ইউটিউব এর ভিডিও সরাসরি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করা কি আসলেই উচিত??

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে করোনা কালীন সময়ে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়। আজকে আপনাদের সকলের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো

আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো তা হচ্ছে ইউটিউব এর ভিডিও ডাউনলোড করা। আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার দিয়ে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে থাকি। কিন্তু আসলে ইউটিউব থেকে সরাসরি ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলে নেওয়া যায় না।তবে অন্য অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে সেটি আপনার ডিভাইসে একদম স্থায়ীভাবে রাখতে পারবেন এবং এটি অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এটি একটি ভিডিও ফাইল হিসেবে সেট হয়ে যাবে। কিন্তু আসলে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করা বা কপি করার কোন বিধান নেই। কারণ এর ফল দিয়ে ইউটিউব এর চ্যানেল গুলো নানা ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আপনি হয়তো বা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য। কিন্তু আপনি এইসব এপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোরে পাবেন না। কারণ গুগল প্লে স্টোরে সর্বদা আপনার জন্য অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানএর জন্যে সেফ অ্যাপ্লিকেশন রাখে।

কারণ এগুলো অন্য চ্যানেলগুলোকে ক্ষতির সম্মুখীন করে। চলুন এবার জনি না যে কিভাবে চ্যানেল গুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আমরা জানি যে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। ইউটিউবে আয় করার জন্য চ্যানেল গুলোতে যে এড প্রদর্শন করা হয়। সেই অ্যাড গুলো দেখানো হয় গুগল এডসেন্স থেকে।কিন্তু আপনি যদি অন্য কারো কষ্ট করে বানানো ভিডিও গুলো আপনার নিজের চ্যানেল দিয়ে অনৈতিক ভাবে আয় করেন তবে তা আইন ভঙ্গ করে থাকে। এর ফলে সৃজনশীলতা ভঙ্গ হয়। তবে আমরা অনেকে ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজ বাঁচানোর জন্য এই ধরনের ভিডিও গুলো হরহামেশাই ডাউনলোড করে থাকি। হ্যাঁ এগুলো ডাউনলোড করা যেতেই পারে। কিন্তু আপনি যদি এগুলো আপনার চ্যানেলে প্রচার করেন তাহলে সেটি আইন বিরোধী কাজ বলে গণ্য হবে।

এই ধরনের ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করা সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে পেয়েছে টিউবমেট, ভিটমেট এবং আরও অনেক কিছু। অনেকগুলো ভিডিও রয়েছে যেগুলো শিক্ষামূলক, ভিডিওর প্রথমে লেখা থাকে যে এই ভিডিও গুলো কপি করা যেতে পারে কিন্তু যদি ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশ্যে সেগুলো কপি করা হয় তাহলে তা আইন বিরোধী বলে গণ্য হবে। বর্তমানে ইউটিউব এ সব আইন বিরোধী কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সুতরাং আপনি যখনই কোন ভিডিও কপি করে আপনার চ্যানেলে প্রচার করবেন তখন যদি তা ইউটিউব কতৃপক্ষের কাছে জানানো হয় তাহলে আপনার চ্যানেল টি ব্যান হয়ে যেতে পারে। কাজেই সাবধান থাকবেন! তাই বলে আমি আপনাকে একেবারেই বলবো না যে আপনি ইউটিউব থেকে ভিটমেট অথবা টিউবমেট ব্যবহার করে কোন ভিডিও ডাউনলোড করবেন না। বরং আপনার বিনোদনের কাছে সেগুলো আপনার ডাউনলোড করতে পারেন। কিন্তু তারা যেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

আর একটি কথা মনে রাখবেন যদি আপনার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার সৃজনশীলতা ভং হবে এবং এটি একটি অনৈতিকতার পরিচয় প্রদান করবে।

তাছাড়াও যদি ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবে জানতে পারেন যে আপনি অবৈধভাবে অন্য কোন ভিডিও কপি করে আপনার চ্যানেল প্রচার করছেন তাহলে তার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার তো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কাজেই সাবধান থাকবেন!

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য। পোস্টটি আপনাদের ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন। নতুন আরো চমকপ্রদ টিপস এবং আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাল্লাহ। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন।

সকলে করোণাকালীন সময়ে অবশ্যই হ্যন্ডস্যানেটাইজার এবং মাষ্ক ব্যাবহার করবেন,,নিজে সুস্থ থাকুন,,পরিবারকে সুস্থ রাখুন,, আল্লাহ হাফেজ

Related Posts