ইউসুফ (আ) এর জীবনী

হযরত ইউসুফ(আ:) এর জীবন কাহিনি৷
হযরত ইউসুফ(আ:) এর পিতা হযরত ইয়াকুব (আ)৷ তখনো হযরত ইউসুফ(আ:) জন্ম গ্রহন করেননি৷ ইয়াকুব (আ) এর ছিল চার স্ত্রী এবং দশ জন ছেলে৷ তখন সবাই করত মূর্তিপূজা৷ শুধুমাত্র ইয়াকুব নবী ওতার পরিবার বর্গ ব্যতিত৷ আর তখন সব থেকে বড় ও শক্তিশালী দেবতা ছিল ইসতার৷ সবাই ইস্তার এর পূজা করত৷ ইয়াকুব নবী এক খোদার দাওয়াত দিতেন৷ তাই তখন ইয়াকুব নবীকে কেউ দেখতে পারতনা৷ আবার তাকে কেউ কিছু বলতেও পারতনা৷ কারন তিনি ছিলেন সে অঞ্চলের গভর্নর এর জামাতা ও ভগ্নীপতি৷ ইয়াকুব নবী মাঝে মাঝেই ইস্তার সম্পর্কে এমন কিছু সত্য কথা বলতেন যা ইসতার এর অনুসারিরা সয্য করতে পারতনা৷ ইসতার এর জাদুকর ইয়াকুব (আ) কে বিভিন্ন অভিশাপ দিল৷ ইয়াকুব নবীর স্ত্রী রাহেল ছিল তখন গর্বভতী৷ যখন রাহেলের প্রশব বেদনা বা যন্ত্রনা শুরু হল তখন সবাই বলতে লাগল আজ হয় রাহেল মারা যাবে না হয়ত তার গর্ভের সন্তান মারা যাবে৷ কারন ইসতার তাকে অভিশাপ করেছে৷ এমন সময় রাহেল অজ্ঞান হয়ে পরল৷ ইয়কুব নবীর পরিবারএর সবাই খুবি চিন্তিত হয়ে পরল৷ রাহেলে বোন লিয়া ছিল ইয়াকুব (আ) এর আরেক স্ত্রী৷ সে তার বোনকে নিয়ে খুবই চিন্তা করতে লাগল৷ এমন সময় একেকজন একেক কথা বলতে থাকে৷ সবার কথার উত্তরে ইয়াকুব (আ) জবাব দিলেন আজ প্রমান হোক যে ইয়াকুব এর খোদা শক্তিশালী নাকি অই মন্দিরের জাদুকর ইসতার৷ ইসতার এর জাদুকর মন্দিরের ভেতর থেকে ইয়াকুব (আ) কে অভিশাপ করতে লাগল৷ এদিকে ইয়াকুব (আ) নির্জনে বসে কেদে কেদে আল্লাহর নিকট দুয়া করছিলেন৷ সে সময় অই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ চলছিল৷ হঠাৎ বাচ্চা ছেলের কান্না৷ আবার রাহেলও জীবিত আছেন৷ সাথে সাথে সেই অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হলো৷ সবাই বলেছিল যে ইয়াকুব নবীর সন্তান নাকি ইসতারের জাদুতে ধংস হবে, এখনত দেখছি সে রহমত নিয়ে এসেছে৷ তার জন্মই এই দুর্ভিক্ষের অবাসান ঘটিয়েছে৷ এদিকে ইসতার মন্দির সহ ইসতারের জাদুকর ধংস হয়ে গেল৷ মন্দিরের আগুন ইসতারের গায়ে লেগে সব ধংস হয়ে যায়৷ তখন বুঝতে পেরে সবাই ইয়াকুব(আ) এর এক খোদার ধর্ম গ্রহন করে শুধুমাত্র ইসতার এর খাদেমগন ব্যতিত৷ রাহেলের গর্ভে যে সন্তানটি জন্ম নিল তার নাম হলো ইউসুব৷
ইউসুব (আ) ছিল সবার খুব প্রিয় পাত্র৷ তাই তার অন্য সব ভাইয়েরা তার প্রতি হিংসা করত৷ তারা একি পিতার সন্তান হলেও ভিন্ন মায়ের সন্তান ৷ কয়েক বছর পর একটি লোক ঘোড়াই করে একটি চিঠি নিয়ে আসে৷ চিঠিটি এসেছে কেনান থেকে৷ কেনান হলো ইয়াকু(আ) এর জন্মভূমি৷ ইয়াকুব (আ) এর পিতা ইসহাক (আ) ইন্তেকাল করেছেন৷ তাই সেই কেনানের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে৷ তিনি তার পরিবারের সকল লোক নিয়ে পর কেনানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন৷ তখন রাহেল দ্বিতীয় সন্তানের জননী হতে চলেছে৷ পথের মধ্যে রাহেলের প্রসব ব্যাথা শুরু হলো৷ হযরত ইউসুফ(আ:) এর একি মায়ের গর্ভের আরেকটি ভাই পেলেন৷ কিন্তু কষ্টের বিশয় হলো রাহেল আর জীবিত নেই৷ তিনি বাচ্চা প্রসবের সময় ইন্তেকাল করেছেন ৷ এমন সময় খুবই কষ্টে কাটতে লাগ্ল সবার৷ সেখানেই রাহেল্ কে কবর দেয়া হলো৷ আর সেই সন্তানটির নাম দেয়া হলো বনিয়ামিন৷ তারা হাঁটতে হাঁটতে কেনান পৌছল৷ সেখানে তারা কেনান বাসীদের সাথে দিন কাটাতে লাগল৷ ইউসুফ (আ) সবাই একটু বেশিই ভালবাসত৷ কারন তিনি ছিলেন দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তার চরিত্র ও ব্যবহার ছিল তার থেকেও সুন্দর৷ একদা এক রাতে ইউসুফ (আ) স্বপ্নে দেখলেন সূর্য, চন্দ্র ও এগারোটি নক্ষত্র তাকে সিজদাহ করে৷ এই ঘটনার কথা ইউসুফ (আ) তার বাবা ইয়াকুব (আ) কে বললেন৷ ইয়াকুব (আ) ইউসুফ (আ) বললেন সাবধান পুত্র আমার, এই স্বপ্নের কথাতুমি কাউকে বলবে না৷ কারন ভাইয়েরা তুমার দুশমনি করতে পারে৷ তবু রাতের আধারে ইয়াকুব এর স্ত্রী সব কথা শুনে তার ছেলেদের নিকট তা বলে ইউসুফ (আ) এর শত্রুতা করার জন্য চেষ্টা করল৷ এই স্বপ্নের কথা শুনে ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা আরো শত্রুতা করা শুরু করল৷ কিছুদিন পর ইয়াকুব (আ) স্বপ্নে দেখলেন দশটি নেকরে তার ছেলেকে দৌড়াচ্ছে এবং ইউসুফ (আ) পাহাড় থেকে পড়ে গেল৷ এই স্বপ্ন দেখার ইয়াকুব (আ) খুবই চিন্তিত থাকতেন৷ কিছুদিন পর তার ভাইয়েরা তাদের পিতা ইয়াকুব (আ) কে বলল, আমরা মাঠে ভেড়া নিয়ে যাব, আজ আমরা ইউসুফ কে নিয়ে যাই৷ ইয়াকুব (আ) অনেক বাধা দিলেন কিন্তু ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা ইয়কুব (আ) কে এমন ভাবে বুঝালেন যে তারা ইউসুফ (আ) কে অনেক ভালোবাসেন৷ পরে তারা ইউসুফ (আ) কে সংগে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন৷ অনেকদূর যাওয়ার পর তারা ইউসুফ (আ) এর উপর নির্যাতন শুরু করলেন৷ তারা কেউই ইউসুফ (আ) এর একি মায়ের ভাই ছিলনা৷ এক সময় ইউসুফ (আ) তারা হত্যা করতে চাই৷ কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে লাবি ছিল অহংকার মুক্ত এবং ইউসুফ (আ) সেও ভালোবাসত৷ লাবি বাধা দিল ইউসুফ (আ) হত্যা থেকে৷ কিন্তু লাবি একা তাদের সংগে পেরে উঠছিলনা৷ পরে তারা লাবির উত্তেজনাই ইউসুফ (আ) কে হত্যা করতে না পেরে একটা কূপের ভেতর ফেলে দেয়৷ কয়েকদিন সেখানে ছিলেন ইউসুফ (আ) এবং এখানেই সে শিশু বয়সে নবি হওয়ার ঘোষনা পেল৷ জিব্রাইল (আ) কূপের ভিতর এসে সেই সুসংবাদ দেন৷ কিছুদিন পর একদল কাফেলা মিশর যাচ্ছিল ব্যবসার উদ্দেশ্যে৷ তারা পানি পানের জন্য সেই কূপ থেকে পানি উঠানোর সময় দেখল যে বালতির সাথে অনেক সুন্দর একটা ছেলে উঠে এল৷ তখন তাদের ভাইয়েরা এখানেই ছিল৷ ইউসুফ (আ) কে দেখতে পেয়ে তারা সেখানে গেল এবং কাফেলার সাথে যোদ্ধ করার চেষ্টা করল৷ সেখানেও লাবির বাধাঁ৷ লাবি বলল ইউসুফ কে তাদের নিকট বিক্রি করে দাও৷ তোমাদের ইচ্ছে ইউসুফ কে হত্যা করা নয় দূরে সরিয়ে দেওয়া৷ কারন লাবি জানত যে ইউসুফ কেনান থাকলে অন্য কোন উপায়ে তার ভাইয়েরা তাকে হত্যা করবে৷ পরে তারা ইউসুফ (আ) কে মালিক নামের একজনের নিকট বিক্রি করে দেল৷ আর নিয়ে গেল ইউসুফ (আ) এর গায়ের পোশাক এবং তারা ইয়াকুব (আ) এ বলল ইউসুফ কে নেক্রে খেয়েছে৷ তারপর সেই মালিক ইউসুফ কে মিশরে নিয়ে গিয়ে দাশ বিক্রেতাদের নিকট তাকেও বিক্রি করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত করা হল৷ ইউসুফ (আ) এর বয়স তখনো খুব বেশি না৷ তখন একজন শক্তিশালী দাশের মুল্য ছিল একশো বা দুইশ দিনার৷ কিন্তু সেই সময় ইউসুফ কে সেখানকার আজিজে মিশর ক্রয় করেন তিন হাজার দিনার দ্বারা৷ ইউসুফ (আ) আজিজে মিশর এর নিকট খুব সুখেই দিন কাটাতে লাগল৷ রাজপুত্রের মতো করে বড় হতে থাকল ইউসুফ (আ৷ তাকে আজিজে মিশর পুতিফার ও তার স্ত্রী সন্তানের মতো করে লালন পালন করতে লাগলেন৷ ইউসুফ (আ) এর সৌন্দর্য্য ও ব্যবহার দ্বারা তিনি সকলের মন জয় করে নিলেন৷ ধিরে ধিরে ইউসুফ (আ) যুবক হয়ে উঠলেন৷ তাকে আজিজে মিশর এর পরামর্শদাতা পদে উপাধি দেয়া হলো৷ কিন্তু ইউসুফের এই সৌন্দের্যের কারনে জুলেখা তার প্রেমে পরে যায়৷ তখনো সেখানে সবাই মূর্তিপূজা করত৷ আমন ছিল সেখানকার সব থেকে বড় মূর্তি বা তাদের খোদা৷
ইউসুফ (আ) জুলেখার প্রেম আবেদন কে প্রত্যাক্ষান করলেন৷ কিন্তু জুলেখা ছিলেন খুব জেদি৷ সে ইউসুফ (আ) কে বলল প্রেম না কর তবে আসো আমরা কামনা বাসনাই লিপ্ত হয়৷ ইউসুফ সেই প্রস্তাবটিও না করে দেন৷
অন্য একদিন ইউসুফ (আ) কে জুলেখার কামরাই ডেকে পাঠানো হয়৷ জুলেখার কামরাই ঢুকতে সাতটি দরজা পার করে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়৷ আর দরজার চাবি শুধুমাত্র জুলেখার নিকটই থাকে৷ ইউসুফ (আ) জুলেখার আদেশ মানতে জুলেহকার কামরাই প্রবেশ করল৷ সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো৷ ইউসুফ ভয় পেতে লাগলেন এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতে লাগলেন৷
জুলেখা আবারো সেই একি প্রস্তাব করেন ইউসুফ (আ) কে৷ তাকে কামনা বাসনাই লিপ্ত হতে বললে ইউসুফ (আ) তাতে অসম্মতি জানাই৷ জুলেখা যখন জোর করা শুরু করল তখন ইউসুফ (আ) দৌড়ে পালাল৷ আল্লাহ তালার অফুরন্ত রহমতে ইউসুফ (আ) দরজার নিকট যাওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে গেল৷ ইউসুফ বের হলোকিন্তু জুলেখা নিজেকে বাচানোর জন্য তার স্বামী পুতিপার কে মিথ্যে বলে ইউসুফ কে হাজতে পাঠালেন৷ জুলেখা অভিযোগ করেন ইউসুফ তাকে জোর করে কামনা বাসনাই জড়াতে চেয়েছিল৷ বছরের পর বছর ইউসুফ (আ) জেল খাটতে লাগলেন৷

