প্রায় ১৪০০ বছর আগে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন,”কালোজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয় সাম ব্যতিত সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্য নিহিত রয়েছে।” আর সাম হলো মৃত্য। এজন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যে সকল সমস্যায় কালোজিরা বিশেষভাবে ব্যবহৃত……..
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা
কোন ব্যক্তি যখন নিয়মিত কালোজিরা ব্যবহার করে,তখন তার শরীরে তখন তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাি শক্তিশালী করে যে ব্যক্তির শরীর যে কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি
কালোজিরা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বৃদ্ধি ও ত্বরান্বিত করে।
স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি
নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মানব মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে মানুষের স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা
কলোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে শরীরে রক্ত চাপের স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখে।
পিঠ ব্যাথা দূর করে
কলোজিরা থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।
ব্যাথা কমাতে
যেকোন ধরনের ব্যথা কমাতে কালিজিরার জুড়ি নেই। কালোজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যাথার জায়গায় মালিশ করলে ব্যাথা সেরে যাবে।
কালোজিরা ব্যবহারের কিছু নির্দেশনা
১. তিলের তেলের সাথে কালোজিরা বাটা বা কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়। রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, কাশি, হাপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহয়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
২.সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালোজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পারবে বেশি পরিমাণে।
৩. হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন,”নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন,যখন রোগ যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।”
৪.নারীর ঋতুস্রাব জনিত সমস্যায় কালোজিরা বেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫.জ্বর, কফ, গায়ের ব্যাথা দূর করার জন্য কালোজিরা যথেষ্ঠ উপকারি বন্ধু। এতে রয়েছে৷ ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
৬. প্রসুতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালোজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।
৭. কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অর্জিত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপূর্ণ নিদ্রা হয়।
এছাড়া কলোজিরার আরও অনেক উপকারী গুণ আছে।আপনারা যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে কালোজিরার উপর বিস্তরিত জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে জানান।আাশা করি কালোজিরার উক্ত গুন গুলোর কথা জেনে কালোজিরা ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন (খোদা হাফেজ)
অনেক সুন্দর আর তথ্যবহুল পোস্ট। ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ধধন্যবাদ
Wow Tnx For This info
nc
gd
nc
ধন্যবাদ
কাল জিরার এতো গুণ জানতে পারলাম
Good
আমি এই পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ জানাই এমন সুন্দর পোষ্ট দিয়ে উপকার করার জন্য
nc
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
good post
valo post
বেশ ভালো
Nice
nice
Nice Post.
❤️
Thanks