এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হবেন কিভাবে।এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে জানুন বিস্তারিত, কিভাবে আয় করবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে সফল হবেন এবিষয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।প্রথমে এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপারে ধারণা দেয়া প্রয়োজন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একধরণের পারফরম্যান্স-ভিত্তিক বিপণন, যেখানে কোনও ব্যবসায় কাস্টমার দ্বারা কেনা প্রতিটি পণ্যের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট শতাংশঃ পুরস্কৃত করা হয় তাদের মাঝে যারা  অনুমোদিত বিপণনের প্রচেষ্টা নিয়ে আসে।

যাদের জন্য উপযুক্তঃ 

যারা সুন্দর কথা বলতে পারে,ভালো লিখতে পারে এবং যেকোনো বিষয় ভালো Explain করতে পারে,তাদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং উপযুক্ত।  

কি ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন – 

যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট প্রমোশন ভিডিও,লেখালেখি এবং কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে প্রকাশ করার সক্ষমতা প্রয়োজন

এফিলিয়েট মার্কেটিং কার্য সমাধার জন্য কত সময় প্রয়োজনঃ – 

ভার্চুয়াল জগতে কোনো মার্কেটিং পন্যের প্রমোশনের জন্য সাধারণত ১ ঘন্টা সময়ের ব্যাপার। আপনাকে শুধুমাত্র একটি অনলাইন প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে,যেটি লাভ কাম্য রাখে এবং অই প্রোডাক্টটি বিক্রি করার চেস্টায় আপনাকে যেকোনো ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল সাইটে প্রমোশন চালাতে হবে।এবং এটি বিক্রি করার চেস্টা করবেন আপনার নিজস্ব এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে।

অবশ্যই ক্লিক করবেনঃ১/ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন কীভাবে জানুন

২/ফরেক্স ট্রেডিং সম্বন্ধে জানুন।কিভাবে আয় করবেন,সফল হবেন।

টিপ্সঃ 

১/প্রোডাক্ট নির্বাচনঃআপনার ডোমেইন(যে সাইটে কাজ করছেন)সেখানে এমন একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন যেটির সাথে আপনার যোগ্যতার ভালো মানানসই আছে।যেমনঃযদি আপনি খাদ্যনির্বাচনবিদ(Dietician) হোন,তাহলে অইসব প্রোডাক্ট বাছাই করুন যেগুলো খাদ্যের সাথে সংযুক্ত। 

একটি ডোমেইনে অনেক প্রোডাক্ট আছে।আপনাকে শুধু অই প্রোডাক্ট গুলোকে বাছাই করতে হবে যেগুলো আপনার সাথে মানানসই

২)যে সমস্ত জায়গায় প্রোডাক্ট সমূহ পাবেনঃ: a)clickbank.com, 

b)shareasale.com, 

c)jvzoo.com. 

এইসব সাইটে মাল্টিপল ডোমেইনের হাজার হাজার প্রোডাক্ট সেল করার জন্যে মজুদ আছে। 

৩)এমন একটি প্রোডাক্ট choose(বাছাই) করবে যার থেকে ৫০% কমিশন পাওয়া যেতে পারে প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ে।

৪)বেশিরভাগ প্রোডাক্ট ওয়েবসাইটগুলো এফিলিয়েট লিংক জেনেরেট করার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত।কাজেই আপনি কেবল আপনার নিজস্ব এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে বেচা চালিয়ে যান।কিভাবে টাকা পাবেন এই ব্যাপারে অযথা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।  

আপনার নিজস্ব এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে প্রোডাক্ট প্রমোশন ও বিক্রয় করতে ভুলবেন না!   

৫)যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি আয় করতে চাও তাহলে প্রোডাক্ট বড় বড় সোশ্যাল সাইটে প্রমোট করতে পারো।যেমনঃ Facebook, Twitter, Digg, StumbleUpon, এবং Reddit। 

কিভাবে প্রোডাক্ট বিক্রয় Monitize(নিরীক্ষণ) করবেনঃ 

নিরীক্ষণ করা খুবই সহজ।আপনাকে শুধু অনেক মানুষ জরাও করতে হবে আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন শো করার জন্য।এর জন্য আপনি চাইলে নিজস্ব ফেসবুক পেইজ এবং ব্যানার এড তৈরি করতে পারেন প্রোডাক্ট বর্ণনা করে।

এর জন্য লোকজনকে বলতে হবে যে,কীভাবে এই প্রোডাক্ট তাদের সমস্যা গুলোর সমাধান করে।

আপনার ডোমেইন এর ব্যাপারে তাদের ভালো অবগত করান এবং অন্যান্য প্রাসংগিক সমস্যা সমাধানের প্রয়াশ চালান।এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় -ভাবনা করতে পারেন।

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন প্লীজ।আর কমেন্টে জানাবেন কেমন লেগেছে?। অনেক কস্ট করতে হয়েছে এই ব্লগটি বানানোর জন্য

Keyword: Affiliate Marketing,Affiliate marketing bangla,earn by affiliate marketing,এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স,অনলাইন আয়,এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ,এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো,এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন pdf

Related Posts

19 Comments

মন্তব্য করুন