ইউনিক আর্টিকেল লেখার অলৌকিক উপায় !!!

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখা পেশায় বা শখে পরিনত হয়েছে।যার কারণে সকল ধরনের মানুষ বিভিন্ন সাইটে লেখালেখি করে থাকে।যেমনঃ-তরুণ তরুণী স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রী,পেশাজীবি, চাকুরী জীবী,কর্মজীবী গৃহিণী, শিক্ষক,বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা,ইত্যাদি দক্ষ এবং অদক্ষ লেখক অফলাইন ও অনলাইনেও লেখে থাকে।কিন্তু খুবই খারাপ এবং দুঃখের সংবাদ হলো তাদের মধ্যে বেশির ভাগই লেখক অদক্ষ। এই প্লাটফর্মে আপনি ইউনিক আর্টিকেল লেখার অলৌকিক উপায়গুলো জানতে পারবেন।

ইউনিক আর্টিকেল লেখার অলৌকিক উপায় !!!

🌧আর্টিকেল লেখার পূর্বে সিদ্ধান্ত নিন।

আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সেটির উপর আপনার কতটুকু ধারণা আছে?তা আগে নিশ্চিত করুন।এরপর লেখা শুরু করুন। কারণ আপনি যদি হঠাৎ করেই যে ধরনের একটি আর্টিকেল লেখার জন্য বসে যান। তাহলে আপনি কিন্তু বেশি কিছু লিখতে পারবেন না।আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলে তো আরও বাজে একটা কনটেন্ট তৈরি করা হবে। কেননা আপনার তো কোন পূর্ব প্রস্তুুতিই নেই।তাই বলা হয় পূর্ব প্রস্তুুতিই ভালো ভালো কনটেন্ট লেখার জন্য হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে থাকে।

আর্টিকেল লেখার উপকরণ সংগ্রহ নিশ্চিত করুন    

আপনি আর্টিকেল লেখার জন্য সকল ধরনের উপকরণের সংগ্রহ নিশ্চিত করবেন। যেমনঃ- কলম,কাগজ, মোবাইল,কম্পিউটার,ল্যাবটপ, ট্যাব ইত্যাদি। যদি মোবাাইলে বা ল্যাবটপে লেখেন তাহলে ব্যাটারির চার্জ আছে কি নেই পরিক্ষা করুন। আর কম্পিউটার হলে বিদ্যুৎ কত সময় ধরে থাকবে তা বুঝে নিন।

📝আপনি যে বিষয়টি জানেন সেটি লিখুন।

আপনি যে বিষয় সম্পর্কে ভালো জানেন সেই বিষয়টি নিয়ে লিখতে চেষ্টা করুন। উদাহরণ হিসেবে আমি বলবো যে,মনে করুন আপনি খেলাধূলা,গল্প, টেকনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন এবং লিখতে ভালোবাসেন কিন্তু এখন আপনি যদি বিউটি টিপস নিয়ে লেখেন তাহলে কিন্তু আপনি তেমন তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। তাই নয় কি?

🙆বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা অর্জন করুন।

আপনি যদি সম্পুর্ণ বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লিখতে চান।তাহলে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণের উপর ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর ইংরেজিতে লিখতে চাইলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করুন।আর তা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও দক্ষতা অর্জন করা উচিৎ।

📲প্রচুর পরিমাণে পড়ুন ও নিয়মিত চর্চা করুন

কথায় আছে “যতই পড়িবে ততই শিখিবে“তাই বেশি বেশি করে যে কোন লেখা পড়বেন।এর ফলে আপনার ভালো আর্টিকেল লেখার দক্ষতা বাড়বে। শুধু বই নয়,অনলাইনে বা ইন্টারনেটে প্রত্যেকটা টপিকের উপর হাজার হাজার লেখা  আর্টিকেল,ব্লগ পোস্ট আছে। আপনি যে, বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, সে বিষয়ের উপরে আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট পড়া শুরু করুন। এতে করে সহজেই আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে এবং আপনি কিভাবে ইন্টারেস্টিং ওয়েতে লিখতে হয় তাও শিখতে পারবেন।

🏘সুন্দর পরিবেশ ও মনোরম পরিস্থিতিতে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন।

আপনি সব সময়ই সুন্দর পরিবেশ ও পরিস্থিতি,নিরব, নিরবচ্ছিন্ন,স্তবদ্ধ,নিমূল জায়গায় বসে আর্টিকেল লিখুন।ভুলেও কোনদিন চিৎকার চেচামেচি,হৈচৈ,বিকট শব্দ করে এমন পরিবেশে লিখতে বসবেন না।

🍜আপনি সকল জুরুরি কাজ শেষ করে আর্টিকেল লেখার জন্য বসে পড়ুন!

অবশ্যই অবশ্যই কনটেন্ট লেখার পূর্বে আপনার সকল ধরনের কাজকর্ম গুলো শেষ করে লেখা শুরু করবেন।তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। এই যেমন ধরুন খেলাধুলা করা, কোথায় ঘুরতে যাওয়া,বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

🕞যথেষ্ট পরিমাণে সময় ও ধৈর্য ধরে আর্টিকেল লিখুন।

অনেক সময় লেখকগণ তারাহুরো করে কনটেন্ট লিখে। ফলে বাক্যের মধ্যে অনেক শব্দ ভুল হয়ে যায়। লেখার সময় অস্হীরতা,জুলুম ইত্যাদি পরিহার করুন। ধৈর্য ধারণ করে ধীর স্হীরভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে। কোন কারণ বসত আপনি যদি আপনার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে আর্টিকেল লেখা শেষ না করতে পারেন।তাহলে কিছুক্ষন ঘোরা ফেরা করে ফ্রেশ হয়ে আবার লিখতে বসে পড়ুন। সময়ের চাপ নিয়ে ভুলেও আপনি কখনো ভালো আর্টিকেল লিখতে যাবেন না।

👍প্রচুর পরিমানে তথ্য বহুল আর্টিকেল লিখুন।

আজকাল বেশির ভাগই ওয়েবসাইটকে গুগল প্যালান্টি দিচ্ছে। তার কারণ ঐ সাইটের মধ্যে বেশি বেশি করে থিন কনটেন্ট বা আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।থিন বলতে বুঝয় কম তথ্য বহুল কনটেন্ট / আর্টিকেলকে। আপনার লেখা পড়ে কেউ যদি কিছু শিখতেই না পাড়লো। তাহলে এরুপ লেখা লিখে কি লাভ বলুন?নিজে না জানলে রিসার্চ করুন এবং শিখুন।তারপর ইনফর্মেশনে ভরা একটি পূর্ণাংগ ইউনিক কনটেন্ট/আর্টিকেল লিখে ফেলুন।এতে করে ভিজিটররা আপনার আর্টিকেল পড়ে অনেক বেশি ভ্যালু পাবে।

👌উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করুন।

ভিজিটর যাতে করে খুব সহজেই বুঝতে পারে এমনভাবে লেখার চেষ্টা করুন। সহজ সরল ও বোধগাম্য ভাষায় কনটেন্ট লিখুন।কারণ এতে করে আপনার আর্টিকেলের রিড্যাবিলিটি বাড়বে।যথা সম্ভব উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন।

📃প্রতিটি আর্টিকেল কমপক্ষে ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখুন!

আপনার লেখা প্রতিটি আর্টিকেল যেন কম পক্ষে ৫০০ শব্দের দ্বারা লিখা হয় তা পরিক্ষা করুন।বেশি হলে তো আরও ভালো। আমি নিজে সব সময়ই চেষ্টা করি ১০০০ উপরে শব্দের আর্টিকেল লিখতে।

🙄স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্য পূর্ণ কনটেন্ট লিখতে হবে।

আপনার লেখা কনটেন্টগুলোর মধ্যে একটু ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আনতে হবে। ফলে আপনার লেখা খুব সহজেই শনাক্ত করা যাবে। আর ট্রাফিক বা ওয়েবসাইটের ভিজিটররা পড়ে অনেক মজা পাবে।তারা বার বার পড়ার জন্য আপনার লেখা খুঁজবে।

🙏সঠিক বানানে দ্রুত লেখার অভ্যাস করুন।

আমি অনেক আর্টিকেলেগুলোর মধ্যে দেখেছি ১০০ শব্দের মধ্যে প্রায় ৩০ টা শব্দের বানানই ভুল। শব্দের বানান ভুল করে না লিখে বিভিন্ন শব্দের বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন।

✔লেখার সময় আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চিন্হের ব্যাবহার নিশ্চিত করুন।

আপনি যখন আর্টিকেলেগুলোর লিখবেন তখন অবশ্যই খেয়াল করবেন যেন কোন চিন্হের ব্যাবহার মিস না হয়। আবার উল্টো পলটা কোন চিন্হ ইউজ করা যাবে না। যখন যেখানে যে চিন্হের দরকার ঠিক সেটাই ব্যাবহার করুন।

🤔সঠিক তথ্য গুলো উপস্থাপন করা উচিৎ

আপনার নিজের ধারণা থেকে বা অনুমানের ভিত্তিতে কোনো কনটেন্ট লেখা উচিৎ নয়। সব সময় সত্য তথ্য গুলো উপস্থাপন করুন। আর হে অবশ্যই নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য সূত্রগুলো উল্লেখ করবেন।

📃প্যারাগ্রাফ আকৃতিতে লিখুন।

অনেক বড় একটি প্যারাগ্রাফ না লিখে একেক টি বিষয়ের উপর একেকটি ছোট প্যারা গ্রাফ তৈরি করে আর্টিকেল লেখা ভালো।এতে করে ভিজিটররা আপনার লেখাটি পড়ার সময় ক্লান্তবোধ করে না।

🙏কপি পোস্ট করা আর্টিকেল পরিহার করুন

কোনো ভাবেই কপি পেস্ট করা যাবে না এবং আর্টিকেলে কোন ধরনের গ্রামাটিক্যাল ভুল রাখা যাবে না।আপনার লেখা আর্টিকেলটা কতটুকু ইউনিক হলো অবশ্যই তা পরিক্ষা করুন।

🗯আর্টিকেল লেখার পরে করণীয় কাজ গুলো 

👉ভালোভাবে রিভাইজ করুন

আপনার আর্টিকেলটি যদি লেখা শেষ হয়ে যায়।তাহলে তা ভালোভাবে রিভাইজ করুন।কোথাও কোন ভুল আছে কি নেই। কমপক্ষে ২ বার পড়ুন এবং ভুলগুলো খুজে বের করে তা প্রতিরোধ /দূর করুন।

👉আর্টিকেলটির গুনগত মান পরিক্ষা করুন।

আপনার লেখা আর্টিকেলটি হাই কোয়ালিটি না লো কোয়ালিটি সেটা পরিক্ষা করুন। আর তা বোঝার জন্য সহজ উপায় হচ্ছে আপনার কোন বন্ধুকে পড়তে দিবেন এবং পড়া শেষে তাকে বলবেন কেমন হয়েছে লেখাটি?

👉একটি ওয়েবসাইটের জন্য কেমন আর্টিকেল প্রকাশ করা উচিৎ?

১।আর্টিকেলের মধ্যে যেখানে হেডিং সাব হেডিং দরকার ঠিক সেখানেই তা ব্যাবহার করতে হবে। h1,h2,h3,h4,h5, ক্রমান্বয়ে ব্যাবহার করুন।

২।প্রতিটি কনটেন্টের মধ্যে আকষনীয় ছবি আপলোড করে দিবেন। আর হে অবশ্যই Alt tex এবং Title ব্যাবহার করতে হবে।

৩।কোন ক্রমেই কপি পোস্ট করা যে কোন ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না। কারণ তা ইনডেক্স হবে না। আর হলেও ওয়েবসাইট Renk হারাবে। আর ইউনিক কনটেন্ট লিখে প্রকাশ করলে গুগলেল সার্চ ইঞ্জিনে প্রাধান্য পাবে বেশি এবং বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন।

৪।সুন্দর করে আর্টিকেলের Title বা শিরোনাম লিখুন। শিরোনামটু সর্বচ্চ ৬০ অক্ষেরের মধ্যে রাখুন।

৫।অবশ্যই ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল Back link তৈরি করুন। গেস্ট পোস্ট ও ফোরাম পোস্ট করতে হবে।

৬। সার্চ ডেস্কক্রিবন বক্স কমপক্ষে ১৩০ থেকে ১৪৯ শব্দের মধ্যে রাখুন।

৭। সম্ভব হলে বিভিন্ন ধরনের রংয়ের ব্যাবহার করুন। কারণ সাদা কালো লেখার চেয়ে ভিজিটর রঙিন ছবি ও ভিডিও, এবং কনটেন্ট বেশি পছন্দ করে।

৮। লেখা বোল্ট বা ইতালিক করে দিন। আর লোকেশন বাংলাদেশ রাখুন।

পরিশেষে বলতে চায় দয়া করে যে,কোন ওয়েবসাইট এ কপি পেস্ট আর্টিকেল/কনটেন্ট /লেখা পোস্ট সাবমিট করবেন না।বিশেষ করে Grathor ওয়েবসাইট এ।কাউকে সাহায্য বা উপকার না করতে পারলেও অন্তত ক্ষতি করবেন না।ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, সবসময়ই। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক এই কামনায় করি আল্লাহর কাছে। হ্যাপি ব্লগিং। লেখক মোঃ লোকমান হোসেন বাংলাদেশ।

<

Related Posts

16 Comments

  1. খুব সুন্দর টপিক। কিন্তু বিষয় অনুযায়ী আপনার লিখার মান কিন্তু বজায় থাকে নি। যেমন, আপনি লিখেছেন, “প্রচুর পরিমাণে তথ্যবহুল আর্টিক্যাল লিখুন”। কথাটি কি ঠিক আছে?

মন্তব্য করুন