এসো ঘরে বসে শিখি, লকডাউন সময়ে লেখাপড়া শেখানো

 

 

 

লকডাউন সময়ে লেখা পড়া
এসো ঘরে বসে শিখি

গ্রাথোর কে ভালোবেসে পুনরায় লিখতে বসলাম। যদিও ইতিমধ্যে তিনটি পোস্ট লিখে এখনো মাত্র একটি পোস্ট পাবলিশ করা হয়েছে। যাক সে কথা। আজ আরেক টি নতুন বিষয়ে লিখতে চেষ্টা করব। যদি ও আমার লেখায় হয়তো পরিপূর্ণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবো না, তবুও লিখতে চেষ্টা করব। দেখা যাক লেখা টি কেমন হয়। বর্তমান লকডাউন সময়ে এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সকলের ভাবা উচিত।
এবার বিস্তারিত আলোচনায় আসি। বিষয় টি বর্তমান অনিশ্চিত লকডাউন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিষয়ে কি হবে সেটি। এ নিয়ে শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি হতে শুরু করে এমনকি জাতীয় ভাবে এটি একটি বিরাট চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে-তো কম বয়সী কোমলমতি চঞ্চল শিশু শিক্ষার্থীদের চঞ্চলতার শেষ নেই। অপরদিকে স্কুল সে-ই কবে (মার্চ ১৭,২০২০হতে বন্ধ) বন্ধ হয়ে গেছে করোনার কারণে। আবার কখন যে বিদ্যালয় খুলবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ করোনার প্রাদূর্ভাব কখন যে শেষ হবে এটি সঠিকভাবে কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ছোট শিশু শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ-ই বিষয়ে সম্যকভাবে অবগত হয়ে আমার প্রিয় ওপেনসোর্স ব্লগ সাইট গ্রাথোরএ লিখতে প্রেরণা পেলাম। তাই আবার নতুন করে লেখা। তাহলে এবার চলুন মূল আলোচনায়।
সুপ্রিয় অনলাইন পাঠক অভিভাবক শিশু শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠ সিনিয়র আত্মীয় স্বজনগণ। একটু চিন্তা করে দেখুন বর্তমান প্রেক্ষাপটটা। এ-সময় টা দূর্যোগের সময়। এ সময়ে আমাদের করোনা মহামারী রোগ সংক্রমণ থেকে যেমন মুক্ত থাকতে ঘরের চারদেয়ালে বন্দি থাকতে হচ্ছে, অপরদিকে স্কুল বন্ধ ছোট্ট সোনামণিদের পড়াশোনার বিষয়েও চিন্তিত থাকতে হচ্ছে। এমন নাজুক অবস্থার মধ্যে আমাদের কে একটু কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি এখন এ অবস্থায় ছোট্ট সোনামণিদের পড়াশোনার বিষয়ে কি ধরনের কৌশলী পদক্ষেপ নিলে ভালো হয় তা তুলে ধরছিঃ-
শিশুর বয়স সামর্থ্য শ্রেণি ও আগ্রহ বিবেচনা করে নিম্নোক্ত কৌশল গুলো অবলম্বন করে সুফল পাবেন বলে আশা করছি। কৌশলগুলো –
১। সর্বপ্রথম এ-ই লকডাউন সময়ে যতদিন আছে ততদিনের জন্য লেখা পড়ার বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করে নিবেন। তারপর সে অনুযায়ী অগ্রসর হতে চেষ্টা করবেন।
২। পরিকল্পনায় অবশ্যই বিষয় ও সময় ভিত্তিক একটা সাপ্তাহিক রুটিন করবেন।
৩। রুটিনে অবশ্যই শিশুদের বিনোদন হয় এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করবেন। কারণ বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকলে চঞ্চল শিশুদের এত দীর্ঘ সময় ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
৪। শিশুদের খেলাচ্ছলে শেখানোর ব্যবস্থা করবেন। এতে তারা যথেষ্ট আনন্দ পাবে এবং লেখা পড়ায় আগ্রহী হবে। তখন আর তাদেরকে লেখা পড়ার জন্য জোর করার প্রয়োজন হবে না।
৫। যে বিষয় টি শেখাবেন তা অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ বিদ্যালয়ের পাঠ্য সূচী অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করবেন।
৬। লেখা পড়ার দায়িত্বটা যে নিবেন তাকে অবশ্যই পাঠ্য সূচী ভূক্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ বা ঐ বিষয়গুলোতে দক্ষ হতে হবে। নাহলে শেখানোর কাজটা কঠিন হবে এবং শিশুরাও আনন্দ লাভ করতে পারবে না। কারণ ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে কখনো সঠিক শিক্ষা দান সম্ভব নয়। তাই এই বিষয় টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
৭। শিশুদের সাথে সহজ ভাবে মিশতে পারে এমন কাউকে এ-ই শিক্ষার দায়িত্ব টা নিতে হবে। কারণ শাসন এবং ভয় এমন অবস্থার মাঝে কখনো প্রানবন্ত ও ফলপ্রসূ শিক্ষা দান সম্ভব নয়।
৮। সর্বোপরি যেহেতু স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় বন্ধ করে ঘরের ভেতরে থাকতে লকডাউন চলছে। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের দিক থেকে ও এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। তাই তো বর্তমানে অনলাইনে “ঘরে বসে শিখি” কার্যক্রমের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চলছে। এটা জাতীয় ভাবে চলছে। জাতীয় সংসদ টিভিতে বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ অন্যান্য চ্যানেলে সম্প্রচার শুরু হয়ে গেছে। তাই দৈনিক পাঠের সময়ে তাদের রুটিন অনুযায়ী বাড়িতে পড়ানোর রুটিনেও সামঞ্জস্য রেখে করলে ঐ সময়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস গুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেখা উচিত। আর বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও সেরূপ রয়েছে।
৯। সর্বশেষ বলব যেহেতু লকডাউন কতদিন চলবে তার কোন ঠিকঠিকানা নেই, তাই যতদিন এর উন্নতি না হবে ততদিন এ-ই নিয়মে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে সুফল পাবেন বলে আশা করি।
তাই সুপ্রিয় অভিভাবক ও অনলাইন পাঠক গণ আমার জানা ও বোঝার মাধ্যমে উপরে তুলে ধরা ক্রমিক বিষয় গুলো অনুসরণ করলে আশা করি এই লকডাউন সময়ে আপনার শিশু শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া সুন্দর ভাবে হবে। আশা করছি লেখাটি পড়ে সবার ভালো লেগেছে। তাই যদি লেখা টি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর যদি বেশি বেশি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করেন তাহলে ধরে নেবো আপনারা আমার লেখা পছন্দ করতেছেন। আর তাতে আমি আরো নতুন ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা পাবো এবং নিত্য নতুন টপিকের ওপর লিখে আপনাদের আনন্দ দিতে চেষ্টা করবো। তো বন্ধুরা আর বেশি কথা না বলে আজকের মত আমার লেখা এখানে শেষ করছি। সবাই সুষ্ঠ থাকুন,ভালো থাকুন। সবাই বাড়িতে থাকুন নিরাপদ থাকুন। সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Related Posts

28 Comments

    1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

মন্তব্য করুন