কিছু সাইকোলজিক্যাল হ্যাক 🙂

০১: যখন কিছু মানুষ একসাথে গল্প করে এবং হাসাহাসি করে

তখন প্রতিটা মানুষই তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষটার দিকেই তাকাবে বেশী। আর তখন আপনি চট করেই বুঝতে পারবেন কে কাকে পছন্দ করে।

০২: একটা মানুষ যখন নার্ভাস থাকে

তখন সে কিছু খেতে চাইবে না। আর তাই যখন কেউ কাজের সময় চুইং গাম অথবা কিছু খেতে থাকবে তখন বুঝতে হবে সেই ব্যক্তিটি স্বাভাবিক আছেন। তাই বলে প্রতিদিনের রুটিন খাবারের সময় এটা ভাবলে হবে না।

০৩: করোকাছথেকেযদি কোন বিষয়ে পারফেক্ট উত্তর পেতে চান

তবে তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। কারন এই পদ্ধতিটা বাধ্য করে অপর ব্যক্তিকে একটি সম্পূর্ণ উত্তর দিতে অথবা সত্যি কথা বলতে।

আসলে চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বলা বা এড়িয়ে যাওয়াটা অনেকটা কঠিন ব্যাপার।

০৪: চাকরির ইন্টাভিউতে

আপনি মনে করুন যে আপনার ভবিষ্যত কলিগ বা যিনি আপনার ইন্টাভিউত নিচ্ছেন তিনি আপনার খুব কাছের একজন বন্ধু যার সাথে বহু দিন যাবং আপনার দেখা বা কথা হয় নি। দেখবেন আপনি খুব সাচ্ছন্দেই সকল বিষয়ের উত্তর দিতে পারছেন।আর ভাববেনই বা না কেন, যদি চাকরি হয়েই যায় তবে তিনি তো আপনার ভাল বন্ধু হয়েই যাবে। তাই পরে কেন ভাববেন, এখুনিই ভাবুন।

০৫: আপনি যদি করো কাছ থেকে খুশি খুশি কোন উত্তর পেতে চান অথবা হাস্যোজ্জল ভাবে কথাবার্তা বলতে চান

তবে আপনার চেয়ারের পেছনের দেয়ালে একটি আয়না রাখুন যাতে করে অপর ব্যক্তিটি নিজেকে দেখতে পারে। কারণ কেউ কখনোই নিজেকে রাগান্বিত অথবা বোরিং অবস্থায় দেখতে চায় না।

০৬: অনাকাঙ্খিত কোন জিনিষ অন্য কাউকে দিতে চাইলে

তার সাথে কথা বলুন খুব গভীরভাবে এবং তাকে প্রশ্ন করুন ঐ বিষয়ে যা তিনি পছন্দ করেন এবং ওই সময় তাকে উক্ত জিনিষটি দিতে পারেন। এর কারন এই যে, মানুষ যখন কোন বিষয়ে আনমনে কখা বলে তখন মস্তিষ্ক খুব ব্যস্ত থাকে যার ফলে এটা খুব একটা ভাবনার মধ্যে আসে না যে আনমনে কি নিচ্ছি।

এই ধরুন একটা নিউজপেপার যা কিনা আপনি স্বইচ্ছাতে অন্য কাউকে তার অজান্তে দিতে চাইছেন।

০৭: যদি কারো সাথে অল্প সময়ে বন্ধুত্ব করতে চান

তবে তার কাছে কোন বিষয়ে সাহায্য চাইতে পারেন। আর এভাবেই গড়ে তুলতে পারেন পরবর্তি সখ্যতা। কারন কেউ সাহায্য চাইলে কেউ তা এড়িয়ে যেতে পারে না।

০৮: আপনি যদি মুহূর্তের মধ্যে কারো বিশ্বাস এবং ভরসা অর্জন করতে চান 

তবে তার অঙ্গিভঙ্গি নকল করুন। যেমন ধরুন, কথা বলার সময় সে কিভাবে দাড়ালো, সে কিভাবে হাত রাখে ইত্যাদি। এই পদ্ধতিতে আপনি সহজেই কারো আস্থা অর্জন করতে পারবেন এবং পছন্দের পাত্র হতে পারবেন। আসলে নিজের হুবহু নকল কে না পছন্দ করে।

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন