ এর একটি স্টান্ড্রাড রয়েছে।

*ব্লুটুথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে সাধারনত মোবাইল থেকে মোবাইলে ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ল্যাপটপে তথ্য স্থানান্তর করতে পারে।

 

*এটি একটি পিকোনেট এর আওতায় সর্বোচ্চ আট  জনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

 

ব্লুটুথ ব্যবহার করে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন।

 

*স্বল্প দূরত্বে ডেটা ও ভয়েস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এটি একটি লাভজনক তারবিহীন মাধ্যম

* স্থির ও চলমান পরিবেশে ব্যবহারযোগ্য।

 

*কোন প্রকার সেটআপ এর প্রয়োজন হয়না ।

 

*স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার যোগ্য

 

ব্লুটুথ সুবিধা দেখলেনএবারে কিছু অসুবিধা দেখে আসুন।

 

*খুব সহজে অনুমোদিত ব্যাক্তি নেটওয়ার্কের অ্যাকসেস করে নিতে পারে।

*মোবাইল ফোনে ব্লুটুথ অ্যাক্টিভ থাকলে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারি

*এর অধিকডিভাইস একটি নির্দিষ্ট সময় ভালোভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।

 

ব্লুটুথ এর ব্যবহার

স্বল্প দূরত্ব ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরিতেএটি ব্যবহার করা হয়।

আপনি কিভাবে আপনার যেকোন তথ্য ডকুমেন্ট ছবি ভিডিও অডিও অন্য আরেকটি মোবাইলের স্থানান্তরিত করবেন?

তথ্য স্থান্তরিত করার  জন্য  প্রথমে আপনি আপনার ব্লুটুথ টি অন করুন।

এবার যে ফোনে আপনার তথ্য ছবি বা ভিডিও স্থানন্তর  করবেন সে ফোনের ব্লুটুথ অপশনটি অন করুন ।এবার আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার মোবাইল থেকে সেন্ড করুন।

আর যে ফোনে রাখতে চান সে ফোন থেকে আপনার তথ্য রিসিভ করুন।

কিছু সময় লাগতে পারে আপনার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য কিভাবে আপনারা ব্লুটুথ এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার নিজস্ব তথ্য এক মোবাইল থেকে আরেক মোবাইলে দিতে পারবেন।

ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। সবাই ভালো থাকবেন

 

 

 

 

 

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন