বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
প্রিয় ভিউয়ার্স, আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ!
গাজীপুর’ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। ইতিহাসে পরিপূর্ণ। এই জেলা ও তার আশেপাশে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। রয়েছে একাধিক নদ-নদী। এরই মাঝে আপন গুনে গুণান্বিত শীতলক্ষ্যা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ। শীতলক্ষ্যার খ্যাতি হয়েছে তার পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানির জন্য। আর এখানেই রয়েছে বিশাল নৌকা আকৃতির এক বিশাল সবুজ চর। যার নামকরন করা হয়েছে ধাঁধার চর। এখানকার স্থানীয়রা অনেকেই একল বলে মাঝের চর। মাঝের চর বলার কারণ হলো এ চরটি লাখপুর, তারাগঞ্জ, রানীগঞ্জ ও চরসিন্দুর নামক কয়েকটি গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। সম্প্রতি হঠাতই শীতলক্ষ্যা নদীর বুকে জেগে ওঠা এ চরটির আয়তন প্রায় ২৫০ একর। দূর থেকে দেখলে যে কেউ এ চরটি নিয়ে ধাঁধায় পড়ে যেতে পারে। এ চরটিকে দেখতে অনেকটা সেন্টমার্টিনের মতো মনে হয়। আনার কারও কারও মনে হতে পারে এটা যেন অনেক আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের জেগে ওঠা অবশিষ্টাংশ। মজার বিষয় হলো ধাঁধার চরের অবস্থানটাি বেশ ধাঁধাঁ লাগানো। চরের সিমানার উত্তর ও দক্ষিণে শীতলক্ষ্যা নদী, পূর্ব পাশে ব্রহ্মপুত্র নদ অবস্থিত। দুই দিকে থানা দুইটা। একটা কাপাসিয়া ও অন্যটি শিবপুর থানা। দুইপাশে জেলাও দুইটা। একটা জেলা গাজীপুর ও অন্য জেলাটি হলো নরসিংদী। বর্ষা মৌসুমে শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র দুটি নদীই থাকে পানিতে পরিপূর্ণ। অর্থাৎ এক কথায় জলে টইটম্বুর। তবে শীতকালে এই জায়গাটি হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয় ও মনোরম, আরও বেশি মনের মতল। স্থানীয় কয়েকটি গ্রাম তারাগঞ্জ, লাখপুর, রানীগঞ্জ ও চরসিন্দুরের মাঝখানে এ চরকে দেখলে মনে হয় ভাসমান টাইটানিক গ্রাম। এ যেন ভাসমান টাইটানিকের প্রতিচ্ছবি। চরটির আয়তন লম্বায় ৪ কিলোমিটার ও চওড়ায় বর্ষার সময় আধা কিলোমিটারের মতো। স্থানীয় মানুষদের মনকে প্রফুল্লিত করার জন্য ছুটে যায় এই চরে। ইদানীং পরিচিতি পাওয়ায় আরও দূর দূরান্ত থেকেও প্রকৃতি পিয়াসি মানুষজন ছুটে আসেন এখানে অসামান্য সুন্দর এ স্থানটিকে নিজ চোখে দেখার জন্য।
Nc
যোগাযোগ ব্যবস্থাটি একটু বললে ভাল হত।
Gd
Thanks for this post…
Ok
GD
oh