এরকম চলতে থাকলে ফাইভার মার্কেটপ্লেস বাংলাদেশের জন্য ব্যান হয়ে যাবে।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।যারা ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় বা যারা ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করেছেন তাদের জন্য আজকে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এসেছি।সেটা মোটে ও বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না।তো চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করার সবথেকে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো;আপওর্য়াক,ফ্রিল্যান্সার এবং ফাইভার।কিন্তু এই ফাইভারের মধ্যে বাংলাদেশি নতুন ফ্রিল্যান্সাররা অনিয়ম করা শুরু করেছে।যা ভালো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চরম হুমকির মুখে ফেলে।

বাংলাদেশের নতুন ফ্রিলান্সারর  ফাইভারে প্রোফাইল ছবির জায়গায় অনেকেই দেখছি আম,জাম,কাঠাল,লিচুর ছবি দিয়ে রেখেছে।কিন্তু এটা উচিত না।ক্লায়েন্ট আপনার প্রফাইল পিক দেখে ও আপনামে কাজ দিবে কিনা তা নিয়ে একটু ভাবে।আবার দেখি কয়েকজন আকা বাকা,অন্যদিকে তাকিয়ে,মন খারাপের মতো ছবি দিয়ে রেখেছে।বিদেশি যেই ক্লায়েন্টগুলো কাজ দিবে তারা সবসময় একটা সামনাসামনি হাসিমুখে প্রোফাইল পিকটা দেখতে চায়।আমি সবথেকে অবাক হয়েছি একজন মানুষ গেঞ্জি খুলে ছবি দিয়ে রেখেছে।আর সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার।আসলে এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের অনেক ভোগান্তিতে ভুগতে হবে।

কিন্তু এই কাজগুলো আপওয়ার্ক ফ্রিলান্সার মার্কেটপ্লেসে হচ্ছে না।তার কারণ হলো আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট এপ্রুভ করার পর কাজ শুরু করতে পারে ফ্রিল্যান্সাররা।তাই এরকম ছবি দেখলে আপওয়ার্ক কখোই একাউন্ট এপ্রুভ করবে না।আর ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে কেও আগে প্রোফাইল খুলতে চায় না।কারণ ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে নিজের পার্সোনাল একাউন্ট থাকতে হয়।এবং কাজের অভিজ্ঞতা ছারা কাজ করা সম্ভব না।

এখন তো আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশি কোনো ফ্রিল্যান্সারদের একাউন্ট এপ্রুভ করতেই ভয় পায়।আবার অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার ভালোভাবে কাজ না শিখে টাকার লোভে বিট করা শুরু করা।কোনো কাজ যদি ৫০-৮০ ভাগ পারে তারপর ও ঐকাজে বিট করে।পরে যদি কাজটি পেয়ে যায় তাহলে ভালোভাবে ক্লায়েন্টকে করে দিতে পারে না।এর ফলে ক্লায়েন্টের বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খারাপ মনোভাব চলে আসে।এবং সেই ফ্রিল্যান্সারটা ও নিজের ক্যারিয়ার শুরুতেই শেষ করে দিচ্ছে।

তাই যারা নতুন ফ্রিলান্সার তাদের উদ্দেশ্য আমি বলবো; আপনারা কাজ ভালোভাবে শিখে মার্কেটপ্লেসে আসবেন।যেই কাজটা ভালো করে পারবেন এবং ১০০ ভাগ পারবেন সেই কাজের জন্য শুধু বিট করবেন।এবং হাসিমুখে একটা সুন্দর প্রোফাইল ছবি দিবেন।

এগুলো মানলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার যেমন উজ্জ্বল হবে।তেমনি বাংলাদেশের সকল  ফ্রিল্যান্সাররা  এই সেক্টরে সুনামের সাথে কাজ৷ করতে পারবে।তাছাড়া এটা সত্যিকারে বাংলাদেশের বেকারত্ব কমানোর উপায়ে পরিনত হব্বে।বাংলাদেশ যদি ও ভারতের পর ফ্রিল্যান্সিং এ সবথেকে উন্নত দেশ।তারপর ও এরকম কাজগুলো চলতে থাকলে  ফাইভারসহ অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলো বাংলাদেশকে ব্যান করে দেওয়া ছারা উপায় থাকবে না।উজ্জ্বল হোক আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার,ধন্যবাদ সবাইকে।

 

 

 

Related Posts