কোভিড ১৯ বা করোনা নামক মহামারী ভাইরাস সৃষ্টি হয়েছে চীনের উহান নামক শহর থেকে। এটি এমন একটা ভাইরাস যা এর আগে কোনো মানুষের শরীরে দেখা যায় নি। এ ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পরে। জানা যায়, এ ভাইরাসটি কোনো এক প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। চীনের উহান শহরে সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজারে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় হতো। সেখানে জ্যান্ত মুরগী, বাদুড় খরগোশ ও সাপ বিক্রয় হতো। সম্ভবত এদের কোনো এক প্রাণী থেকে করোনা নামক ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। এরকমটাই মত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভাইরাসটি চীন থেকে অতি দ্রুত সারাদেশে ছড়াতে শুরু করে। এর আগে চীন অনেক ভাইরাস তৈরী করেছিল, চীন সংক্রমিত হয় নি। কিন্তু এই করোনা ভাইরাস চীন থেকে উৎপত্তি হয়েছে এবং চীনও এই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “চীন যদি ভুলে ভাইরাসটি তৈরী করে থাকে তাহলে বলার কিছু নেই। কিন্তু চীন যদি জেনে বুঝে ভাইরাসের উৎপত্তি করে থাকে তাহলে এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে। ” করোনা ভাইরাস হাঁচি কাশির মাধ্যমে অন্যের দেহে খুব সহজেই প্রবেশ করে। করোনা ভাইরাসের ফলে সবাই খুব আতঙ্কিত হয়ে আছে।
বিশেষ করে এ সময় আমাদের মুসলমান কেউ মারা গেলে তার জানাযা, দাফন কাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসার সাহশ পায় না। মহামারী করোনার কারনে এবার মসজিদেও খুব স্বল্প পরিসরে জামায়াতে নামায আদায় করার নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের বাংলাদেশ সরকার। ওয়াক্তিয়া নামাযে ৫ জন করে এবং জুমার নামাযে ১০ জন করে জামায়াত করতে বলা হয়েছে। রমযান মাসে তারাবীহের নামাযে ১২ জন করে জামায়াত আদায় করতে বলা হয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশ সরকার আরো বলেছেন যে, এ সময় মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে থেকে নামায আদায় করাটা উত্তম।
কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক কোনো চিকিৎসকই এখন পর্যন্ত তৈরী করতে পারেনি। তবে আমাদের বাংলাদেশসহ প্রায় সকল দেশেই কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাসের জন্য আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এ সময় অহেতুক ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না, যদিও জরুরী কারনে ঘর থেকে বের হতে হয় তাহলে মুখে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে বের হতে হবে। বিদেশ থেকে যদি কেউ নিজ দেশে ফেরত আসে তাহলে তাকে অবশ্যই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। একই স্থানে কেউ একসাথে আড্ডা বা গল্পগুজব করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে একজন থেকে আরেকজনের দুরত্ব অবশ্যই ৬ ফিট হবে।
কোভিড ১৯ বা করোনার জন্য আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এবং কুরআন হাদীসের আলোকে প্রত্যেক নামাযের পরে নিয়মিত আমল করলে ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহর রহমতে করোনা নামক মহামারী থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।
gd
Hum
Nice post
Gd
Thek bolecen
Good post
Nice
নাইস
ভালো লাগছে
নাইস