কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি জেনে নিন।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ করনের জন্য বহু পদ্ধতি রয়েছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় হল কনডম ব্যবহার পদ্ধতি। কনডম হল যৌ*ন মিলনের সময় যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ না হন তার জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, কনডম ব্যবহার এর ফলে এইডস, সিফিলিস,গনোরিয়ার মত মারাত্মক যৌ*ন সংক্রামিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, সারা বিশ্বে প্রায় ৩.১৬ মিলিয়ন মানুষকে যৌ-ন এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে যা খুবই মারাত্মক। তাই কনডম ব্যবহার করা খুবই জরুরি। আজকে আমি এই পোস্টে কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কনডম কি?

কনডম হল রাবারের তৈরি একটি পাতলা পিচ্ছিল টুকরো যা পুরুষের লিঙ্গে সেট করতে হয় এক কথায় পুরুষের বী-র্যকে ওই পুটলার মধ্যে আটকানো যাতে মেয়েদের গো-পনা-ঙ্গে বী-র্য প্রবেশ না করে। এছাড়াও বিভিন্ন যৌ-ন রোগ থেকে বাঁচতে কনদমের ব্যবহার অপরিহার্য। বিশ্বের বহু নামিদামী কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের তৈরি করে থাকে। শুধু পুরুষের নাম নারীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কনডম। একটি কনডম শুধুমাত্র একবার যৌ-ন মিলনের জন্য ব্যবহৃত হয় দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায় না। আমাদের দেশে আগে  কনদম বেশি ব্যবহার হতো না, ইদানিং শিক্ষিতহার বৃদ্ধি সাথে সাথে সচেতন হয়ে কনডমের ব্যবহার বেধেছে।

কনডম কত প্রকার?

কনডম দুই প্রকার হয়ে থাকে।

১. পুরুষের কনডম

২. নারীর কনডম

বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন নামে কনডম পাওয়া যায়। পাশের দেশ ভারতে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি পুরুষের জন্য সুগন্ধিযুক্ত কনডম তৈরি করে থাকে। যেমন- বেলি ফুল,করা, চকোলেট,লিচু,স্ট্রেবেরি ইত্যাদি। এ জাতীয় কনডম যৌ*ন সঙ্গম করতে তৃপ্তি দেয়। চলুন বিভিন্ন প্রকার কনডম নিয়ে আলোচনা করা যাক।

গর্ভাবস্থায় তাল খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় তাল খাওয়া যাবে কি

১. এলোভেরা কনডম: এলোভেরা কনডম একটি জনপ্রিয় কনডম এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এলোভেরা কনডম পিচ্ছিল পদার্থ থাকার কারণে যৌ-ন মিলনের সময় ব্যথা দূর করে থাকে।

২. সিনথেটিক সুগন্ধিযুক্ত কনডম:  যৌ*ন তৃপ্তি লাভের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি সুগন্ধিযুক্ত তৈরি করে থাকে যা যৌ*ন জীবনকে করে তোলে আরো আনন্দময়।

৩. ডটস কনডম : এই কনডমগুলোর মধ্যে ছোট ছোট বিন্দু থাকে। এই কনডম পড়ে যৌ*ন সঙ্গম করলে মেয়েরা অত্যান্ত আনন্দ পায়।

৪. লং টাইম কনডম : এ কনডমে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা যৌ*ন মিলনের সময়সীমা বাড়িয়ে তোলে।

৫. বহুমুখী কনডম : এ কনডম গুলো সবার জন্য ব্যবহার করার উপযোগী। পুরু-ষের লি-ঙ্গ সমান হয় না, কারোর একটু ছোট বা কারোর একটু বড় হয়ে থাকে। ছোট বড় যেকোনো পুরু-ষা-ঙ্গের জন্য এ কনডম ব্যবহার করতে পারবেন।

৬. ব্রাইটনেস কনডম : এই কনডম রাতের অন্ধকারে যৌ-ন মিলনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি রাতের বেলায় উজ্জ্বল আলো দেয় যা স্ত্রীর যৌ-না-ঙ্গে প্রবেশ করার সময় আলাদা অনুভুতি জাগে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার কনডম রয়েছে। আমি মূলত কয়েক প্রকার কনডম নিয়ে আলোচনা করেছি।

কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি, কনডম ব্যবহার পদ্ধতি

এতক্ষণে কনডমের প্রকারভেদ নিয়ে জানলাম এবার কনডমের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কনডম ব্যবহারের সময় কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সেই বিষয়গুলো কি কি জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমে সাবধানে কনডমেন প্যাকেটটি খুলুন যাতে নখের কিংবা অন্য কোন আঘাতে আঁচড় না লাগে।
দাঁত দিয়ে কনডম খোলা যাবেনা এতে চাপ লেগে ছিড়ে যেতে পারে।
যৌ*ন সঙ্গমের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কনডম খুলুন। আগে থেকে কনডম খুলে রাখবেন না এতে কনডম নষ্ট হয়ে যাবে।
ছিঁড়ে যাওয়া কনডম ব্যবহার করবেন না।

পুরুষাঙ্গ পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর কনডম পরুন।
পুরুষাঙ্গের মাথায় খানিকটা ফাঁকা জায়গা রাখুন যাতে আপনার বী-র্য সেখানে আটকে থাকে।
যৌ-ন মিলন শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনার পুরুষাঙ্গ থেকে কনদম খুলে ফেলুন।
যৌ-ন সঙ্গমের ব্যবহৃত কনডম নির্দিষ্ট আবর্জনা স্থানে ফেলুন।
যৌ-ন মিলনের সময় প্রেম যাতে অতি উত্তে-জিত হয়ে কনডম ফেটে না যায়।
কনডম ব্যবহারের সুবিধা

কনডম ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে তা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। তারপরেও কয়েকটি সুবিধার কথা তুলে ধরলাম।

কনডম অতি সহজলভ্য। কনডম পড়ে অতি সহজেই যৌ-ন সুখ উপভোগ করতে পারবেন।
যে কোন জায়গায় যে কোন ফার্মেসি কনডম পেয়ে যাবেন।
কনডম জন্মনিয়ন্ত্রণ রোধ করে বিদায় নিশ্চিন্তে যৌ-ন সঙ্গম করা যায়।

কনডম এইডস এর মত ভয়াবহ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কনডম যৌ-ন আনন্দ কে উৎসাহ দেয়
কনডম ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
কনডম ব্যবহারের অসুবিধা

কনডম ব্যবহারের সুবিধা পাশাপাশি অনেক অসুবিধার কথা শোনা যায়।

* অনেকে অভিযোগ করেন, কনডম ব্যবহারের ফলে যৌ-ন উত্তেজনা কমে যায়।

কনডম ব্যবহার করলে আসল যৌ*ন সুখ পাওয়া যায় না।
কনডম হালকা আঘাত পেলে ফেটে যায়
কনডম পড়ে সে-ক্স করলে স্বাভাবিক যৌ-ন মিলনকে বাধা দেয়।
কনডম পড়ে সে-ক্স করলে কনডম ফেটে গিয়ে বিপদ হতে পারে।
কনডম ব্যবহার কতটা নিরাপদ

কনডম ব্যবহার জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সম্পুর্ন নিরাপদ। তাছাড়া এতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কয়েকটি মানুষের কনডম ব্যবহারে অস্বস্তি লাগে। আপনি যদি এইডস, এইচপিভি মারাত্মক রোগের কথা চিন্তা করেন তাহলে কমদম ব্যবহারে বিকল্প নেই। সারা বিশ্বের দিনদিনই কনডম এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে সব জিনিসের কিছু না কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তাই কনডম ব্যবহারকে নিরাপদ করার জন্য কিছু নির্দেশনা জানা জরুরী যা আমি ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি।

কনডম ব্যবহারে সতর্কতা

কনডম ব্যবহার করবে আপনারা অবশ্যই Expiry date দেখে নিবেন। যেকোনো জায়গা থেকে কনডম কেনার জন্য অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন। কারণ এক্সপায়ার ডেট ওভার হয়ে যাওয়া কনডম ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের হবার সম্ভাবনা হয়েছে। Expired date কোন দিন ব্যবহার করলে গোপ-না-ঙ্গের জ্বালা করা অথবা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভুল করেও কখনো কোন অবস্থাতে মানিব্যাগে করলাম না তার কারণ Friction এর প্রথমে কনডম নষ্ট হয়ে যায়। খুব বেশি ঠান্ডা এবং অতিরিক্ত গরম জায়গায় কনদম রাখা উচিত নয়।

তো পোস্টটি (কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি) কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts