কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি 2023

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি 2023।

কর্মসংস্থান ব্যাংক অস্ত্র মালিকানাধীন একটি বেসরকারি ব্যাংক। এদেশের অতির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিকভাবে শস্য করার জন্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপরে বাংলাদেশ সরকার ৩০ শে জুন ১৯৯৮ সালে সরকার বর্ণিত আইন অনুযায়ী ১/২ ধারা ক্ষমতা বলে কর্মসংস্থান ব্যাঙ্ক আইন প্রয়োগ করে। এরপর ২২ শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ তারিখ দরিদ্র মানুষের সাধারণ ঋণ বিতরণের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসংস্থান ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হয়। 

বাংলাদেশে অনেক দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শহর এবং গ্রামাঞ্চলে বেকার যুবকেরা তাদের আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন শর্ত অনুযায়ী লোন দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো কর্মসংস্থান ব্যাংক। এই ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সুযোগ করে দেয়া তাই এর নাম দেয়া হয়েছে কর্মসংস্থান ব্যাংক। 

ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে তাদের কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন এবং কিছু শর্তাবলী মেনে নিতে হয়। এই নিয়মকানুন এবং সঠিক ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে অধিকাংশ বেকার যুবক যুবকেরা কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় সেই বিষয়ে অনেকেই ধারণা নেই। প্রিয় বন্ধুরা, তাই আমি এই পোস্টে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৩ এর সকল নিয়মকানুন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কর্মসংস্থানের লোনের প্রকারভেদ। কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি 2023।

কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন লোন প্রদান করে থাকে। নিচে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হল।

নিজস্ব ঋণ কর্মসূচী

এই লোনের উদ্দেশ্য হল-

<

ক) বিশেষ করে দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত করা।

খ) নিজে নিজেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

গ) দারিদ্র জনগোষ্টীর আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা ।

ঘ) কৃষিপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, কুটির শিল্প উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করা।

ঙ) দলভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা প্রদান করা।

চ) দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি করা।

ঋণের খাত:

(উৎপাদনশীল খাত () :

)মৎস্য চাষ: * কার্প জাতীয় মাছ যেমন-(কাতলা, রুই, মৃগেল ইত্যাদি) ভেটকি, কৈ, থাই কৈ, গজার, পুটি,মনোসেক্স তেলাপিয়া,শোল,চিতল ইত্যাদি ।

** ক্যাট ফিস চাষ: যেমন- পুকুরে সিং, মাগুর,পাঙ্গাস, বোয়াল, পাবদা, টেংরা, চিংড়ি, মিশ্র মৎস্য চাষ ইত্যাদি ও রেণু পোনা উৎপাদন ।

প্রাণিসম্পদ:

পোল্ট্রি ফার্ম: মুরগী লেয়ার, ব্রয়লার, কক খামার,হাঁস খামার, কবুতর খামার কোয়েল খামার,  ময়ূর খামার,তিতির খামার,টারকি খামার,  রাজহাঁস খামার ইত্যাদি ।

গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ: গরু মোটাতাজাকরণ, ছাগল মোটাতাজাকরণ, মহিষ মোটাতাজাকরণ,ভেড়া/মেষ মোটাতাজাকরণ ইত্যাদি।

দুগ্ধ খামার: গরুর দুগ্ধ খামার, ছাগলের দুগ্ধ খামার, মহিষ দুগ্ধ খামার,ভেড়া/মেষ দুগ্ধ খামার, ইত্যাদি।

)শিল্পকারখানা:

১ . পোল্ট্রি হ্যাচারী, কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা,মৎস্য হ্যাচারী,  মৎস্য খাদ্য তৈরির কারখানা, চিড়া/মুড়ি কল,প্রাণি খাদ্য তৈরির কারখানা ইত্যাদি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

২.বিভিন্ন শিল্প : যেমন- রাইস মিল/চাল কল, স’মিল, ফলজাত খাদ্য শিল্প (জ্যাম, জেলি, জুস, আচার, শরবত, সিরাপ),বেকারী শিল্প, অয়েল মিল/তেল কল, সস), সুষম সার প্রস্তুতকারী শিল্প,স্টার্চ, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ উৎপাদনকারী শিল্প,আটা, ময়দা, সুজি প্রস্তুতকরণ, ডিজাইন ও ফ্যাশন ওয়্যার ইত্যাদি ।

                                               কনডম ব্যবহারের পদ্ধতি জেনে নিন।

৩ .বিভিন্ন কল কারখানা- আইসক্রিম ফ্যাক্টরী, গুঁড়া মসলা উৎপাদনকারী শিল্প, জর্দা প্রস্তুতকরণ শিল্প, নারিকেল তেল,সুগন্ধি চাল উৎপাদন, ডাল প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

৪ . উৎপাদন শিল্প, চামড়া শিল্প,বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি।

)নার্সারী  

আম,জাম,কাঁটাল,নারিকেল,লিচু,আমলকী,কলা,আনারস,জলপাই,কমলা,জাম্বুরা,ডালিম,মাল্টা  ইত্যাদি চারা তৈরি করে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

)ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প:

মৃৎ শিল্প, তাঁত/বুনন শিল্প,চামড়াজাত শিল্প, শুটকি মাছ প্রক্রিয়াকরণ, কাঠের/স্টীলের আসবাবপত্র তৈরি, কামারের কাজ, ব্লক-বাটিক/প্রিন্টিং, গ্রামীণ স্যানিটারী ল্যাট্রিন তৈরি,রেশম বস্ত্র প্রস্তুতকরণ মোমবাতি/আগরবাতি/গোলাপজল/দাঁতের মাজন/কয়েল তৈরি, শিল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি,বাঁশ ও বেত শিল্প, বরফ কল, নকশী কাঁথা তৈরী ,যন্ত্রাংশতৈরির কারখানা, ক্ষুদ্র প্রিন্টিং এবং সাইনবোর্ড তৈরি ইত্যাদি।

)কৃষিজ উৎপাদন:

সবজি চাষ,মাশরুম চাষ, রেশম চাষ,  পান বরজ/পান চাষ, ফুল চাষ,ফল চাষ,মৌমাছি চাষ ইত্যাদি।

(সেবা খাত:

সেলুন/লন্ড্রি, বিউটি পার্লার/হারবাল ট্রিটমেন্ট, টিভি/ভিসিআর/বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি/

মোবাইল ফোন মেরামত, পাওয়ার টিলার, কম্পিউটার সেবা, ফটোকপি সেবা, গ্রামীণ যানবাহন (রিক্সা/নৌকা/রিক্সা-ভ্যান), সেলাই মেশিন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং/গাড়ী মেরামত ওয়ার্কসপ,কমিউনিটি সেন্টার,

বিনোদন পার্ক, আবাসিক হোটেল, পর্যটন কটেজ, সোলার পাওয়ার,ক্যাবল অপারেটরস, জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ,  সাইবার ক্যাফে

ডায়াগনস্টিক সেন্টার/ক্লিনিক/দন্ত চিকিৎসা, স্টুডিও, শিক্ষা সেবা (কোচিং সেন্টার/কিন্ডার গার্টেন),ইত্যাদি।

(বাণিজ্যিক খাত:

মুদি/মনিহারী ব্যবসা,প্রাণি খাদ্য/মৎস্য খাদ্য বিক্রয়, ধান/চাষ/অন্যান্য কৃষিপণ্য

ক্রয়-বিক্রয়, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কাপড়ের ব্যবসা/তৈরী পোষাক ব্যবসা, সার/বীজ/কীটনাশক ব্যবসা, পার্টসের দোকান, ইলেকট্রিক সামগ্রী বিক্রয়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রয়, ঔষধ ব্যবসা, শুটকি মাছ ব্যবসা,হার্ডওয়্যার ব্যবসা,হোটেল/রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, আসবাবপত্র বিক্রয়পাথর উত্তোলন ও বিক্রয়, বালি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসা, জুতার ব্যবসা, ক্রোকারিজ সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়, ভাঙ্গারি ব্যবসা, ইত্যাদি।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

১। উদ্যোক্তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।

২। কর্মসংস্থান ব্যাংকের যে কনো শাখার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

৩। লোন গ্রহীতাতে বেকার/অর্ধবেকার হতে হবে ।

৪। নুন্যতম বয়স  ১৮ হতে ৪৫ বছর হতে হবে। তবে পুরনো ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমাবদ্ধ নেই।

৫।  আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনার লোন শোধ কারার ক্ষমতা থাকতে হবে ।

৬।  কনো ব্যবসা লোন পেতে হলে সেই ব্যবসা পরিচালনার জন্য  উপযুক্ত প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৭।  লোন খেলাপি হলে এই ব্যাংকের লোন পাওয়া যাবে না। প্রার্থীকে ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা ও অর্থ লেদদেনের সুনাম থাকতে হবে।

৮।  ঋণ নীতিমালাসহ ব্যাংকের সকল শর্তাবলী মানতে হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি 2023 ।

  • ব্যাংকের লোনের আবেদন ফর্ম।
  • সত্যায়িত দুই কপি ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)।
  • গ্যারান্টারের সত্যায়িত দুই কপি ছবি।
  •  শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি ।
  • প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ইউপি চেয়ারম্যান বা কাউন্সেলার থেকে নাগরিক সনদ।
  • ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ।
  • ভাড়া/লীজকৃত হলে ভাড়া চুক্তিপত্র/লীজপত্রের কপি।
  • ওষুধের দোকান হলে ড্রাগ লাইসেন্স।
  • জমির দলিলপত্র।
  • প্রকল্প/প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব।
  •  ভাড়া/লীজ-নেয়ার ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র,ব্যবস্থাপকের প্রত্যয়নপত্র আবশ্যক।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন ?

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার এলাকার কনো কর্মসংস্থান ব্যাংক আসে কি না। যদি থাকে তাহলে সরাসরি সেখানে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তবে ব্যাংকের সাথে আর্থিক লেনদেন রয়েছে এমন পূর্ব পরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ থাকলে তাকে সাথে নিয়ে যেতে পারেন না । তারপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তারা সব কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে যদি মনে করে আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য তাহলে খুব শিগ্রীই লোন পেয়ে যাবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন লোনের খাত ও সুদের হার

কর্মসূচীর নাম (লোন খাত)                                                                               সুদের হার

১. বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ কর্মসূচী-                                                                                          ৯% সরল

২. বাংলাদেশ ব্যাংক মৎস্য ও

প্রাণিসম্পদ ঋণ সহায়তা কর্মসূচী (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়)                                   ৮% সরল

৩. বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রাপ্ত তহবিলের আওতায় বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ কর্মসূচী          ৮% সরল

৪. কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য ঋণ সহায়তা কর্মসূচী                                                ক) প্রকল্প ঋণ – ৮% (সরল) ;

খ) চলতি মূলধন ঋণ – ৯% (সরল)।

৫. শিল্প কারখানার স্বেচ্ছা-অবসরপ্রাপ্ত/ কর্মচ্যূত শ্রমিক/                                 ৮% সার্ভিস চার্জ এককালীন

কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী

৬. বাংলাদেশ ব্যাংক দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুন:অর্থায়ন কর্মসূচী    ৩% সরল

৭. নিজস্ব ঋণ কর্মসূচী                                                                                            ক) উৎপাদনশীল ও সেবামূলক খাত : ৯% (সরল)

খ) বাণিজ্যিক খাত : ৯% (সরল)

৮. বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা বেকার যুব মহিলাদের জন্য ঋণ কর্মসূচী                           ৮% (সরল)

৯.  প্রতিবন্ধী বেকার যুবদের উন্নয়নে ঋণ কর্মসূচী                                                        ৮% সরল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে

১০. হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য ঋণ কর্মসূচী                                                              ৮% (সরল সুদ)

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি 2023 এর সকল বিষয় জানা হয়ে গেল । তবে আরেকটি বিষয় অবশ্যই জানা থাকা দরকার। এই ব্যাংকের লোন টাকা নগদে প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র যিনি লোন নিবেন সেই ঋণগ্রহীতার নামে Order চেক অথবা A/C Payee চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। অন্য মানুষের কাছে চেক আদান প্রদান করা যাবে না। লোনের টাকা নিজে সার্ভিসিং ব্যাংক থেকে বুঝে নিতে হবে। চেকের পিছনে স্বাক্ষর দিয়ে নিজে টাকা তুলতে হবে। চেক অথবা রশিদ ছড়া এই ব্যাংকের কনো টাকা লেনদেন করা হয়না । যে কনো ধরনের পরামর্শের জন্য নিজে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। টাকা লেনদেনের জন্য কনো প্রকার তৃতীয় কনো ব্যক্তিকে যুক্ত করা যাবে না।

যদি এই বিষয়ে কনো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন