এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত

আসসালামুআলাইকুম,আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন আর সুস্থ্য আছেন। লেখাপড়া করেও আজকাল অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা বাড়িতে বসে আছে বেকার। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা রয়েছে অসংখ্য।চাইলে তো আর চাকরি পাওয়া যায় না। সুতরাং বাড়িতে বসে না থেকে আজ থেকেই শুরু করুন আউটসোর্সিং এর কাজ।

অনলাইনে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে অন্যতম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।এটি একটি অনলাইন ইনকাম সাইট।এখন কথা হচ্ছে অনেকে জানেন না যে এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত কি। গত একটি এপিসোডে আমরা আলোচনা করেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত কি?পর্ব টি মিস করে থাকলে দেখে নিন এখনি:

আর আজকের এপিসোডে আপনাদের বলবো কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই কম্পিউটার না থাকলেও হতে থাকা মোবাইলটির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইনে কোনো কোম্পানির পণ্যের এফিলিয়েট লিংক নিয়ে সেটাকে প্রমোট করা।বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে।যার মাধ্যমে পণ্যটি বিক্রি করতে পারলে সেই কোম্পানি আপনাকে বিক্রির একটি অংশ দেয় কমিশন হিসেবে।

কিভাবে এফিলিয়েট শুরু করবেন:

১.এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার থাকতে হবে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট অন্যদিকে একটি ইউটিউব চ্যানেল।এখন বলতে পারেন এগুলা ছাড়া কি এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব না? অবশ্যই সম্ভব।কিন্তু এই দুইটি মাধ্যম এর সাহায্যে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।যদি আপনার ব্লগ আর ইউটিউব যথেষ্ট ট্রাফিক আর ভিজিটর থাকে।

<

এখন আপনার ব্লগ সাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল কোনটি নেই কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন ভাবছেন।কোনো সমস্যা নেই এখনই বানিয়ে ফেলুন একটি ব্লগ সাইট এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল।এখন আপনি ব্লগার সাইট থেকে ফ্রী তে একটি ব্লগ সাইট বানাতে পারবেন এরপর সেটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে শুরু করে দিন আর্টিকেল লিখা।তারপর একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সেটাতে ভিডিও আপলোড করা শুরু করে দিন।বেশি না আপনার ব্লগ সাইটে আপনি দুই মাস ভালো ভালো আর্টিকেল লিখুন দেখবেন আপনি সহজে অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন।এরপর থেকে গুগল নিজেই আপনার ব্লগে ভিজিটর পাঠাবে।

২.আমি ধরলাম আপনি একটি ব্লগ আর ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে ফেলেছেন।এখন কি করবেন?

প্রথমে ইউটিউবের সিস্টেম টা বলি।ধরুন আপনি আপনার চ্যানেলে কোনো মোবাইল রিভিউ নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন।সেখানে আপনি রিভিউ করা মোবাইলটির লিংক আপনার ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেবেন।আর তাদের বলে দেবেন মোবাইলটি কিনতে চাইলে ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিংকে গিয়ে কিনতে পারবেন।

অনেকে ভালো মোবাইল ফোন কিনতে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকে। সুতরাং আপনার ভিডিওটি দেখে কিনতে চাইলে সে সরাসরি লিংকে গিয়ে কিনতে পারবে।এতে আপনি পাচ্ছেন কমিশন।

ব্লগ সাইটে আপনি মোবাইলটি নিয়ে একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখে দেবেন এবং সাথে সেই মোবাইলটি কিনার এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দেবেন।আপনার ব্লগের ট্রাফিক বেশি হলে আপনার এফিলিয়েট এর মাধ্যমে আয় ঠেকাই কে?

৩.আপনি আগে জানুন যে,কোন কোন জিনিষ গুলো মানুষ কিনতে চাই।সে বিষয় নিয়ে ইউটিউব আর ব্লগে রিভিউ দিন।এতে করে আপনার ব্লগিং আর ইউটিউব থেকেও আয় হবে পাশাপাশি এফিলিয়েট থেকে তো হবেই।

কত টাকা আয় করা সম্ভব এফিলিয়েট মার্কেটিং করে?

সত্যি বলতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার উপর।আপনি যদি দিনে মাত্র ১ঘণ্টা ও সময় দেন তাও মাস শেষে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আর বিশেষ করে আপনার ব্লগ সাইটে আর ইউটিউব যদি ট্রাফিক ভালো থাকে তাহলে আর আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।

কারণ এমন অনেক লোক আছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। সেই অনুযায়ী আপনি তো পারবেন এই কয়েক হাজার টাকা এমনিতেই ইনকাম করতে।

কয়েকটি লোভজনক এফিলিয়েট প্রোডাক্ট:

  • ডোমেইন ও হোস্টিং
  • মোবাইল ফোন
  • বিভিন্ন বিষয়ক বই
  • জামা কাপড়
  • কম্পিউটার অথবা লেপটপ

ইত্যাদি।

কিভাবে টাকা তুলবেন?

আপনি মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা তুলতে পারবেন।ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করার অপশন সেখানেই পেয়ে যাবেন।সুতরাং টাকা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আসা করি লিখাটি আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে। লিখাটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আউটসোর্সিং করুন নিজের ক্যারিয়ার গঠন করুন।সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন