”আর্তনাদ ” ( ভালবাসার মর্মান্তিক কাহিনী)

আসসালামুআলাইকুম,

আল্লাহর রহমতে আশা করি সবাই ভাল আছেন ও আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।

যখন সূর্যাস্তের শেষ লগ্ন ছিল, সন্ধের আকাশে ছিল কয়েকটি তারা রাত ছিল তিমিরাচ্ছন্ন, ঠিক এই তিন সময়ে ভেসে আসতো এক কুমারীর আর্তনাদ।

সে আর কেউ নয় সে আমারি একজন ও ছিল মোর প্রিয়া।কুমারীর কেন এই আর্তনাদ জানো কি ? কখনো কি তোমরা শুনেছো এই মর্মান্তিক আর্তনাদ, কখনো কি উপলব্দি করতে পেরেছো এই মেয়েটির কমোল হৃদয়ে বিষের কাঁটা কেন ছিল, না পারনি, পারবে ও না।তোমরা বলতে পারো কেন এমন হলো এত সুন্দর জীবন কেন অকালে ঝড়ে গেল।হ্যাঁ, এর উওর অবশ্যই আছে মেয়েটি ভালবাসতো এক যুবককে, সেই যুবকটি হলো আমি। মেয়েটি আমাকে ভালবাসতো বলে অন্য এক যুবকের হিন্নতা ছিল, সে মেয়েটিকে চেয়েছিল কিন্তু সেতো চায় আমাকে।

একদিন যুবকটি মেয়েটির সাথে কথা বলতে বাড়ির ছাদে আসলো, তাকে ভালবাসার কথা বলল।কিন্তু তার ভালবাসা ছিল আমার প্রতি, ভালবাসার মানুষের কাছ হতে না বোধক উচ্চারণ শুনে তার মাথা খারাপ হয়ে গেল।যুবকটি মন স্থির করতে পারলো না যে সে কি করবে, কি করা উচিত। হঠাৎ তার মাথায় এলো খুন করবে, সে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মেয়েটিকে ছাদ হতে ফেলে দিল।ও নিজেও লাফ দিয়ে পড়ে নিজের জীবন আর্ত্নহুতি দিল।হয়তো তার মনের গহীনে গোপন কথা ছিল , সে যেহেতু প্রিয়াকে পাবেনা তাহলে কাউকে ও পেতে দিবে না।

আমার বুঝতে দেরি হলনা এই সেই যুবক যে মেয়েটিকে ভালবাসতো, আমার বুঝতে অসুবিধা হলনা তার প্রিয়ার জন্য সে তার জীবন উৎসর্গ করেছে।সে দিনের পর থেকে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেল, প্রিয়া নেই এ জীবন সুন্দর করে কি লাভ। আমি ধুমপানে আসক্ত হলাম , মাদকাসক্ত হয়ে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরতাম, পেথেড্রিন, মরফিন নামক মরন নেশায় আসক্ত আমি।আজ আমি কি পেয়েছি কিছুই পাইনি।শুধু শুধু সোনার জীবন ক্ষয় করেছি। তখন যদি বুঝতাম তাহলে এমন হতনা। যা হবার তা তো হয়েছে, এখন মনে হয় আমার প্রিয়ার আর্তনাদ ছিল হয়তো আমাকে কাছে না পেয়ে অকালে মৃত্যু বরনের।হয়তো আমাকে জরিয়ে ধরে আদর করতে পারেনি বলে, নাকি যুবকটির প্রতি বিষম ক্ষোভের জন্য ? 

জানিনা, এত কিছু জানতে চাইনা।শুধু জানি ওর স্মৃতি আমাকে পাগল করে আমি আর পারিনা, হয়তো বা বিরহীনী প্রিয়া ডাকে আমাকে তাকে ভালবাসা দিবার জন্য।ওর স্মৃতি এখন ও মনে পড়ে, আজ ও আমার হৃদয়ে কান্না ঝড়ে, ওর বিহনে আমার মনের মনিকোঠায় আঘাত হানে। মাঝে মাঝে মনে হয় ওর স্মৃতি ভুলে যাই, কিন্তু পারিনা বার বার মনে পড়ে তাকে।

সূর্যাস্তের শেষ লগ্নে সন্ধ্যে তারার তিমিরাচ্ছন্ন রাতে আমি ওকে স্পষ্ট দেখতে পাই।আমাকে প্রিয়া হাতছানি দিয়ে ডাকে। কিন্তু আমি সাড়া দিতে পারিনা কারন, ও যে অন্য জগতের মানুষ।।

আজ এই পর্যন্ত। আবার কোন ভাল কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।যদি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের হৃদয়ে একটুকু দাগ কেটে থাকে থাকে তাহলে, সবাই কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের মতামত।সবাই ভাল থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts