কেউ আর বেকার থাকবে না, সোয়া কোটি কর্মসংস্থান হবে ১০০ শিল্পাঞ্চলে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

ফটো সংগৃগৃহীত

দেশে যে ১০০টি শিল্পাঞ্চল হচ্ছে তাতে প্রায় সোয়া কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং এর ফলে দেশে কেউ আর বেকার থাকবে না’ বা থাকার কথা না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন তার সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে উন্নয়ন বৈষম্য কমানো অর্থাৎ গ্রামের মানুষ যেন শহরের সকল সুবিধা পায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি খুধা, দারিদ্র ও ভিক্ষুক মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এখন বিভিন্ন কার্য্যক্রম হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার।

শুক্রবার বিকেলে তার সরকারী বাসভবনে আওয়ামী-লীগের কার্য্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিকেলে ৫টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ঠ মজবুত। এবার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ ভাবেরও বেশি হবে বলে’ আশা রাখছেন তিনি। বাংলাদেশের কেও যেন আর গৃহহীন না থাকে, না খেয়ে থাকে এবং কাউকে যেন আর ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতে না হয় সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

তিনি বলেন, গ্রামের গরিব ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনায় আগ্রহী করে তুলতে বর্তমান সরকার বৃত্তি, উপ-বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছে। দুপুরে স্কুলে টিফুনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে । এমন কি, এখন অবিভাবকদের মোবাইল ফোনেই তারা তাদের বাচ্চাদের বৃত্তি ও উপ-বৃত্তির টাকা পেয়ে যায়। গরিব মানুষের ছেলে-মেয়েরা পরাশুনা করে যেন সুশিক্ষিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গরিব মানুষ গ্রামেই যেন চিকিৎসা সেবা পায়, তার জন্য মায়েদের চিকিৎসা সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকেরর মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। স্বামী অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন, স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। কিন্তু এখন আর তেমন করতে হয় না । বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক সুবিধার কারনে যে কোন নারী চিকিৎসার জন্য পায়ে হেটে নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এ দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা সবই পাবেন । একটি মানুষও আর না খেয়ে থাকবে না সে ব্যবস্থায় করবে তার সরকার।

তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের জীবনযাপনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘তার ( তারেক রহমান-এর) রাজকীয় জীবনযাপনের টাকা আসে কোথাথেকে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান বছরের পর বছর লন্ডনে থেকে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ বিরোধী রাজনীতি করছে ‘সে সেখান থেকে। ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে। তারেক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তারেক রহমান যে উচ্চবিলাসী  জীবন যাপন করছে তার অর্থ আসে কোথা থেকে, অতীতে বিএনপি যে লুট্যরাজের রাজনীতি করেছে সেই অর্থেই এখন লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও নিজে উচ্চবিলাসী জীবনযাপন করছে। এ সময় তিনি আরও বলেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই ঢাকার খাল-জলাশয় গুলো বেদখল হয়ে গেছে। বনানী লেক দখল করে বিএনপির সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। গুলশান লেক আজ অর্ধেক হয়ে গেছে। জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা একের পর এক জলাধার ধ্বংস করেছে । আর আমরা ক্ষমতায় এসে দখল হয়ে যাওয়া জলাধার উদ্ধার করছি। আমরা রাজধানীর রুপ বদলে দিয়েছি।

এসময়, বনানীর এফার টাওয়ারে আগুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদলে জলাধার দক্ষল হয়ে যাওয়ার কারনে অগ্নি নির্বাপনে সমস্যা হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানন্মন্ত্রী।

Related Posts