আমার প্রিয়তম আপনাকে ভালোবাসি

“প্রিয়তম” এই শব্দটাকে আমার কাছে দারুণ লাগে। কত ভালোবাসা মিশে থাকে এই ছোট্ট শব্দে। এই শব্দটাকে আমার সবসময় হালাল মনে হয়। একটু আশ্চর্য হচ্ছেন তাই না? মনে মনে হয়তো এটা ভাবছেন একটা শব্দ আবার হালাল হয় কিভাবে। আচ্ছা আমরা যখন একটা শব্দকে সবসময় হালাল মানুষের জন্য ব্যবহার করি তখন শব্দটাও কিন্তু হালাল হয়ে যায়। হারাম কাউকে প্রিয়তম ডাকে সম্বোধন করলে সেখানে কোনো অনুভূতি থাকে না, থাকে না কোনো লুকায়িত ভালোবাসা। একজন নন-মাহরাম অবশ্যই আমার জন্য হারাম। সে এই সুন্দর সম্বোধনের অধিকারী হতে পারে না।

আমি কখনো কোনো হারাম রিলেশনে জড়িয়ে থাকা গার্লফ্রেন্ডকে তার বয়ফ্রেন্ডকে প্রিয়তম বলে ডাকতে শুনিনি। ডাকবে কি করে বলুন তো? এইযে এই ডাকে তাদের কোনো ফিলিং আসে না। তারা সবসময় ইংলিশ ডাক গুলোই ডাকে। ইংলিশ ডাক নিয়ে একটা বিশাল কাহিনি আমার আছে। যাকগে প্রিয়তমের সাথে ইংলিশ ডাক গুলিয়ে ফেলার ইচ্ছে আমার আমার নেই। আচ্ছা আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে আমি কেবল আমার কাঙ্ক্ষিত মানুষটাকেই প্রিয়তম ডাকি। একদম তা নয়! আমি আরো কয়েকজনকে এই শব্দটায় সম্বোধন করি।

প্রিয়তম রব! প্রিয়তম আল্লাহ!
এই দুইটা সম্বোধন। এগুলো স্পেশ্যালি আমার রবের জন্য। মুনাজাতে যখন প্রিয়তম আল্লাহ বলে সম্বোধন করি তখন আমি আমার রবকে অনুভব করি। আমার মনে হয় আমার রব খুব হাসছেন। একবার ডেকে দেখুন…

প্রিয়তম আল্লাহ!
কত সুন্দর তাই না? একবার ডাকলে বারবার ডাকতে ইচ্ছে করছে। আমি ছোটবেলা থেকে তাঁর জন্য এই সম্বোধনটা রেখেছি। তারপর একদিন আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব ভাইয়ের একটা বইতে এই সম্বোধনটা পাই। তখন মনে মনে একটু ঈর্ষা হচ্ছিলো। আমার মনে হয় এই সম্বোধনটা কেবল আমার শুধুই আমার।

তারপর ডাকি আমার জন্মদাতা পিতাকে। যিনি আমার শিক্ষক। জীবনে তার হাত ধরেই আমার হাঁটাচলার প্রবর্তনা। আমার জীবনে যেই মানুষটার অবদান অসামান্য! যার উপর অল্পতেই আমার খুব অভিমান হয়। সে আমার প্রিয়তম আব্বু! যাকে আরেকটা সম্বোধন করা হয় প্রিয়তম হুজুর ডাকে। কত সুন্দর লাগে আমি হয়তো ভাবতেও পারবেন না! আজ একবার আপনার আব্বুকে ডেকে দেখুন তো। আচ্ছা লাগবে না। নিজে নিজে একবার বলুন তো, প্রিয়তম আব্বু!

প্রিয়তম আব্বু! এই মানুষটাকে যদি রাগের মাথায় বকেও ফেলি উনি হাসবেন। এই স্বভাবটা আমার বেশ ভালো লাগে। সে আমার এই হালাল সম্বোধন পাওয়ার যোগ্য! এবার আসলাম ছোট দুই ভাইয়ের কথায়। ওদের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব আমার। প্রিয়তম সালেম! প্রিয়তম আসেম।

