ইউটিউবে মোটিভেশনাল ভিডিও বানিয়ে আয় করবেন কিভাবে?

মোটিভেশনাল শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে আমরা প্রায় সবাই অনেক পছন্দ করি।

যদি আপনি ইউটিউবে কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করাটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। কারণ প্রতিদিন কেউ না কেউ “Motivation Video” কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করে থাকে। যার জন্য বলা যায় যদি আপনি সঠিকভাবে মোটিভেশনাল ভিডিও বানিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে সেগুলোতে বেশ ভালো পরিমাণে ভিউ আপনি পেয়ে যেতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব কিভাবে মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করবো? এই বিষয়টি নিয়ে। তাহলে চলুন মূল বিষয় যাওয়া যাক।

কিভাবে মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করবেন?

Motivational Video তৈরি করতে হলে আমাদের মূলত তিনটি জিনিষ প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলোঃ

  • ভয়েস
  • কপিরাইট মুক্তি ছবি এবং ভিডিও
  • ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক

ভয়েসঃ Motivational Video তৈরি করার ক্ষেত্রে ভয়েস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা এই ভিডিওতে আপনার ভয়েস হলো মেইন। আপনার কথার দ্বারা যদি অন্য কেউ মোটিভেশন পাই তবেই সে আপনার ভিডিও দেখবে। ভয়েস এর জন্য কবি ভালো মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ভয়েস এর সাউন্ড কোয়ালিটি বেশ ভালো আসবে। চেষ্টা করুন একটি ভালো মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে কেননা Motivational Video তে ভয়েস একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।

কপিরাইট মুক্তি ছবি এবং ভিডিওঃ মোটিভেশনাল ভিডিও তে আপনার অবশ্যই বিভিন্ন ক্যাটাগরির ছবি বা ভিডিও ক্লিপ এর প্রয়োজন হবে। কিন্তু ইউটিউবে আপনি যেকোনো ধরনের ছবি ভিডিও ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি দেন সেক্ষেত্রে কপিরাইট স্ট্রাইক আসা সহ চ্যানেল ব্যান হতে পারে। এইজন্য কপিরাইট যুক্ত কিছু ব্যবহার করবেন না। তবে কপিরাইট ফ্রী ছবি বা ভিডিও এর জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন। যেমন;

Pexels: এটি একটি কপিরাইট ফ্রী স্টক ইমেজ এবং ভিডিও ডাউনলোড করার সাইট। বিভিন্ন ক্যাটাগরির সকল ভিডিও বা ছবি আপনি এখানে থেকে পছন্দ করে নিতে পারেন। এগুলো ইউটিউবের ভিডিওতে এসব ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হবে না।

Pixabay: Pexels এর মত আরো একটি জনপ্রিয় স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে Pixabay, এখানে আপনারা নানান ক্যাটাগরির ছবি এবং ভিডিও পেয়ে যাবেন যেগুলো সম্পূর্ণ কপিরাইট মুক্ত। অর্থাৎ এগুলো আপনার ভিডিওতে ব্যবহারে করলে কপিরাইট সমস্যা হবে না।

এছাড়াও অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যা থেকে আপনি ভিডিও ক্লিপ বা ছবি সংগ্রহ করতে পারেন আপনার ভিডিওর জন্য।

ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকঃ অডিও ভিডিও প্রস্তুত, এখন পালা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর। ভিডিওর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট এটি। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর জন্য YouTube Audio Library এর সহায়তা নিতে পারেন। কারণ এখানের সব মিউজিক কপিরাইট মুক্ত। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর জন্য এই চ্যানেল অনুসরণ করতে পারেন।

সবকিছু জোগাড় হয়ে গেলে Klinemastar App দ্বারা আপনার কাঙ্খিত ভিডিওটি তৈরি করে ফেলুন এবং পরবর্তীতে সেটিকে ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে আয় করুন।

এই প্রক্রিয়াটি অনেকটা কপি পেস্ট করে আয় এর পর্যায়ে পরে থাকে। এভাবে সহজে আপনারা মোটিভেশনাল ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারেন।

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন