ইউটিউব থেকে আয়ের যে সকল গাইডলাইন এর অভাবে আপনি আয় করতে ব্যার্থ হোন।

আসসালামু় আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনারা সবসময় ভালো থাকেন এটাই কাম্য।দেশের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে করে ভাল থাকাটা খুব দুরুহ হয়ে পড়েছে।তবে আপনাদের জন্য সবসময় দোয়া থাকবে যেন সবাই ভাল থাকে।আজ আমি আপনাদের জানাতে এলাম কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় খুব সহজে।কি ভুলের জন্য আমরা আসলে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারি না।এসব ব্যাপার আজ আমি আপনাদের বুঝিয়ে বলব।আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকবেন।
অনলাইন জগতে ইউটিউবে যাত্রা শুরু হয় সেই 2004 সাল থেকে সেই 2004 সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউটিউব তার গ্রাহকদের যত সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছে আর অন্য কোন মার্কেটপ্লেস হয়তো এত সুযোগ সুবিধা প্রদান করেনি।
আপনারা ইতিমধ্যে সবাই জানেন যে ইউটিউব তার গ্রাহকদের কিভাবে টাকা দেয়। আপনি একটি ভিডিও আপলোড করবেন এবং যদি আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ থাকে তাহলে আপনার ভিডিও হতে যে এড প্রদর্শিত হবে সেটি থেকে আপনাদের টাকা দেওয়া হবে।
কিন্তু আমরা সাধারণত মনিটাইজ পাইনা কি কি কারণে সেই বিষয়গুলো এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আমরা বুঝি যে ইউটিউবে আয় অনেক সোজা আসলে কিন্তু তা নয় ইউটিউবে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে যেমন কোন চ্যানেল থেকে ভিডিও কপি করা যাবে না। আমরা শুরুতেই এই ভুলটা করি যে হয়তো কারো চ্যানেল থেকে একটু ভিডিও কাটি আবার অন্য চ্যানেল থেকে আরেকটু ভিডিও কাটি এইভাবে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে আমরা ভিডিও মেক করি। কিন্তু সেটা আসলেই ইউটিউব গ্রহণ করে না। ইউটিউব সব সময় চাই তাদের একটা ফ্রেশ কনটেন্ট লাগবে। আপনি যত ফ্রেশ কনটেন্ট বানাতে পারবেন ততই আপনি সামনে এগিয়ে যাবেন।এবার তাহলে আসুন আপনি কেন মনিটাইজ পাচ্ছেন না তার কিছু কারণ তুলে ধরা যাক। ধরুন আপনি একটি ভিডিও আপলোড করলেন কিন্তু সেই ভিডিওতে ম্যাক্সিমাম টাইম এইটটিন প্লাস কনটেন্ট থাকলো তাহলেই ইউটিউব আপনাকে তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাকচার দিয়ে দিবে। আপনি যদি কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক খান তাহলে আপনার চ্যানেল অনেকটা নিচে নেমে যাবে। আর যদি পরপর তিনটা গাইডলাইন স্ট্রাইক খান তাহলে আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই এই ভুলের জন্য আমাদের শখের চ্যানেলটি হারিয়ে বসে। অনেকে আবার কি করে অন্যের ভিডিও কপি করে ডিলিট নিজের চ্যানেলে দিয়ে দেয় এই জন্য তারা আবার স্থায়ী খেতে শুরু করে এভাবে তারা বারবার স্ট্রাইক খেতে খেতে একসময় চ্যানেলটি হারিয়ে বসে।
তাহলে চ্যানেল কেন হারাই এই কথাটা নিশ্চয়ই আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন।
আর মনিটাইজ পাওয়ার কি কি শর্ত আছে সেটা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যারা নতুন তাদের জন্য জানিয়ে রাখি। আপনাকে মনিটাইজ পেতে হলে যেকোনো এক বছরের ভিতরে আপনার 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগবে এবং সেইসাথে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে। এই শর্তগুলো পূরণ করার সাথে সাথে আপনার
জিমেইল এ একটা মেসেজ চলে আসবে। আপনি তখন সেই মেসেজে গিয়ে একটা এডসেন্স একাউন্ট খুলে মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেল যদি রিয়েল কনটেন্ট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই দুই-তিনদিনের ভেতরে আপনি মনিটাইজ পেয়ে যাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার যদি চ্যানেলে কোন কপি ভিডিও থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হবে আর এই ক্ষেত্রে মনিটাইজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম একেবারে নেই বললেই চলে।
এইবার তাহলে আসা যাক আপনারা মনিটাইজ পাওয়ার পর সাধারণত কি ভুলগুলো করে থাকেন যেগুলোর জন্য আপনার ইনকাম তেমন একটা হয় না। আপনারা ভিডিও আপলোড করার পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন তার ডেসক্রিপশন অনেক সুন্দর হয় বিশেষ করে টাইটেলটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যার টাইটেল যত বেশি আকর্ষণীয় হবে তার ভিউজ ততো বাড়বে। আর একটা ব্যাপার আরো গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ইউটিউব থাম্বনেইল আপনি থাম্বনেইল যত আকর্ষণীয় করতে পারবেন ততো দর্শক আনতে পারবেন। আপনার চ্যানেলে এটাতো গেল প্রাথমিক অবস্থা এর ভেতরে আরও যদি জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ভিডিও ট্যাগ কি?
ভিডিও ট্যাগ হচ্ছে আপনার সার্চ বারের সব থেকে বড় অস্ত্র। আপনার ভিডিওতে আপনি যে সকল ট্যাগ ইউজ করবেন সেই সকল ট্যাগ দর্শক আপনাকে খুঁজে পাবে। তাই ট্যাগ নির্বাচনে যথেষ্ট সচেতন থাকুন। খুব বেশি বুঝতে না পারলে ইউটিউব ঘাটাঘাটি করুন দেখবেন কিভাবে ট্যাগ নির্ণয় করবেন তার অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন।ইউটিউব নিয়ে এসব আলোচনার পরেও আপনাদের যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় বা কোন একটি টপিক যদি না বুঝেন তাহলে অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। অবশ্যই চেষ্টা করব আপনাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য কারণ আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালো ভালো ইউটিউবার বেরিয়ে আসুক। আর যত ইউটিউবার বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশের রেমিটেন্স সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আজকের এই পোস্ট যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারাও ইউটিউব সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতে পারে এবং কাজে লেগে পড়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts

23 Comments

মন্তব্য করুন