<

ছোটবেলা থেকে একসাথে বেড়ে উঠা। তারপর ওদেরকে দেওয়া হয় অনেক দূরে মাদ্রাসাতে। তবে আমাদের মনের একটা টান আছে তো! ভাই-বোনের রসায়নের কথা আপনাদের আর কি বুঝাবো। আপনারা সবাই জানে এই সম্পর্কটা হয় অসাধারণ। কত খুনসুটি মিশে থাকে আমাদের এই মায়ার বন্ধনে। আমার এই সম্বোধনটা শুধুই আমার প্রিয়তম ছোট দুই ভাইয়ের জন্য। একেবারে শেষে আমি কার কথা বলবো? উনার কথা আর কি বলবো? উনিতো এই সম্বোধনের হকদার। আমার এই হালাল সম্বোধনটা উনার জন্যই তুলে রাখলাম।

প্রিয়তম!
কি দারুণ সম্বোধন তাই না! কাউকে কখনো ডেকেছেন এই ডাকে? যারা ডেকেছেন তারাই জানেন কত ভালোবাসা মিশে থাকে এই অসাধারণ শব্দে। কত ভালোবাসা, রাগারাগি, মান-অভিমান। তবে আমার মনে হয় কামড়, চুল টানাটানি, চিমটি এগুলোও মিশে থাকে। এতক্ষণে বুঝে গেছেন আমি বহুত দুষ্ট। এবার শুনাবো দুষ্টমির ছলে উনার জন্য লেখা দুটো লাইন… উহুম উনি কিন্তু আমার প্রিয়তম। আহ্! এখন নেই… ভবিষ্যতে হবে আরকি।
শুনুন তাহলে,

حبيبي!
في الطريقة الأولى، سوف تعالج هذا العنوان، عنوان الحلال!
প্রিয়তম!
জীবনে সর্বপ্রথম আপনাকে এই সম্বোধনটা করবো, একটা হালাল সম্বোধন!
حبيبي!
عندما يرتفع القمر في السماء في الليل، وسوف أرى القمر معك. كونه جانبي سيكون سون! وفي السماء هناك سيكون القمر.
প্রিয়তম!
রাতে যখন আকাশে চাঁদ উঠবে, তখন আমি আপনাকে নিয়ে চাঁদ দেখবো। আমার পাশে বসা থাকবে একটা চাঁদ! আর আকাশে থাকবে একটা চাঁদ।
حبيبي!
سوف تأخذني إلى حلم الحلم. حيث روحي هو بطن إلى النبي.
প্রিয়তম!
কথা দিতে হবে আমাকে নিয়ে যাবেন স্বপ্নের সেই দেশে। যেখানে আমার প্রাণ প্রিয় রাসূল সাঃ শায়িত আছেন।

حبيبي!
كل يوم تاهزود سوف يقرأ الصلاة، إنشا الله. وسوف تضطر إلى النظر في عيني والانتهاء، وأنا لن أترك لي. فقط الموت يمكن أن تفصل لنا.
প্রিয়তম!
প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ একসাথে পড়বো, ইনশাআল্লাহ। নামাজ শেষ করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা দিতে হবে, আমাকে কখনোই ছেড়ে যাবেন না। কেবল মৃত্যুই আমাদের আলাদা করতে পারবে।

شيء آخر…
سوف تشجعني دائما على أداء الدين. سوف تأخذ يدي حتى الجنة. حسنا؟
আরেকটা কথা…
আপনি সবসময় দ্বীন পালনে আমাকে উৎসাহিত করবেন। জান্নাত পর্যন্ত আমার হাতটা ধরে নিয়ে যাবেন। ঠিক আছে?

اسمحوا قلبك لي الألغام، وقلبي هو فقط لك.

আপনার হৃদয় আমার হোক, আর আমার হৃদয় হোক শুধুই আপনার।

কি একটু বেশি লিখে ফেলেছি? আরবিতে আমি গোল্লা। মাদ্রাসায় পড়ছি দশ বছর। কত জনের সাহায্য নিতে হলে…

প্রিয়তম শব্দটাকে হালাল ভাবে ব্যবহার করুন। দেখবেন এই শব্দটাকে হালাল মনে হবে। নিজের মানুষদের জন্যই তুলে রাখুন এই ভালোবাসাময় সম্বোধন। প্রিয়তম আমার হৃদয়ের স্পন্দন। আমার কল্পনার শুভ্র আলাপন।

কেউ আবার বলে ফেলবেন না, ভালোবাসার বিজ্ঞাপন…

মুচকি হাসুন। মুচকি হাসা সুন্নাত…!

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন