কলঙ্কময় পৃথিবী

সভ্যতার আধুনিক তম সংস্করণে বাস করছি আমরা । আর এই সংস্করণে বা অত্যাধুনিক পৃথিবীতে এসে আমরা অনেক গুলো বিষয় শুরু করেছি ।  আমরা এখন সচেতন, প্রাচীন কুসংস্কার থেকে । আর এসব সচেতনতা আমাদের কে অনেক অংশে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । শুনতে অবাক লাগলে ও , এটাই নির্মম বাস্তবতা । অত্যাধুনিক এই পৃথিবীতে আমরা আজ ধর্ম কর্ম সব ছেড়ে দিয়ে রোবটিক হয়ে পড়েছি । সব জায়গায় যন্ত্র নির্ভরতা আমাদের কে দুর্বল করে তুলছে । আমরা ধর্ম কে ভাবি কুসংস্কার তূল্য । অথচ ধর্ম ই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানময় । ধর্ম থেকেই বিজ্ঞান এর উৎপত্তি । বিজ্ঞান ক্রমবর্ধমান  ও পরিবর্তন শীল । অপর দিকে ধর্ম হচ্ছে অপরিবর্তনীয় । ধর্ম ই বিজ্ঞান এর মূল । ‌বিজ্ঞান হচ্ছে একটা গাছ । যে গাছ এর শিকড় বা মূল হচ্ছে আল কুরআন । আর তার ডাল পালা হচ্ছে বিজ্ঞান । মূল অর্থাৎ আল কুরআন হতে বিজ্ঞান অর্থাৎ ডাল পালার উৎপত্তি । অথচ সামান্য তম বিজ্ঞান আল কুরআন এর অনেক বিধান কে হেয় করে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় । অবশ্যই বিজ্ঞান কারা নিয়ন্ত্রণ করছে তা দেখা মুখ্য বিষয় ।

অত্যাধুনিক এই সভ্যতায় বিজ্ঞান আমাদের উপহার দিয়েছে মরনাস্ত্রময় সভ্যতা , যার ফলে এই সুন্দর সভ্যতা হয়ে উঠেছে নরকতুল্য । অত্যাধুনিক এই সভ্যতায় যারা গনহত্যা চালায় তারা ই আবার শান্তির বাণী শোনায় ।  যার পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ কে হত্যা করে তারাই আবার শান্তির জন্য জাতিসংঘ গঠন করে। যারা একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় তারা ই আবার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যরা যাতে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হতে না পারে তার জন্য অর্থনৈতিক, কুটনৈতিক, বানিজ্যিক নানা নিষেধাজ্ঞা ছুটে দেয় । অথচ ২০০ বছর আগে যারা ছিল অন্যদের দাস । আসলে শান্তি প্রতিষ্ঠা তাদের উদ্দেশ্য নয় , তাদের উদ্দেশ্য আধিপত্য বিস্তার করা । এই পৃথিবীতে এক শ্রেণী নিজেদের আধিপত্য এর জন্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য সভ্যতা ধ্বংস কারী সব মরনাস্ত্র তৈরি যাচ্ছে । পৃথিবী আজ ধ্বংসের ধারে প্রান্তে উপনীত হয়েছে ‌ । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‌সময় দেখিয়ে ছিল ধ্বংস লীলা কতটা ভয়াবহ । যার ফলাফল অভিশপ্ত হিরোশিমা ও নাগাসাকি । হয়ে গেছিল সেদিন মৃত্যুর মিছিল আর একপক্ষ করেছিল জয়ের উল্লাস । সে উল্লাস এ মদ, হিরোইন , ফেনসিডিল কিসের ই বা কমতি ছিল ? এ তো তাদের মহা বিজয় । আধিপত্য ও সাম্রাজ্যের কাছেই তো তাদের জীবন পণ ‌।
তারাই প্রতিষ্ঠা করেছে সাধুবেশী ভন্ডসংঘ ওরফে জাতিসংঘ । পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য এক নির্লজ্জ ঘোষণা যে নিজেদের ভূমির অর্ধেক, জনসংখ্যায় নিজেদের ৪ ভাগের এক ভাগ জনসংখ্যার উদ্ভাস্তূ , আশ্রিতদের বিনা শর্তে স্বাধীনভাবে দিয়ে দিতে হবে । সাবাস জাতিসংঘ ! সাবাস ! এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচনার জন্য । এভাবে ই মানবের সুখ দুঃখে স্বার্থ রচিয়া যাও !

Related Posts