আপনার কম্পিউটার কি কিছুক্ষণ পর পর হ্যাং (Hang) করে? কম্পিউটারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গেলেই কম্পিউটার হ্যাং করে বা প্রোগ্রাম ক্রাশ (Crush) করে? তাহলে জেনে নিন এই ধরণের সমস্যা কেন হয় এবং কীভাবে এই ধরণের সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়। আজ আমরা জানবো কম্পিউটার কেন হ্যাং করে? হ্যাং হলে করণীয় কি? কম্পিউটার কি কারণে হ্যাং করছে তা বোঝার উপায়, হ্যাং সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার উপায় ইত্যাদি। তো চলুন শুরু করা যাক…
কম্পিউটার হ্যাং বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম ক্রাশ করে কেন?
কম্পিউটার বিভিন্ন সমস্যার কারণেই হ্যাং করতে পারে। তবে প্রধান কারণ গুলো হলোঃ
- কম্পিউটার র্যামের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়া।
- একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম (Program) ওপেন করা।
- কম্পিউটার লোকাল ডিস্ক (Local disk) অর্থাৎ সি ড্রাইভ (C Drive)-এ পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ফাঁকা না রাখা।
- অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখা।
- ভাইরাস দ্বারা পিসি আক্রান্ত হওয়া।
- অপারেটিং সিস্টেম ও হার্ডওয়্যার আপডেট (Update) না করা।
- অপারেটিং সিস্টেম ফাইল ডিলিট হয়ে গেলে।
- ভাল মানের প্রসেসর ব্যবহার না করা।
- উচ্চ মানের গ্রাফিক্স সম্পন্ন কম্পিউটার গেম ও সফটওয়্যার যদি কম ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসরের কম্পিউটারে চালানো হয়।
- কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য হার্ডওয়্যারের সংযোগ ত্রুটির কারণে।
ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেই কম্পিউটার হ্যাং বা ক্রাশ করতে পারে। তবে সমস্যা যেমন আছে তেমনি সমাধানও রয়েছে।
আমরা অনেক সময় পিসিতে কাজ করার সময় পিসি হ্যাং হলে সাথে সাথে রিস্টার্ট দিয়ে দিই। কিন্তু এই কাজ করা মোটেও উচিত নয়। কারণ বেশিরভাগ সময়ই হ্যাং করার পর কিছু সময় অপেক্ষা করলে পিসি পুনরায় কাজ করা শুরু করে। হ্যাং করার সাথে সাথে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিলে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের উপর ভীষণভাবে চাপ পড়ে। যার ফলস্বরূপ অনেক সময় পিসির বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হয়।
কম্পিউটার হ্যাং হলে করনীয়
আপনার কম্পিউটার কীবোর্ড থেকে Ctrl+Shift+Esc বাটন গুলো একসাথে চাপুন। তারপর লক্ষ্য করুন Windows Task Manager ওপেন হয়েছে। এবার Processes অপশনটি সিলেক্ট করুন। তারপর লক্ষ্য করুন, যে প্রোগ্রামটির কারণে পিসি হ্যাং করেছে সেটি Not Responding দেখাচ্ছে। এবার সেই প্রোগ্রামটির উপর ক্লিক করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে End Task এ ক্লিক করুন। তাহলে দেখবেন প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণত কাজটি দ্রুতই হয়। কিন্তু অনেক সময় কাজটি হতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। কাজটি না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে থাকুন।
কীভাবে কম্পিউটার হ্যাং ও প্রোগ্রাম ক্রাশ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব?
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে কি কি কারণে কম্পিউটার হ্যাং করতে পারে। সেগুলো লক্ষ্য রাখতে পারলে পিসি হ্যাং করা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে কম্পিউটার হ্যাং বা প্রোগ্রাম ক্রাশ করতে পারে। এখন আমরা আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানবো যা হ্যাং সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
- কীবোর্ড থেকে Windows+R বাটন গুলো প্রেস করে Run অপশনে recent, %temp%, prefetch, tree ইত্যাদি লিখে ক্লিন করুন।
- লোকাল ডিস্ক অর্থাৎ C drive-এ পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখুন (৮-১০ জিবির উপরে)।
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো ছাড়া সব অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করে দিন।
- র্যামের জন্য ভালো র্যাম ক্লিনার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
- অবশ্যই একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এবং প্রতিনিয়ত আপডেট রাখুন।
- কম্পিউটার একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবহারের পর (২-৩ ঘণ্টা পর পর) রিস্টার্ট করে নিন।
- পিসি যদি কোনো প্রোগ্রাম ওপেন করতে সময় নেই তাহলে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। বার বার পিসিকে কমান্ড করলে পিসি হ্যাং করে।
- আপনার কম্পিউটার-এ ব্যবহৃত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম প্রতি তিন মাস পর পর সেটআপ করে নিন।
আশা করি আপনি কম্পিউটার হ্যাং সমস্যা নিয়ে একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Good post
Good
Valo
Learning post
Khub valo
Thank’s To all
ok
Ok
useful post
Thanks to all
Nc
Thx fr pst
Nice
Ok