জেল থেকে ইউসুফ (আ) এর মুক্তি:
তখন মিশরের বাদশা আমেন হুতেফ স্বপ্নে দেখেন যে নীলনদ থেকে সাতটি রোগা গরু সাতটি মোটা গরুকে গিলে যাচ্ছে৷ পরের দিনেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে কেউ বলতে পারল না৷ পরের আবার স্বপ্নে দেখেন যে সাতটি শুকনো গমের শিষ সতেজ গম গুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে৷ তখন মিশরের কেউ এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারল না৷ কোন এক মাধ্যমে বাদশা জানতে পারলেন যে তার এক কয়েদি স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানেন৷ পরে ইউসুফ সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেন এবং কারাগার থেকে মুক্তি পান৷ ইউসুফ (আ) বাদশাহকে বললেন আপনার স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো মিশরে সাত বছর প্রচুর ফসল হবে এবং পরের সাত বছর অনেক দূর্ভিক্ষ দেখা দেবে ৷ এই স্বপ্নের মাধ্যমেই ইউসুফ (আ) বাদশাহ এর প্রিয় পাত্র হোন৷
ইউসুফ (আ) এর আজিজে মিশর পদে নিযোক্ত:
জুলেখার স্বামী আজিজে মিশর অসুস্থ হয়ে মারা যান৷ আর তার মৃত্যুর পর ইউসুফ (আ) কে আজিজে মিশর এর উপাধি দেন বাদশা৷ কারন এরই মধ্যে ইউসুফ (আ) এর কাজ বিশ্বস্তা ও অলৌকিক ক্ষমার দ্বারা বাদশাহ ইউসুফ (আ) এর উপর বিশ্বাস ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেন৷ যার ফলে ইউসুফ (আ) কে আজিজে মিশর পদে নিযোক্ত করেন৷
দূর্ভিক্ষ ও তার ভাইদের মিশরে আগমন:
সাত বছর অফুরন্ত ফসল হওয়ার পর মিশর ও তার আশেপাশের দেশগুলোতে দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ যেহেতু ইউসুফ (আ) জানতেন সাত বছর প্রচুর ফসল ফলবে তাই তিনি পর্যাপ্ত পরিমান গম মজুদ করে রাখেন৷ কিন্তু কেনানের কি অবস্থা? কেনানেও তখন দূর্ভিক্ষ চলছিল৷ যার ফলে তার ভাইয়েরা গমের জন্য মিশরে আসল৷ ইউসুফ (আ) তাদের চিনতে পেরেছিল কিন্তু তারা কেউ ইউসুফ (আ) কে চিনতে পারেনি৷ ইউসুফ (আ) তাদের অনেক আপ্যায়নের পর তাদের গম দিলেন৷ পরেরবার যখন আবার গম নিতে আসলেন তখন ইউসুফ (আ) তার পরিচয় দিলেন৷ তখন তার ভাইয়েরা লজ্জা ও কষ্টে মাথা নিচু করে কাঁদতে লাগল৷ আর লাবি চিৎকার করে কাঁদতে লাগল আর বলল আমাকে শাস্তি দাও ইউসুফ, আমাকে শাস্তি দাও৷ ভাইয়েরা তোমার উপরকি অত্যাচার আর জুলুমি না করেছে৷ আমি তখন তোমার জন্য কিছু করেত পারিনি৷ ইউসুফ (আ) বললেন আমিতো কূপের মধ্যেই তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি৷ লাবি চিৎকার করে কেদে কেদে বলল চাইনা আমি তোমার ক্ষমা৷ খোদাএ কসম করে বলছি ত্মার এই ক্ষমাই আমার জন্য বড় শাস্তি৷ তারপর ইউসুফ (আ)তারপর তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করাই ভাইয়েরা বলে তার বাবা ইউসুফ (আ) এর জন্য কাদতে কাদতে অন্ধ হয়ে গেছে৷ দিন রাত শুধু কেদেই চলেছে৷ সেবার ইউসুফ (আ) ভাইয়েদের গম দেন এবং বলেন যে তোমাদের জন্য মিশরে জায়গা নির্ধারিত করে রেখেছি৷ তোমারা ও তোমাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিশরে চলে এসো৷ আমি আমার বাবাকে দেখার জন্য অওস্থীর হয়ে আছি৷
