“একজন টিনেজার হিসেবে সফলতা লাভের উপায়”

টিনেজার মানেই আবেগময় জীবন” ছোট থেকেই এই কথাটি শুনে এসেছি। কিন্তু শুধু আবেগ নয়, একই সাথে মজাদার এবং উপভোগময় একটি সময়। তবে সেই সাথে এই বয়সটি টিনেজারসের উপর ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক প্রভাবটাই বেশি ফেলে।

টিনেজারস দুই ধরণের-

  1. ব্যর্থ টিনেজার এবং
  2. সফল টিনেজার

সফল টিনেজারকে চিনতে পারলেই আমরা ব্যর্থ টিনেজারকে শনাক্ত করতে পারবো। সফল টিনেজার হচ্ছে সে যে দায়িত্বশীল, লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করে, চলার পথে বাধা দেখলে থেমে না গিয়ে বরং যুদ্ধ করে। আর ব্যর্থ টিনেজার হচ্ছে তার বিপরীত।

আমি এই আর্টিকেলে টিনেজারদের সফলতা লাভের কিছু প্রাকটিকাল পথ নিয়ে কথা বলবো। আশা করি আপনাদের উপকার হবে এবং বিশেষ করে টিনেজারদের বেশি।

#১ সক্রিয় হও-

  • প্রত্যেকটা কাজে সক্রিয় হতে হবে। স্কুল কিংবা কলেজে খেলাধুলায় যুক্ত হতে হবে, সক্রিয়ভাবে খেলাধুলায় লেগে থাকতে হবে। স্কাউটে যোগ দেয়া যেতে পারে।
  • এছাড়াও ইয়ুগা ক্লাস, সুইমিং ইত্যাদি যত ওয়ার্ক-আউট আছে চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে করে শারিরীকভাবে ফিট থাকার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও ফিট থাকা যেতে পারে।
  • ওয়ার্ক-আউটের মাধ্যমে সক্রিয় থাকার ব্যপারটা একঘেয়েমি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে করে পড়াশোনা কিংবা অন্যান্য স্কিল গেইনিং কাজগুলো অনেক মনোযোগের সাথে করা যায়।
  • সক্রিয় থাকার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে প্রফুল্ল থাকার মাধ্যমে।

টিনেজারদের লাইফটা অনেকাংশে আবেগের। তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণের সক্রিয় হওয়াটা জরুরি।

#২ বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক এবং জ্ঞানি হও-

  • টিনেজারদের অধিকাংশ সময়ই কাটে বন্ধুবান্দবের সাথে। একটা খারাপ বন্ধু চাইলেই একজনকে নেতিবাচক পথে এবং একজন ভালো বন্ধু চাইলেই একজনকে ইতিবাচক পথে নিয়ে যেতে পারে।
  • তোমার নির্বাচন করা বন্ধুটি যদি তোমাকে তোমার লাইফের খারাপ আর ভালো কাজের তফাৎটা আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়, নিঃসন্দেহে তুমি তাকে নিয়ে অনেক দূর যেতে পারো। আর যে বন্ধুটি  তোমাকে ভালো-খারাপ না দেখিয়ে উশৃঙ্খলের দিকে নিয়ে যায়, তাকে ত্যাগ করার জ্ঞানির কাজ হবে।
  • তোমার কোন বন্ধুটি তোমার ভালো চায়, আর কে খারাপ চায় সেটা তোমার থেকে ভালো অন্য কেউ বুঝবেনা। একটি ভালো বন্ধু জীবনের একটা অংশ। আর এই বন্ধু নির্বাচনের অন্যতম স্পেসিফিক একটা সময় হচ্ছে টিনেজারস বয়স। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।

#৩ টাকা সঞ্চয় কর-

  • টিনেজারস মানেই পড়াশোনা। এই বয়সে পড়াশোনার একটা ধুম পড়ে যায়। সে সুবাধে বাবা-মা খড়চ হিসেবে অনেক টাকাই দিয়ে থাকে।
  • খড়চের জন্য দেয়া টাকাগুলোর সব যে খড়চ করে ফেলে সে আসলেই বোকা।আর একটু একটু সঞ্চয় করে রেখে দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ বিপদ কখনো বলে আসে না।
  • সঞ্চয় করে রেখে দেয়া টাকাগুলো যখন বিপদের সময় কাজে লাগে তখনের মুহূর্তটা অসাধারণ।

#৪ যত যাই হোক, পড়াশোনা চালিয়ে যাও-

  • টিনেজারদের আবেগ যেহেতু একটু বেশিই থাকে, তাই তখন আবেগের বশে কোনো একটা ভুল করে ফেলা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ভুলের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়া ক্ষতি এবং ভুল ছাড়া কিছুই নয়।
  • অনেক টিনেজারসরা ঠেলায় পড়ে বাস্তবতা অনুভব করে ফেলতে পারে এবং কঠিন সময় পার করে, পরিবার নিয়ে চিন্তা করে, নিজের ফিউচার নিয়ে চিন্তা করে ইত্যাদি। তখন তাদের জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা কষ্টের হয়। কিন্তু তখন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান এইটা খুব কম টিনেজারসরাই বুঝে।

#৫ পিতামাতা এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো থাকা-

  • মনে রাখবে, পিতামাতা এবং শিক্ষক তোমার লাইফের বড় একটা অংশ। তাদের একটা সিদ্ধান্ত তোমাকে উপড়েও উঠাতে পারবে এবং নিচেও নামাতে পারবে।
  • আবার পিতামাতা এবং শিক্ষকের আশীর্বাদ যেমন তোমার জীবনকে সুন্দর করতে পারবে তেমনই তাদের অভিশাপ তোমাকে ধ্বংস করে দিতে পারবে। তাই, তাদেরকে সম্মান কর এবং ভালোবাসা দাও।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন