আসুন একটু পরান খুলে হাসি।

হাসলে নাকি মন এবং শরীর দুটোই ভাল থাকে। তাহলে আসুন আপনাদেরকে একটু হাসানোর চেষ্টা করি। যদি পারি তাহলে তো হলোই, নাহলে এই চেষ্টা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এই আর কি!

প্রচেষ্টা – ১।

একটি গাড়ী কোম্পানিতে সেলসম্যান পদে লোক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষায় কমনসেন্স যাচাইয়ের জন্য প্রশ্ন করা হয়েছে –

“নারী আর গাড়ি” দুটোর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করুন।

উত্তরে একজন লিখেছে –

  • নারী আর গাড়ি দু’টোই তেলে চলে। যত ভালো মানের তেল, তত ভালো সার্ভিস।
  • নারী আর গাড়ি দু’টোই পুরনো হলে ডিসটার্ব (শব্দ দূষণ) করে।
  • নারী আর গাড়ি দু’টোর কোনটাই অন্যের হাতে নিরাপদ নয়।
  • সুন্দরী নারী আর সুন্দর গাড়ি থাকলে বন্ধুমহলে ভালো দাম পাওয়া যায়।
  • নারী আর গাড়ি কখন বিগড়ায়, আগে থেকে বলা মুশকিল।
  • নারী আর গাড়ি যার আউটলুকিং যত ভালো, তার দামও তত ভালো।
  • দু’টোরই দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড ভ্যালুর উপর।
  • সার্ভিস ভালো পেতে হলে নারী আর গাড়ি দু’টোকেই দৌড়ের ওপর রাখতে হয়।
  • নারী আর গাড়ি দু’টোই লাইসেন্স ছাড়া চালানো মারাত্মক অপরাধ।
  • ফিটনেস বিহীন গাড়ি অথবা নারী উভয়টাতেই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ব্যাপক।
  • গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলে জনসংখ্যা কমে, আর নারীতে ঘটলে বাড়ে।

তৎক্ষণাৎ উত্তরদাতা কে জড়িয়ে ধরে কোম্পানীর এম ডি বলল,  “ওরে পাগলা এতদিন তুই কোথায় ছিলি? আয় আমার বুকে আয়। এই নে, ব্ল্যাঙ্ক চেক দিচ্ছি। ইচ্ছেমত অংক বসিয়ে সেটা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়ে কালকেই জয়েন কর!

প্রচেষ্টা – ২।

আগেকার দিনে বিবাহিতা মহিলারা স্বামী এবং স্বামীর বয়োঃজেষ্ঠদের নাম উচ্চারণ করতেন না।

এক গ্রামের এক ভদ্র মহিলার ভাসুরের নাম – অর্জুন রায়,

শ্বশুরের নাম – তুলসী রায়,

স্বামীর নাম – মধু (মধুসূদন) রায়

দাদা শ্বশুরের নাম – সূর্য (সূর্যকান্ত) রায়

মেজ ভাসুর – ফাল্গুন রায়।

যাই হোক, একদিন ঐ মহিলা অসুস্থ হবার কারনে একই গ্রামের এক কবিরাজের কাছে গেল। সব শুনে কবিরাজ ঔষধ দিলেন –

ঃ “অর্জুনগাছের ছাল নিয়ে, তুলসী দিয়ে বেটে, দু’ফোঁটা মধু মিশিয়ে, সূর্য ওঠার আগে পুরো ফাল্গুন মাস খেতে পারলে সুস্থ হবেন”।

বউ বাড়ি আসার পর শাশুড়ি জিজ্ঞেস করলেন,

ঃ কবিরাজ কি বলল?

বউমা তো পড়লেন মহাবিপদে! আইটেম গুলোর তো সব নিষিদ্ধ নাম!! অনেক ভাবনা চিন্তার পর বউমার উত্তর –

ঃ “ভাসুর মশায়ের ছাল ছাড়াইয়া, শ্বশুর মশায়কে দিয়ে বেটে, আমার উনারে দুই ফোটা মিশাইয়া দাদা ঠাকুর উঠনের আগে পুরো মেজ ভাসুর কে খেতে পারলেই সুস্থ হবো”।

একথা শুনে শাশুড়ি দুদিন অজ্ঞান ছিলেন।

আজ এপর্যন্তই। কথা হবে অন্য কোনোও দিন, অন্য কোণোও সময়। আল্লাহ্‌ হাফিজ।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন