করোনা মোকাবেলায় টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে দূতাবাসগুলো

গত বছরের শেষে এখনো আলোচনায় করোনা এবং করোনা টিকা। এখনো দেশে টিকা এসে পৌছায়নি। স্কুল- কলেজ বন্ধ রয়েছে অনেক দিন হলো। এর মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসগুলো টিকা আনার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারকে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- নিয়ম মেনে টিকা আনলে কোনো বাঁধা প্রদান করা হবে না।

 

এদিকে রাশিয়ার সরকার ঢাকায় অবস্থানরত রাশিয়ান নাগরিকদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে রুশ দূতাবাস এই তথ্য নিশ্চিত করে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসও একই ধরণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের কর্মচারীদের জন্যেও টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

এসব টিকা বা ওষুধ আনার অনুমতি দিয়ে থাকে ওষুধ অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে- স্বাস্থ্য ভন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রুশ দূতাবাসের আবেদনপত্র তারা পেয়েছেন। এখন নিয়ম মানার শর্তে তারা টিকা আনার বিষয়ে আপত্তি করবেন না বলে জানান ওষুধ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

 

অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- দূতাবাসে কর্মরত এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অবস্থানরত রাশিয়ান নাগরিকদের জন্যে রুশ দূতাবাস রাশিয়ায় উদ্ভাবিত স্পুতনিক ভি টিকা আনাতে চায়। এইজন্য তারা আবেদন করেছেন।

 

সাধারণত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকা আনাতে সহজেই অনুমোদন দিয়ে থাকে ওষুধ প্রশাসন। কিন্তু রুশ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত টিকা সেই অনুমোদন পায়নি। যদিও রাশিয়া, বেলারুশসহ একাধিক দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাহলে এই টিকা আদৌ এই দেশে অনুমোদন পাবে কিনা সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।

 

রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে আনুমানিক ১২ হাজারের মধ্যে চার হাজার রাশিয়ান, পাঁচ হাজার বাংলাদেশি আর বাকি ভারতীয় নাগরিক নিয়োজিত আছেন। এখন রুশ সরকার কি সবার জন্যই টিকা দিতে চায় নাকি শুধু রাশিয়ানদের জন্যে সেটা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

 

এদিকে টিকা এলে তা কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা মোকাবেলায় কি উদ্যোগ নেয়া হবে, কি ব্যবস্থা রাখা হবে সেই বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া চীন দেশের অনেক নাগরিক বড় বড় প্রকল্পে এই দেশে কাজ করছেন। তাদের জন্যে চীনা দূতাবাসও টিকা আনাতে চায় কিনা সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এছাড়া ব্রাক তার কর্মীদের জন্যে টিকা আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে সরকারের কাছে। এই পর্যন্ত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা ভারত থেকে আনার অনুমতি পেয়েছে বেক্সিমকো যা দেড় কোটি মানুষকে দেবার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

 

বেসরকারিভাবে টিকা আনার নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালায় টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া এবং দামসহ উল্লেখ থাকবে। টিকা আমদানি করা নিয়ে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। সবকিছু নিয়ম মেনেই পরিচালনা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Related Posts

29 Comments

মন্তব্য করুন