বাদশার ইসলাম ধর্ম গ্রহন
ইউসুফ (আ) এর আচরন, ব্যবহার, খোদার সাথে তার এক সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে এবং ইউসুফ (আ) এর সফলতা উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাদশা৷ যার ফলে তিনি এক খোদার ধর্ম গ্রহন করেন এবং ইউসুফ কে বলে যে এই মিশরের আসল বাদশাহ তো আপনি৷ মিশরকে দূর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করেছেন আপনার খোদা৷ মিশর আপনি ও আপনার খোদার নিকট ঋনী৷
জুলেখার ইসলাম ধর্ম গ্রহন ও ইউসুফের স্ত্রী হওয়া:
পুতিফারের মৃত্যুর পর জুলেখা একদম একা হয়ে যায়৷ সে ইউসুফ (আ) এর প্রতি এতোটাই মগ্ন থাকতেন যে অন্য কোন বিষয় নিয়ে তিনি ভাবতেন না৷ ইউসুফের জন্য তিনি তার রুপ, সৌন্দর্য্য, আভিযাত্য সব শেষ করে এক বৃধ ও পথের দেওলিয়া হয়ে যান৷ সবাই তাকে পাগল পাগল বলতে থাকে৷ জুলেখাও উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে তাদের খোদা আমুন তাদের কিছুই দিতে পারেনি আর ইউসুফ (আ) এর খোদা ইউসুফ কে একটা গোলাম থেকে আজিজে মিশর বানিয়েছে আজ তাকে মিশরেরে মি সবাই কত ভালোবাসে যেমন ভালবাসে সেই৷ পরে জুলেখা এক খোদার দ্বীন গ্রহন করেন এবং আল্লাহ তালা তাকে সেই হারানো যৌবন ও রুপ ফিরিয়ে দেন৷ এবং ইউসুফ (আ) আল্লাহর আদেশে জুলেখাকে বিয়ে করেন৷ পুর্বেও ইউসুফ (আ) এর একটি স্ত্রী ছিল৷
ইয়াকুব (আ) এর মিশরে আগমন:
ইয়াকুব (আ) ও তার পরিবারের সবাই যখন মিশরে আসল তখন মিশরের শহরে পৌছানোর আগেই ইউসুফ (আ) ও মিশরবাসী ইয়াকুব এর সম্মানে তাদের গ্রহন করতে যায়৷ ইতিপুর্বে ইয়াকুব (আ) এর চোখ ভালো হয়ে গিয়েছে৷ প্রায় চল্লিশ বছর পর পিতা ও পুত্রের সাক্ষাত ঘটবে৷ সবার নিকট বিষয়টা একটা কৌতুহল ছিল৷ ইয়াকুব (আ) কে দেখেই ইউসুফ (আ) তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে৷ তাদের সুখের সেই অশ্রুপাত যেন শুধু তাদেরই নই৷ তাদের সাথে সকল মানুষ, পুরো মিশর আর যেন আকাস বাতাস ফেরেস্তা সহ তাদের সুখে আনন্দের অশ্রুপাত করছে৷
ইয়াকুব (আ) এর আগমনের মাধ্যমে মিশরে দূর্ভিক্ষের অবসান ঘটে৷
(সমাপ্ত)
বি:দ্র: এটি একটি অনেক লম্বা কাহিনি যা অনেক সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা হয়েছে৷ এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ পড়েছে৷

Related Posts

12 Comments

  1. ইসলামিক কাহিনী পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।আর বিভিন্ন নবী রাসূলগনের জীবনকাহিনীও অনেক ভালো লাগে। আপনার এই পোস্টটা অনেক ভালো লাগলো।

মন্তব্য করুন