আয়ের কত অংশ সঞ্চয় করবেন ? কেন করবেন?

 

জগতে অনেক কঠিন কাজের মধ্যে একটি কাজ হল টাকা ইনকাম করা। তবু সবাই কিন্তু টাকা ইনকাম করে কেও কম কেও বেশি। কিন্তু ইনকাম করার চাইতে যে কাজটি আরও বেশি কঠিন সেটি হচ্ছে সঞ্চয় করা। খুব কম মানুষি তাদের ভবিষ্যৎ এর জন্য সঞ্চয় করে থাকেন । বেশির ভাব মানুষি এ ব্যাপারে একটু উদাসীন বেখেয়ালী। অনেকের বক্তব্য এরকম দিন তো যাচ্ছেই ভালোই তো আছি সমস্যা কি? হে ভালোই আছেন আপনার যা ইনকাম সবটুকুই খরচ ভালো থাকারই কথা । কিন্তু এখানে সমস্যা একটা আছে আর সেটা হলো আপনার ভবিষ্যৎ । আপনি কম বা বেশি যে পরিমান টাকাই আয় করেন না কেন! তা থেকে যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা সঞ্চয় করতে ব্যর্থ হন । তাহলে আপনার ভবষ্যৎ চরম অন্ধকারে । পৃথিবীতে অসংক্ষ মানুষ রয়েছেন যাদের আমরা উদাহরন হিসেবে টানতে পারি । যারা নাকি কোটি কোটি টাকা আয় করেছিলো কিন্তু তাদের বেহিসেবি খরচের কারনে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নেমে গিয়েছিলো চরম অন্ধকারে ।

 

উদাহরন হিসেবে আমরা সেই বিখ্যাত বক্সার মাইক টাইসন এর কথা বলতে পারি । যিনি পার ফাইটে চার্জ করতেন ৩০ মিলিয়ন ডলার । ২০০৩ সালে নিউয়র্ক টাইমস এর হিসেব অন্যযায়ী মাইক টাইসন তার জীবনে আয় করেছিলেন ৪ শত মিলিয়ন ডলার । কিন্তু কিন্তু তার আয়ের অনুপাতের চেয়ে বেশি বেহিসেবি খরচের কারনে ২০০৩ সালেই তিনি নিজেকে দেওলিয়া ঘোষনা করেন । এছাড়ও আমরা উদাহরন হিসেবে  হিপ হপ সুপারস্টার ফিফটি সেন্ট তার নামটাও বলতে পারি । জিনি নাকি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করা সর্তেও এক সময় দেখতে পান যে তিনি তার নিজের আয়ের দুই গুন বেশি খরচ করে ফেলেছেন তার বিলাশি জীবনের কারনে । অর্থাৎ তিনি তার আসল সম্পত্তির থেকে ও বেশি ঋন করে ফেলেছেন শুধু তার বিলাশী জীবন কাটানোর জন্য । আর তাই তিনি ২০১৫ সালে নিজেকে দেওলিয়া ঘোষনা করেন ।

আমাদের দেশেও মিডিয়া জগৎ এর শিল্পি অবিনেত্রীদের দেখা যায় অনেক ভাল টাকা আয় করার পরেও শেষ জীবনে তারা তাদের চিকিৎসা খরচ -ই  জোগার করতে ব্যর্থ হন । তাদের চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য সাহায্যের হাত পাততে হয় । এছাড়াও আপনি আপনার আশে পাশে টাকালেই এরকম অনেক মানুষ কে দেখতে পারবেন যারা এক সময় অনেক ভাল ছিলো , ভাল চলতো কিন্তু এখন তাদের অবস্থা অনেক করুন । আর এর একটাই কারন তাদের আয়ের পরিমানটা অনেক বড় থাকলেও তখন তাদের সঞ্চয়ের পরিমানটা ছিলো অতন্ত্য কম । তাই আজকে তারা এই সমস্যার সম্মুখীন ।

তো আপনারাও কি তার করতে চান নাকি এখন থেকেই চান আপনার যা আয় তা থেকে কিছু সঞ্চয় করতে । আর করলে আপনি আপনার আয়ের কত পার্সেন্ট সঞ্চয় করবেন । চলুন দেখি তারি কিছু হিসাব ।

অর্থনীতিবিদের মতে । অর্থাৎ যারা অর্থনীতি বিষয়ে পণ্ডিত তাদের মতে আপনার আয়ের ২০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিৎ । অর্থাৎ আপনার আয় যদি হয় ১০০ টাকা তাহলে আপনার সঞ্চয় করতে হবে  ২০ টাকা । এই টাকাটা আপনি কখোনই ছুয়ে দেখবেন না । আপনার বাকি ৮০- টাকা আপনি খরচ করবেন আর ২০ টাকা আপনি আপনার ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেবেন । টাকা জমানোর কিছু সুবিধা রয়েছে

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে

১। মানুষিক প্রশান্তি । ধরুন আপনার ব্যাংকে কিছু টাকা আছে তখন কিন্তু আপনার বারতি কোন বিপদের চিন্তা মাথায় আসবে না ।আর তাই টাকার কারনে যে  মানুষিক  দুশ্চিন্তা থেকে ভালো থাকবেন।

২। জমানো টাকা আপনার জন্য বারতি আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করবে । যে টাকা আপনি ব্যাংকে রাখবেন তা থেকে কিছু প্রফিট ব্যাংক আপনাকে প্রতি মাসে দিবে ।

৩। দুরসময়ে আপনার কারও কাছে হাত পাততে হবে না । আপনি অর্থনৈতিক ভাবে হবেন স্বাধীন ও সচ্ছল ।

৪। বর্তমান যে কাজ করছেন বা যা থেকে আয় করছে তা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলেও আপনার সমস্যা হবে না । বৃদ্ধ বয়সে আপনি জীবন কাটাতে পারবেন বিন্দাস ।

৫। টাকা থাকলেই লোকে আপনাকে চিনবে, জানবে, মানবে , সম্মান করবে ।

অবশেষে একটি কথা না বললেই নয় । এই জগতে স্রষ্ট্রার পরেই হচ্ছে টাকার স্থান / বর্তমান এই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া ঘটনা ছার যা কিছু ঘটছে  সবই হচ্ছে টাকার জন্য ।  টাকাই মানুষ বাচায় , টাকায় মানুষ মারে , টাকাই সরকার গঠন করে  আবার টাকাই সরকার পতন করে। যা হচ্ছে যারা করছে তাদের দেখা গেলেও তাদের মূলে অর্থাৎ পিছনে কাজ করে কিন্তু এই টাকা । তাই আমি বলবো আপনি টাকা আয় করার পাশা পাশি টাকা সঞ্চয় করার পদ্ধতি টাও শিকে ফেলুন তাহলেই দেখবেন আপনার ভবিষ্যৎ  সুখ শান্তি আর সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে । ভালো থাকবেন । লিখাটা ভালো লাগলে শেয়ার করবেন । ধব্যবাদ  ।

 

Related Posts