কানে লাগালে চারপাশ কোলাহলমুক্ত করে দেবে এই ইয়ারফোন

আজ খুব ইন্টারেস্টিং একটা টেকনোলজি রিলেটেড টপিক আপনাদের সাথে শেয়ার করব।একটা হেডফোন সম্পর্কে শেয়ার করব।অবশ্য এটাকে হেডফোন না বলে এয়ারফোন বলাই ঠিক হবে।অর্থাৎ আমরা যে বিরক্তিকর তারওয়্যালা ইয়ারফোন ব্যবহার করি এইরকমই এটাও তারওয়্যালা, অর্থাৎ ওয়্যারলেজ বা ব্লুটুথ ইয়্যারফোন নয়। তবে কী আছে এই ইয়ারফোনে যার জন্য এটিকে আজকের টেকনোলজি আর্টিকেলে লেখা হচ্ছে?এটার কী কোন বিশেষত্ব আছে?

হ্যা অবশ্যই এটার বিশেষত্ব আছে যার জন্য এটি নরমাল তারযুক্ত ইয়ারফোন হলেও অন্য সব ইয়ারফোন থেকে আলাদা।এই বিশেষত্ব সম্পর্কেই আমরা জানব আজকের পোস্টে।তো চলুুন শুরু করা যাক।

আমরা সবাই হেডফোন ব্যবহার করি।মূলত হোডফোন অনেকেই আমরা Show-off এর ব্যবহার করি,আবার ভালো মানের হেডফোনে গান শুনতো কিছুটা ভালো লাগে তাই হেডফোন ব্যবহার করি এবং একটা সুন্দর এবং অন্যরকম মুহূর্ত উপভোগ করি।অনেকে ব্লুটুথ ইয়ারফোন ব্যবহার করি,কারণ তারের প্যাচের চেয়ে এই ব্লুটুথ ইয়ারফোন অনেক ভালো,আবার এটিও অনেকে
Show-off এর জন্য ব্যবহার করি।আর বেশীরভাগ ই তো নরমাল তারযুক্ত ইয়ারফোন ব্যবহার করিই।তবে যে ধরণের আর যত ভালো মানেরই এয়ারফোন ব্যবহার করি না কেন কোলাহল পূর্ণ স্থানে আমরা গান শুনতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।কেমন হত যদি এই কোলাহলকে থামানো যায়?আসলে কোলাহল কে তো আর থামানো যাবে না তবে আপনি চাইলেই কোলাহলকে আপনার কানে আসতে বাধা দিতে পারেন!এমন মনে হবে যে আপনি কানে শুনেন না।হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।অর্থা যে ইয়ারফোনটির কথা প্রথমেই বলেছিলাম, সেই ইয়ারফোনটি দ্বারাই এটি সম্ভব।

ইযারফোনটির নাম ‘Boise Noise Cancellation ‘ অর্থাৎ এই ইয়ারফোনটিতে এমন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে যার জন্য আপনার কানে বাইরের কোন শব্দই আসবে না।ধরুন আপনি বাসে যাচ্ছেন,চারপাশে অনেক কোলাহল আপনি গান শুনতে চাচ্ছেন এখন এই ইয়ারফোনটির যেই ছোট আর চিকন ফোনের আকারের মতো অর্থাৎ আয়তাকার দেখা মতো দেখা যাচ্ছে সেখানে একটি বাটন আছে, সেই বাটনটি স্লাইড করলেই এই মোড চালু হয়ে যাবে আর সাথে সাথেই চারপাশ নিরব হয়ে যাবে এবং আপনি একদম গানের জগৎে চলে যাবেন।তবে আরেকটি আকর্ষণীয় ফ্যাক্ট হচ্ছে গান শোনা ছাড়াও এটি ব্যবহার করে আরামে ঘুমাতে পারেন, বাইরের কোন শব্দই আসবে না আপনার কানে।একটা Green light indicator আছে, যেটি জ্বললে অন বোঝাবে। তবে চারপাশ কোলাহল করতে এতে একটি ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। তারমানে ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে গেলে আপনি চারপাশ কোলাহলমুক্ত করতে পারবেন না।,তখন শুধুই নরমাল ভাবে অন্যান্য ইয়ারফোনের মতো ই গান শুনতে পারবেন।আর ব্যাটারি চার্জ দিতেও বেশী সময় লাগে না,আর ফুল চার্জ হয়ে গেলে দীর্ঘসময় Noise Cancellation সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন। আর এই ইয়ারফোনের সাউন্ড কোয়ালিটিও কিন্তু খুব ভালো।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,ধন্যবাদ।

Related Posts