আমার পড়া স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর সেরা ৫ উপন্যাস

স্যার হ্যানরি রাইডার হ্যাগার্ড কে আমরা সবাই কমবেশি চিনি। ভদ্রলোক ১৮৫৭ সালে ২২ জুন ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯২৮ সালে মিত্রু বরন করেন। জীবনের বহু সময় তিনি অতিবাহীত করেছেন আফ্রিকায়। তার লেখনীতে ফুটে উটেছে আফ্রিকা মহাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। তিনি তার বেশির ভাগ লেখনীর রসদ জোগার করেছেন আফ্রিকা থেকে।নিচে তার পাচটি উপন্যাসের নাম দিলাম। ভালো লাগলে পড়ে দেখবেন।

১.ক্লিওপেট্রা:স্যার হেনরি রাইডার এর ঊপন্যাসের মধ্যে সেরা হলো ক্লিওপেট্রা(আমার মতে,আনেক আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন”।”ক্লিওপেট্রা” মূলত হারমাচিস নামক এক যুবকের জীবন কাহীনি।গল্পের নায়ক হারমাচিস,যিনি কিনা মিশরের ফারাও হিসেবে মনোনিত হয়েছিলেন।কিন্তু শেষে  দেবতাদের অভিশাপে কেনো তার করুন মিত্রু হয়েছিল জানতে পড়ে ফেলুন “ক্লিওপেট্রা” বইটি।

২.কিং সলোমানস মাইন: আফ্রিকার গহীনে থাকা গুপ্তধন উদ্ধার করতে অভিযানে বের হয় দুই অভিযাত্রি।পথে, পাকে চক্রে পড়ে তাদের সাথে যোগ দেয় এক নারী।অবশেষে তারা কী ঊদ্ধার করতে পারবে সলেমানের গুপ্তধন।বেচে ফিরে আসতে পারবে কী সভ্য জগতে। কিং সলেমানস মাইন বইটি একবার পড়তে শুরু করলে,শেষ না করে ঊঠতে পারবেন না।

৩.মর্নিং স্টার:মিশরের ফারাও এর মেয়ে নেতেরতুয়া।এই নেতেরতুয়াকে বিয়ে করতে চায় মিশরের আরেক প্রভাবশালী নেতা।সম্পর্কে তিনি নেতেরতুয়ার চাচা।কিন্তু নেতেরতুয়া তো ভালোবাসে অন্য একজন কে।অবশেষে কী হবে।নেতেরতুয়া কী নিজেকে সমর্পন করবে তার চাচার কাছে নাকি মিলিত হবে তার প্রেমিকের সাথে।জানতে আজই বইটি পড়ে ফেলুন।

৪.এলান কোয়াটারমেইন:স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর অমর সৃষ্টি এলান কোয়াটারমেইন।মূলত এলান কোয়াটার মেইন এবং তার বন্ধুরা পাহাড়ে বসবাস কারি এক সাদা চামড়ার উপজাতীর খোজে আফ্রির ভয়ংকর পথে পাড়ি জমায়।এই অভিযাত্রী দের অভিযান কে ঘিরে বইটির কাহীনী এগিয়ে চলে। অবশেষে তারা কী সেই সাদা ঊপজাতিদের খুজে পেলো।জানতে বইটি পড়ে ফেলুন।

৫.ব্লাকহার্ট-হোয়াইটহার্ট:আফ্রিকান উপজাতির এক যোদ্ধা ভালোবাসে এক মেয়েকে।মেয়েটিও যোদ্ধাটিকে ভালোবাসে।তারা একে অপরের সাথে ঘড় বাধতে চায়।কিন্তু তাদের দুজনের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক রাজা এবং একজন সাদা মানুষ।অবশেষে কী তাদের মিলন হবে।তবে কী মিলে যাবে পাহাড়ের উপরে থাকা বুড়ির ভবিষ্যত বানী।বইটির প্রতিটি অধ্যায় আপনাকে পুলকিত করবে।তাই দেরি না করে আজই পড়ে ফেলুন বইটি।

<

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন