এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং

আউটসোর্সিং বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মনে এক বিরাট স্থান দখল করে নিয়েছে। আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে সময় এবং ভালো মানের কাজের চাহিদা থাকায় আজকাল প্রায় অনেকেই আউটসোর্সিং এর দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা এখন আউটসোর্সিং করে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করছে।

আউটসোর্সিং বর্তমানে ট্রেন্ডিং বা আলোচিত পেশা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ আউটসোর্সিং করতে পারে বলে এই পেশার চাহিদা প্রচুর। পযাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে যে কেউ এই পেশায় যুক্ত হতে পারেন। আউটসোর্সিং এ কোনো ধরণের ঝামেলা নেই বিধায় আজকাল অনেকেই আউটসোর্সিংকে তাদের প্রধান এবং একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।

এখন আসি আজকের আলোচনার বিষয় ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে। অনেকেই হয়ত আজকের আমার শিরোনামটি দেখে চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু ব্লগিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং দুটি কিন্তু একই বিষয়। আমার পর লেখাটি পড়লে হয়তো আপনারা বুজতে পারবেন।

যদিও ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটপ্লেসের কাজ নয়। তবে আপনি যদি অনলাইনে সুদূরপ্রসারী ক্যারিয়ার গড়তে চান সেই ক্ষেত্রে অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং। শুধুমাত্র ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণ তরুণী লাখ লাখ দলের আয় করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে এখন অনেকেই ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকছেন।

ক্যারিয়ার হিসেবে বেঁচে নেবার অন্যতম ক্ষেত্র হলো ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং। একজন সফল ব্লগার বা এফিলিয়েট মার্কেটার প্রতি মাসে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত যায় করে থাকে। সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং দুটি একটি বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়।

সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং একই ধরণের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। একজন ব্লগার হিসেবে আপনি শুধুমাত্র মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন তা কিন্তু নয় বরং আপনি টাকা আয়ের পাশাপাশি পেতে পারেন অনেক সম্মান। বাইরের দেশগুলোতে ব্লগারদের সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে ব্লগিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে  পরিপুরুক। শুধুমাত্র ব্লগিং করেই যায় করার অনেক উপায় রয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাংলাদেশে গুগল এডসেন্স সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হিসেবে পরিগণিত হয়। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে নানা উপায়ে একজন ব্লগার আয় করতে পারেন।

একজন ব্লগার তার লিখিত ব্লগে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে আয় করতে পারেন। জেক বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। তাই ইন্টারনেট থেকে যায় করার উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে সফলতা অর্জন করতে হলে কিছু জানতে হবে।

আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরী করা থেকে শুরু করে পণ্য নির্বাচন করা ,পণ্যের উপযুক্ত রিভিউ লিখা ট্যারিফ আনা থেকে শুরু করে সকল বিষয় সম্পর্কে উপুযুক্ত ধারণা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ব্লগার রাইটাররা নিজেদের দক্ষতা প্রমানের এই পেশায় নিজেদের নিবেদিত করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার কমিশন পাবেন। কিন্তু আপনি পণ্য বিক্রি করতে না পারলে কোনো ধরণের টাকা আয় করতে পারবেন না।

তাই এই ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ব্লগিং এর উপর। কারণ আপনার পণ্য তা একমাত্র জানা যাবে আপনার পণ্যের রিভিউ এর উপর। তাই ভালো মানের রিভিউ লিখার জন্য একজন ব্লগার গুরুত্ব অপরিসীম।

আপনার রিভিউ দেখে আপনার পণ্য সম্পর্কে মানুষ আগ্রহী হবে এবং আগ্রহী হয়ে আপনার ওয়েবসাইট ভিসিট করবে। ভালো মানের রিভিউ না হলে কেউ আপনার পেজ এ ভিসিট করবেন এক্ষেত্রে আপনিও কমিশন পাবেন না। তাই কাস্টমারকে টার্গেট করে ভালো মানের রিভিউ লিখার উপর জোর দিতে হবে।

ভালো মানের ব্লগার হয়ে হাজার হাজার টাকা যায় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবচেয়ে বোরো প্লাটফর্ম হলো আমাজন। তারা আপনার ওয়েবসাইট বিক্রির জন্য ভালো মানের টাকা প্রদান করে থাকে। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমানে ধর্য্য থাকতে হবে সেই সাথে থাকতে হবে ভালো মানের রিভিউ লিখার যোগ্যতা।

Related Posts